ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

ব্রুনাইয়ে বাংলাদেশী খেলা ব্যুত্থানের উত্থান

প্রকাশিত: ০১:১৩, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮

ব্রুনাইয়ে বাংলাদেশী খেলা ব্যুত্থানের উত্থান

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ব্রুনাই ব্যুত্থান এ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে ২৩শে সেপ্টেম্বর পুসাত বেলিয়ায় অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশী খেলা ব্যুত্থানের সেমিনার ও প্রদর্শনী। ব্রুনাই ব্যুত্থান এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ওয়াং বারহোরমাত হাজি মুহাইমিন বিন হাজি জোহারি আনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন। প্রধান অতিথি ছিলেন ওয়াং বারহোমাত ওয়গ নায়িম বিন হাজি খামিশ। সেমিনারটি শুরু হয় ব্রুনাই ব্যুত্থান এ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সামসুল বাহরিন আবদ রহমান সাহেবের শুভেচ্ছাবাণী দিয়ে। সভায় মূল ব্যক্তব্য রাখেন ইন্টারন্যাশনাল ব্যুত্থান ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক গ্র্যান্ডমাস্টার আচার্য ইউরি বজ্রমুনী। বজ্রপ্রাণের বিভিন্ন কৌশল এবং মনোদৈহিক উপকারিতা সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন তিনি। পরর্বতীতে ব্রুনাই ব্যুত্থান এ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা একটি প্রর্দশনী দেখান। বজ্রমুনী তার রচিত ‘হান্ড্রেড উইশডম টু চেঞ্জ ইয়োর লাইফ’ বইটি অতিথিদের উপহার দেন। উল্লেখ্য, ব্রুনাই সরকার অফিসিয়ালি বাংলাদেশের কমব্যাট স্পোর্টস ব্যুত্থানকে স্বীকৃতি দিয়েছে তাদের দেশে প্রচার এবং প্রসারের জন্য। ব্রুনাইয়ে ব্যুত্থানকে পরিচিত করার জন্য বাংলাদেশ ও ব্রুনাই সরকার এবং তাদের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় যৌথ উদ্যোগে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করবেন, যা দু’দেশের সর্ম্পককে আরও সুদৃঢ় করবে। গ্র্যান্ডমাস্টার আচার্য ইউরি বজ্রমুনিকে ডিসকভারি চ্যানেলের বৈজ্ঞানিক গবেষণা দল ‘বিশ্বের শীর্ষ পাঁচ সুপার হিউম্যান’ বা অতিমানবদের অন্যতম হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। ইউরি বজ্রমুনি বিশ্বরেকর্ডকারী আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ও পৃথিবীর শীর্ষস্থানীয় মনোদৈহিক চর্চার ক্ষেত্রে একজন অনন্য পথিকৃৎ। তিনি ডিসকভারি চ্যানেল, কোয়েস্ট চ্যানেল এবং যুক্তরাষ্ট্রের ‘রিপ্লিস বিলিভ ইট অর নট’- এ স্থান পেয়েছেন। ব্যুত্থান বাংলাদেশের একটি আত্মরক্ষামূলক ক্রীড়া, যাকে প্রধানত আত্মশুদ্ধির খেলা নামে অভিহিত করা হয়। ‘ব্যুত্থান’ একটি সংস্কৃত শব্দ থেকে আসা বাংলা শব্দ। যার অর্থ ‘স্বাতন্ত্রের সঙ্গে প্রতিরোধ’। ব্যুত্থান পৃথিবীর প্রথম আত্মরক্ষামূলক ক্রীড়া যেখানে সহ-প্রতিযোগিতা পদ্ধতির সূচনা করা হয়েছে। ব্যুত্থান ট্রেনিং একজন মানুষের শারীরিক, মানসিক এবং আধ্যাতিকÑ এই তিনের সমন্বয় করে যা তার মধ্যে শৃঙ্খলা ও চারিত্রিক উন্নতি ঘটায়। ব্যুত্থানের চারটা পিলার বা স্তম্ভ-ক্রিয়া, আত্মশুদ্ধি, কল্যাণ, আত্মরক্ষা; যা একজন ব্যুত্থানচারীর জীবনে সার্বিক অর্থাৎ মনোদৈহিক উন্নয়ন ঘটায়।
×