ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

আবাসন সংকটে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রীরা

প্রকাশিত: ২৩:০৭, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮

আবাসন সংকটে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রীরা

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ আগামী ২০ নভেম্বর বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজের ৫০ বছর পূর্তি উৎসবের আয়োজন চলছে বেশ জোরেশোরে। অথচ ৫০ বছরে এসেও আবাসন সংকটে ভুগছেন কলেজের শিক্ষার্থীরা। আবাসন সংকটের কারণে প্রায় তিন বছর ধরে কলেজের বেশকিছু ছাত্রী মরদেহ সংরক্ষণের জন্য ব্যবহৃত (মরচুয়ারি) ভবনে বসবাস করে আসছেন। আধুনিক এ মরচুয়ারি ভবনটি উদ্বোধনের পর ছয়বছর পার করলেও কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের একাডেমিক কার্যক্রম ও মরদেহ হিমাগার করার কোনো কার্যক্রম এখানে পরিচালিত হয়নি। আধুনিক ওই ভবনটির সাথে সরকার যে মূল্যবান মালামাল ক্রয় করেছিলো তাও তালাবদ্ধ করে রাখা হয়েছে লেকচার গ্যালারির একটি কক্ষে। ফলে অব্যবহারে সেগুলোও নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কলেজ সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালের ২৪ এপ্রিল ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের একাডেমিক কার্যক্রম ও মরদেহ সংরক্ষণের জন্য দোতলা মরচুয়ারি ভবনটির উদ্বোধন করা হয়। শুরুর দিকে কয়েকদিন ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের ক্লাস হলেও নানান জটিলতায় তা বন্ধ হয়ে যায়। ২০১১-১২ সেশনে কলেজে বিডিএস বা ডেন্টাল অনুষদের শিক্ষার্থীরা নির্ধারিত ৫০টি আসনের অনুকূলে ভর্তি হতে শুরু করে। একই বছর থেকে এমবিবিএস কোর্সেও মেয়েদের ভর্তির সংখ্যা বাড়তে থাকে। ফলে দুই বছরের মাথায় বরিশাল মেডিক্যাল কলেজে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য নির্ধারিত হোস্টেলে দেখা দেয় আবাসন সংকট। কলেজের প্রশাসনিক শাখা সূত্রে জানা গেছে, পাঁচ বছর পূর্বে আবাসন সংকট প্রকট আকার ধারণ করলে ডেন্টাল অনুষদের ছাত্রীদের জন্য ক্যাম্পাসের বাইরে বাসা ভাড়া নেওয়া হয়। বর্তমানে সেখানে ৩৭ জন ছাত্রী রয়েছেন। যারমধ্যে বেশিরভাগ ছাত্রী প্রায় তিন বছর ওই ভবনে কাটিয়ে দিয়েছেন। নানার সমস্যার মধ্যেও নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে সবসময় উদ্বিগ্ন থাকতে হয় বলে জানিয়েছেন কথিত ওই হোস্টেলের নিবাসী ছাত্রীরা। ছাত্রীদের হোস্টেলে ফিরে যেতে বলা হলেও তারা যেতে চায়নি বলে জানিয়ে কলেজ অধ্যক্ষ ডাঃ ভাস্কর সাহা বলেন, দিনে দিনে গোটা মেডিক্যাল কলেজ ক্যাম্পাসে আবাসন সংকট তীব্র হচ্ছে। আর এ কারণেই কয়েকবছর আগে ওই ছাত্রীদের মরদেহ কাটা ঘরে নয় ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের দোতলা মরচুয়ারি ভবনে থাকতে বলা হয়। যেখানে আমাদের সরকারী স্টাফরা তাদের নিরাপত্তা ও সহযোগিতা দিতে নিয়োজিত রয়েছেন। তিনি আরও বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে কলেজের হাবিবুর রহমান ছাত্রবাস, ছাত্রীদের পুরাতন (১ নম্বর) হোস্টেল ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পরেছে। ছাত্রী হোস্টেলটি তো এক রকম বাতিল বলা যায়। তারপরেও এসব হোস্টেলে ছাত্র-ছাত্রীরা থাকছেন। বর্তমানে ডেন্টাল অনুষদের শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা হোস্টেলের পাশাপাশি একটি ছেলেদের ও দুটি মেয়েদের হোস্টেল জরুরি প্রয়োজন রয়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
×