ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

মারুফ রায়হান

ঢাকার দিনরাত

প্রকাশিত: ০৫:৪৩, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮

ঢাকার দিনরাত

আশ্বিন আসায় ঢাকাবাসীর আশা ছিল দুঃসহ গরম থেকে মুক্তির। তার বদলে চৈত্রের দাবদাহের দিনগুলোর মতো তাপমাত্রা ছাড়িয়ে গেল ছত্রিশ ডিগ্রী সেলসিয়াস। পরপর কয়েকটা দিন সম্পূর্ণ বৃষ্টিশূন্য! বাতাসে মাত্রাতিরিক্ত আর্দ্রতা, শ্রমজীবী অর্থাৎ গায়েগতরে খাটা মানুষের হাঁসফাঁস। এই গরমে দিনের বেলা রাস্তায় বেরুনো মানেই সূর্যের অগ্নিবাণ, মহাযানজট আর সময়ের নিদারুণ অপচয়। বনানী ওভারপাস বাধাহীনভাবে পেরুতে লাগে ২৫ সেকেন্ড, আর যেদিন ওপরে ও নিচে গাড়ির বহর থাকে, থাকে রাজধানীর ট্রেডমার্ক জ্যাম, সেদিন লাগে পঁচিশ মিনিট। অর্থাৎ সোজা হিসেবে ষাটগুণ অতিরিক্ত সময়। এই নিয়েই আমরা ঢাকায় আছি, মহাঝামেলায় ঝঞ্ঝাটে কোনোমতে বাঁচি। রাজপথের ভাগাড় ঢাকা শহরের ব্যস্ত সড়কগুলো রদ্ধশ্বাসে ছুটে চলা মানুষ আর যানবাহনের ভার বহন করে চলেছে নিঃশব্দে-নীরবে। যদি তার জবান থাকত তবে প্রকাশিত হতে পারত ভলিউম ভলিউম সাতকাহন। কবি-শিল্পীদের থাকে সংবেদনশীল মন আর আশ্চর্য শ্রবণশক্তি। শব্দহীন আওয়াজ তার কানে পশে ঠিকই। রাজধানীর রাজপথের পাঁজরে দুষ্ট ক্ষতের মতো জেগে থাকা একেকটা ভাগাড় তাকে কতটা বিপর্যস্ত করে আমাদের জানার উপায় নেই। তবে পথচারীর দুর্দশা খোলা চোখে দেখা যায়। নাকে রমাল চেপে তড়িঘড়ি জায়গাটা পার হয়ে শ্বাস বাঁচানো চলে। কিন্তু ওই এলাকার পরিবেশ দূষণের হাত থেকে রেহাই মিলবে কবে, কিভাবে? মিউনিসিপ্যালিটির খোলা কন্টেনার থেকে রাস্তায় ছড়িয়ে পড়া বর্জ্যরে কুশ্রিতা আর তা থেকে বাতাসে ছড়িয়ে পড়া অস্বাস্থ্যকর উৎকট গন্ধে মানুষের নাভিশ্বাস ওঠাÑ এ তো আর বছরের পর বছর ধরে চলতে পারে না একটা মহানগরীতে। বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে বলে আমরা কথায় কথায় গর্ব করি অথচ বড় বড় সড়কগুলোকে হতে দিচ্ছি খোলা ডাস্টবিন! এর অবসান হতেই হবে। একটা উদাহরণ দেয়া যাক। নীলক্ষেত থেকে আজিমপুর অভিমুখী ব্যস্ত সড়কটি শিক্ষার্থীরাই বেশি ব্যবহার করেন। রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী ইডেন মহিলা কলেজের অবস্থানও এই সড়কেই। কলেজটির ঠিক বিপরীত পাশের রাস্তায় জমে আছে ময়লা-আবর্জনার স্তূপ! ছড়াচ্ছে উৎকট দুর্গন্ধ! আর রাস্তার অনেকটা অংশে ছড়িয়ে পড়া তরল বর্জ্যে ভনভন করছে মশা-মাছি! অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে, প্রতিদিন যে সড়ক দিয়ে সাধারণ মানুষ ছাড়াও শত শত শিক্ষার্থী যাতায়াত করেন, সেই সড়কেই সগর্বে অবস্থান করছে ময়লা ফেলার একটি ডাস্টবিন। পাশেই আবার যাত্রী ছাউনি! সেই ডাস্টবিন ছাপিয়ে ময়লা-আবর্জনা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে ফুটপাথ পর্যন্ত। ধানমন্ডি কামরুন্নেসা সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়টির পেছনের দেয়াল-সংলগ্ন স্থানে স্থাপিত হয়েছে একাধিক ডাস্টবিন। ঠিক পাশেই গুরুত্বপূর্ণ সরকারী একটি দফতরও রয়েছে। তারপরও ময়লা-আবর্জনার দুর্গন্ধে সামনের লেক দিয়ে হাঁটাচলা করা মুশকিল হয়ে পড়ে প্রাতঃভ্রমণকারীদের। