ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

শিগগিরই কিমের সঙ্গে দ্বিতীয় বৈঠক হবে ॥ ট্রাম্প

প্রকাশিত: ২১:৩১, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮

শিগগিরই কিমের সঙ্গে দ্বিতীয় বৈঠক হবে ॥ ট্রাম্প

অনলাইন ডেস্ক ॥ উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতা কিম জং উনের সঙ্গে দ্বিতীয় বৈঠকে বসতে ‘খুব বেশি দেরি হবে না’ বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়া দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জে ইনকে পাশে নিয়ে সোমবার ট্রাম্প জানান, কিমের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে ‘অনেক অগ্রগতি হয়েছে’। “সম্পর্ক এখন খুবই ভালো, কোনো কোনো ক্ষেত্রে অসাধারণ,” বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট, খবর বিবিসির। বছরখানেক আগেও যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়া একে অপরের বিরুদ্ধে পারমাণবিক হামলার হুমকি দিত। কিন্তু চলতি বছরের জুনে সিঙ্গাপুরে ট্রাম্প ও কিমের ঐতিহাসিক বৈঠকের পর ওইসব হুমকি-ধামকি থেমে গেছে। নিউ ইয়র্কের জাতিসংঘ সদরদপ্তরে ট্রাম্প সাংবাদিকদের জানান, মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী মাইক পম্পেও ‘শিগগিরই’ পরবর্তী সম্মেলনের দিনক্ষণ ঠিক করবেন। তবে কোথায় বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে সে বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি। সপ্তাহখানেক আগেই উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ে তিনদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে গিয়েছিলেন দক্ষিণের প্রেসিডেন্ট মুন; দশককালের মধ্যে পিয়ংইয়ংয়ে সেটিই ছিল কোনো দক্ষিণ কোরীয় নেতার প্রথম সফর। “সম্পূর্ণ নিরস্ত্রীকরণে চেয়ারম্যান কিম দৃঢ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, এটি নিশ্চিত করতে পারবো,” সোমবার নিউ ইয়র্কে এমনটাই বলেছেন মুন। এছাড়া কিম ট্রাম্পের সঙ্গে ফের দ্রুত সাক্ষাৎ করার আগ্রহও প্রকাশ করেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। সিঙ্গাপুরের সানতোসা দ্বীপে জুনে হওয়া বৈঠকটিই ছিল দায়িত্বে থাকা কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার কোনো নেতার প্রথম বৈঠক। বৈঠকে দুই নেতা নতুন সম্পর্ক গড়ে তোলা, কোরীয় উপদ্বীপের ‘সম্পূর্ণ পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণে’ কাজ করতে ও সেখানের দীর্ঘস্থায়ী শান্তি গড়ে তোলার লক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিলেন। সুনির্দিষ্ট সময়সীমা না থাকায় এবং কীভাবে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের লক্ষ অর্জিত হবে ও যাচাই করা যাবে তার উল্লেখ না থাকায় সমালোচকরা এ চুক্তিকে ‘অন্তঃসারশূন্য’বলে অ্যাখ্যা দিয়েছিলেন। ট্রাম্প-কিম বৈঠকের পর থেকেই কোরীয় উপদ্বীপের পরিস্থিতি তুলনামূলক শান্ত। সিউলের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়ন ও ইতিবাচক ভাবমূর্তি নির্মাণে চেষ্টাও চালিয়ে যাচ্ছে পিয়ংইয়ং। সুনির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রে অগ্রগতিও হয়েছে। যে পারমাণবিক পরীক্ষা কেন্দ্র ঘিরে ওই অঞ্চলে উত্তেজনা ছিল, উত্তর কোরিয়া তাদের সেই পুঙ্গি-রি পারমাণবিক পরীক্ষাকেন্দ্রটি ভেঙে ফেলেছে। উত্তরের প্রধান ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা ও উৎক্ষেপণ কেন্দ্র ধ্বংস করে ফেলারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন কিম। বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র সম্পূরক ব্যবস্থা নিলে পিয়ংইয়ং তার প্রধান পারমাণবিক পরীক্ষা কেন্দ্রও অকার্যকর করবে।
×