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের প্রতিদিন কী অবস্থার মধ্যে বিদ্যালয়ের পাঠ গ্রহণ করতে হয়, তা কল্পনা করলেও শিউরে উঠতে হয়। ঢাকনাযুক্ত ডাস্টবিন স্থাপনের পাশাপাশি যথাসময়ে ভালভাবে প্রতিদিনের বর্জ্য অপসারণের মাধ্যমে এ সমস্যার কিছুটা সমাধান হতে পারে। সমাধানটি সাময়িক। কিন্তু কে করবে? ঢাকার মেয়রদ্বয় তাদের মেয়রপদে অধিষ্ঠিত হওয়ার পর প্রথম বছরেই বলেছিলেন, মহানগরীর পরিচ্ছন্নতার দিকটিই তাদের কাছে সর্বোচ্চ প্রাধান্য পাচ্ছে। জেনেছিলাম নগরীর ৬০০ খোলা কন্টেনার থেকে প্রতিদিন ৫,০০০ টন বর্জ্য অপসারণ করা হচ্ছে। আমরা এই কলামে দফায় দফায় রাজপথের দুরবস্থার কথা লিখে আসছি। বিশেষত রাস্তার মাঝখানে রাখা আবর্জনা ফেলার কন্টেনার এবং রাস্তায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা পচা উচ্ছিষ্টের দুর্গন্ধে পরিবেশ দূষণের প্রসঙ্গ নিয়ে বার বার লেখা হয়েছে। আমরা আগেও বলেছি ঢাকার সড়কগুলোর পাশে যেসব দোকানপাট গড়ে উঠেছে সেসব দোকানের দোকানিদের তাদের সামনের রাস্তাকে ডাস্টবিন জ্ঞান করার এক অদ্ভুত মানসিকতা রয়েছে। রাস্তার পাশে নয়, একেবারে মাঝখানে সিটি কর্পোরেশনের মুখ খোলা কন্টেনার রাখার কথা আবারও বলতে হচ্ছে। রাজধানীর রাজপথের পাঁজরে দুষ্ট ক্ষতের মতো জেগে থাকা একেকটা ভাগাড় পথচারীদের বিপর্যস্ত করে চলেছে। মিউনিসিপ্যালিটির খোলা কন্টেনার থেকে রাস্তায় ছড়িয়ে পড়া বর্জ্যরে কুশ্রিতা আর তা থেকে বাতাসে ছড়িয়ে পড়া অস্বাস্থ্যকর উৎকট গন্ধে মানুষের নাভিশ্বাস ওঠা- এ তো আর বছরের পর বছর ধরে চলতে পারে না একটা মহানগরীতে। অবশ্য একথাও বলা দরকার যে দেখতে দেখতেই ঢাকায় বেশ কটি বর্জ্য সংগ্রহকেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে। তবে সেসবও ওই বড় বড় রাস্তার গা ঘেঁষেই। ফলে ওই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় খানিকটা দূর থেকেই বাতাসে ভেসে থাকা তীব্র দুর্গন্ধই বলে দেবে সামনেই অপেক্ষা করছে সেই ভাগাড়। অবশ্যই ঢাকার বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে হবে। নগরবাসীর আবর্জনা ফেলা এবং কর্তৃপক্ষের তা অপসারণ- সব কিছুই হতে হবে নিয়মমাফিক। আলোকচিত্রে শিল্পী এসএম সুলতান প্রায় চল্লিশ বছর আগে যে আলোকচিত্র যশোরে দেখেছি আলোকচিত্রীর প্রদর্শনীতে, সেই ছবি আবার ঢাকার আলিয়াস ফ্রাসেজে দেখতে পাওয়া মানেই স্মৃতির মৃদুমন্দ হাওয়ায় ভাললাগার বোধে সিক্ত হওয়া। হ্যাঁ, গুণী চিত্রকর এস এম সুলতানের ছবিগুলো সেই কাছাকাছি সময়ের মধ্যেই তুলেছিলেন নাসির আলী মামুন। যে শিল্পীর কাছে যাচ্ছি কাগজ আর তুলি নিয়ে সেই একই শিল্পীকে দেয়ালের ছবিতে ভিন্নরূপে পাওয়া সেই চার দশক আগে ছিল দারুণ উত্তেজনা ও বিস্ময়ের। তখনও সুলতান চলে যাননি নড়াইলে। থাকতেন মাইকেল মধুসূদন মহাবিদ্যালয়েরই পরিত্যক্ত একটি ভবনে। অবশ্য নড়াইলেও গেছি এবং প্রত্যক্ষ করেছি শিল্পীর প্রিয় বিড়ালদের। আর নাসির আলী মামুনের সঙ্গে সাংবাদিকতা সূত্রে কাজ করার সুযোগ হয়েছিল মধ্যআশিতে, সাপ্তাহিক সচিত্র সন্ধানীতে। প্রচ্ছদ রচনার ছবি তোলার মিশনে আমরা দুজনে কতোবার চষে বেড়িয়েছি এই ঢাকা মহানগর। যাহোক, আলোকচিত্রশিল্পের কবি নাসির আলী মামুনের তোলা শিল্পী এস এম সুলতানের আলোকচিত্রের প্রদর্শনী শেষ হয়ে যাচ্ছে ৫ অক্টোবর। না দেখলে সত্যিই মিস করবেন। বোহেমিয়ান শিল্পী এসএম সুলতানের যাপিত জীবনের দুর্লভ মুহূর্তগুলো টানা ১০ বছর ক্যামেরাবন্দী করেছেন আলোকচিত্রী নাসির আলী মামুন। এসব ছবি এ আলোকচিত্রী তখনই ধারণ করেছেন, যখন সুলতান তার বিশাল বিশাল ক্যানভাসে এঁকে চলেছেন মানবীয় চিত্তের সারাৎসার, আর এর বাধাহীন অবমুক্তি। এবার ‘এসএম সুলতান- এক ভবঘুরের মহাজাগতিক পরিভ্রমণ’ শিরোনামে এই প্রদর্শনীর বরাতে ঐতিহাসিক ও তাৎপর্যমণ্ডিত এসব আলোকচিত্র দেখার সুযোগ পাচ্ছেন শিল্পপ্রেমীরা। আলোকচিত্র প্রদর্শনী এবং একই শিরোনামে ডেলভিস্তা ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় প্রকাশিত বইয়ের মোড়কও প্রদর্শনীস্থলে উন্মোচন করা হয়েছে। প্রদর্শনীতে নাসির আলী মামুনের তোলা মোট ২৭টি আলোকচিত্র প্রদর্শিত হচ্ছে। গাড়িমুক্ত দিবসে... প্রতিবছর ২২ সেপ্টেম্বর পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ওয়ার্ল্ড কার-ফ্রি ডে বা বিশ্ব ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবস পালন করা হয়। বাংলাদেশে এই ধরনের কোন উদ্যোগ আয়োজন নেই। তবে একবার সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ব্যক্তিগত গাড়ির ওপর বিধিনিষেধ জারি করা হবে বলে দেশবাসীকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন। তাঁর দাবি ছিল, ব্যক্তিগত গাড়ির যথেচ্ছ ব্যবহার পরিমিত হওয়া উচিত। কিন্তু ওই পর্যন্তই। বাকপটুত্বে কেবা আর কম যায় এই সব সম্ভবের দেশে? গাড়িমুক্ত দিবসের সঙ্গে আসে হাঁটার বিষয়টি। স্বল্প দূরত্বে হাঁটার সুযোগ নগরে চলাচলে স্বস্তি যেমন বাড়ায়, তেমনি তা স্বাস্থ্যকরও। বিশ্বের বহু দেশেই এবং অধিকাংশ রাজধানীতে গাড়িমুক্ত হাঁটার সড়ক যেমন আছে, তেমনি থাকে ফুটপাথ। আমাদের দেশে সড়ক অনুপাতে ফুটপাতের পরিমাণ খুবই কম। আবার যেটুকু আছে, সেটুকুও অবৈধ স্থাপনা ও ব্যবসার উদ্দেশ্যে ব্যবহারের কারণে বেদখল। ফুটপাথ যেহেতু সড়কেরই অংশ সেহেতু কর্তৃপক্ষ ফুটপাথটি দখলমুক্ত করার উদ্যোগ নেবেন বলে আশা করে থাকে মানুষ। এ অনেকটা ওয়েটিং ফর গোডোর মতো। গোডো আর আসেন না। ঢাকার ফুটপাথ আর দখলমুক্ত হয় না। ঢাকার যানজট কমাতে সরকারের নেওয়া সব পরিকল্পনাতেই ব্যক্তিগত গাড়ি সীমিত রাখতে বলা হয়েছিল। পাশাপাশি গণপরিবহন বাড়াতে বলা হয়েছিল। কিন্তু এর কোনটিই বাস্তবায়িত হয়নি। যোগাযোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাসের সংখ্যা বাড়ানোর মধ্য দিয়ে ঢাকার যানজট কমানো সম্ভব। গত সপ্তাহে বিশ্ব ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার রাজধানীতে সভার আয়োজন করে ঢাকা সড়ক পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ)। সভায় যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সরকারী সংস্থার কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতিনিধি, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, পরিবহনশ্রমিক নেতা, বেসরকারী সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশ নেন। সভায় ‘ঢাকা শহরের যানজট নিরসনে স্বল্পমেয়াদী কর্মপরিকল্পনা: প্রেক্ষিত সংশোধিত কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনা (আরএসটিপি) ’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মোয়াজ্জেম হোসেন। তিনি বলেন, ‘বাসকে নির্ভরযোগ্য গণপরিবহন করতে না পারা ঢাকার বড় সমস্যা। কম খরচে বেশি যাত্রী পরিবহনের এই সুযোগ না নেওয়ার পেছনে কী স্বার্থ থাকতে পারে?’ ‘ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে বহু মাধ্যমভিত্তিক পরিবহন ব্যবস্থার গুরুত্ব’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের সহসভাপতি আকতার মাহমুদ। প্রবন্ধে বলা হয়, রাজধানীতে গণপরিবহন চলার উপযোগী সড়কের বেশিরভাগ থাকছে ব্যক্তিগত গাড়ির দখলে। ৪৪ শতাংশ সড়কে ফুটপাথ নেই। ৮০ শতাংশ ফুটপাথ রক্ষণাবেক্ষণ নিম্নমানের। সড়কের ৯৫ শতাংশ জায়গায় পারাপারের ব্যবস্থা নেই। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) হিসাব অনুযায়ী, গত আগস্ট মাস পর্যন্ত ঢাকায় নিবন্ধিত যানবাহনের সংখ্যা ১১ লাখ ৭৩ হাজার ১৬০টি। এর মধ্যে মোটরসাইকেলের সংখ্যা প্রায় অর্ধেক। আর ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা ২ লাখ ৫২ হাজার ৬৭৪টি। বাস আছে ৩৯ হাজার ৭৮২টি। প্রতি মাসে প্রায় দেড় হাজার নতুন ব্যক্তিগত গাড়ি নিবন্ধিত হচ্ছে। এ এক এলাহি কারখানা। বলা ভাল নরক গুলজার! শিল্পকলায় শিল্পোৎসব রোববার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর জাতীয় চিত্রশালায় গিয়েছিলাম দ্বিবার্ষিক এশীয় চারুকলা প্রদর্শনী দেখতে। সেখানে তিনটে ফ্লোরজুড়ে (ভাস্কর্যের জন্য ভবনের সামনে খোলা প্রাঙ্গণসহ) চলছে ৬৮টি দেশের ৪৬৫ জন শিল্পীদের শিল্প প্রদর্শনী। সত্যিই দেখার মতো। কত বিচিত্র উপায়ে বিবিধ আঙ্গিকে শিল্পীরা শিল্পচর্চা করছেন। আগের চাইতে এখনকার শিল্পীরা সময়কে অনুধাবন করার বেলায় বেশ সমাজসজ্ঞান। শিল্পী সংবেদনশীল হবেন, এ তো জানা কথাই। কিন্তু সময়ের বয়ান যখন তার শিল্পকর্মে বিশেষ মাত্রা নিয়ে উপস্থিত হয়, তখন সেই ছবি বা ভাস্কর্য আমাদের নাড়া দিয়ে যায়। এবার গ্রান্ড প্রাইজের তিনটির ভেতর দুটিই পেয়েছেন আমাদের দেশের নারী-শিল্পীরা। আরেকজন শিল্পী নাজলী নায়লা মনসুরের ছবি বিশেষভাবে নজর পড়লো পেট্রোলবোমা সন্ত্রাসকে উপজীব্য করে ব্যতিক্রমী শিল্পকর্ম সৃষ্টির দৃষ্টান্ত দেখে। মোবাইলে তুলে নিলাম ছবিটি পাঠকদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্যে। এ প্রদর্শনী নিয়ে একাধিক নিবন্ধ বেরিয়েছে জনকণ্ঠে, তাই বিশদ আলোচনায় যাচ্ছি না। যাহোক, খুব বেশি দর্শক দেখিনি প্রদর্শনীকেন্দ্রে। আগেও বলেছি, শিল্পকলার সঙ্গে যুক্ত লোকজনই কেবল এই প্রদর্শনী দেখতে যাবেন, এটা তো কোন কাজের কথা নয়। শিল্পের অন্য শাখায় যারা কাজ করেন, যেমন সিনেমা বানান, অভিনয় করেন, সাহিত্যচর্চা করেন, নাচ-গান করেনÑ সবারই তো চিত্র প্রদর্শনী দেখা দরকার। বিষয়টা এমন নয় যে লেখকরাই শুধু বই পড়বেন। তাছাড়া চারুকলার নবীন শিক্ষার্থীদেরও এই প্রদর্শনী দেখতে দল বেঁধে যাওয়া জরুরী বলে মনে করি। সামনের রোববারেই শেষ হচ্ছে এই শিল্প-আয়োজন। ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮ [email protected]
×