ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

আগামীকাল হবিগঞ্জ;###;সম্ভাব্য প্রার্থীদের ছবি ৩-এর পাতায়

আওয়ামী লীগের ভরসা বীর বাহাদুর, আসনটির দখল চায় বিএনপি ॥ বান্দরবান

প্রকাশিত: ০৫:৩৭, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮

আওয়ামী লীগের ভরসা বীর বাহাদুর, আসনটির দখল চায় বিএনপি ॥ বান্দরবান

এস বাসু দাশ, বান্দরবান ॥ ১১টি পাহাড়ী জনগোষ্ঠীসহ বাঙালীদের বসবাস পার্বত্য জেলা বান্দরবানে। পার্বত্য জেলার আওয়ামী লীগের দীর্ঘদিনের ঘাঁটি বলে খ্যাত পুরো জেলা নিয়ে গঠিত এ আসনটি। এ আসন থেকে টানা পাঁচবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বীর বাহাদুর উশৈসিং। তিনি বর্তমান সরকারের পাবর্ত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। আগামী নির্বাচনে তার মনোনয়ন নিশ্চিত হলেও বিএনপি থেকে কে মনোনয়ন পাচ্ছেন, আর কোন দল কাকে সমর্থন দিচ্ছে তা নিয়ে ভোটারদের মধ্যে যেন বিশ্লেষণের শেষ নেই। জেলার রাজনীতির মাঠের গুঞ্জন আর সমীকরণ নিয়ে এখন থেকেই নির্বাচনী রাজনীতি জমে উঠেছে বান্দরবানে। ২০০১ সালে বিএনপির সাচিং প্রু জেরী ও মাম্যাচিং দুজনই সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামেন এবং দুজনই আওয়ামী লীগের প্রার্থী বীর বাহাদুরের কাছে পরাজিত হন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি দলীয় মনোনয়ন পান মাম্যাচিং। তখন সাচিং প্রু নির্বাচন না করলেও পেছন থেকে কলকাঠি নাড়ার কারণে মাম্যাচিং মাত্র ৮শ ৫৩ ভোটে বীর বাহাদুরের কাছে হেরে যান। ২০১৪ সালের সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেয়নি। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে দলের বহিষ্কৃত সাবেক সভাপতি প্রসন্ন কান্তি তংচঙ্গ্যা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও রাজনীতির মাঠে ক্লিন ইমেজের কারণে বীর বাহাদুর পঞ্চমবারের মতো তার ধারাবাহিক বিজয় অক্ষুণœ রাখতে সক্ষম হন। নির্বাচনের পর থেকেই বীর বাহাদুর রাজনীতির মাঠে আরও সময় দিয়ে, শহর থেকে দুর্গম এলাকায় নজর কাড়া উন্নয়ন, জনগণের কাছে গিয়ে নিজেকে আরও জনপ্রিয় করে তোলেন। আর এই জনপ্রিয়তাকেই পুঁজি করেই ৬ষ্ঠ বারের মতো নির্বাচনে জয়ী হয়ে আসতে পারেন আওয়ামী লীগের একমাত্র প্রার্থী বীর বাহাদুর। তবে জেলার ১১টি পাহাড়ী জনগোষ্ঠীর এ আসনে কয়েকটি আঞ্চলিক দল যে কোন প্রার্থীর জয়-পরাজয়ে বড় ফ্যাক্টর হিসেবে দেখা দিতে পারে। জানা গেছে বিএনপির জেলা বর্তমান কমিটি ম্যামাচিং গ্রুপের থেকে হওয়ার কারণে বান্দরবানে বিএনপিকে সক্রিয় রাখতে স্বাভাবিকভাবেই এবার সাচিং প্রু জেরীকে কেন্দ্র থেকে মনোনয়ন দেয়া হতে পারে। অন্যদিকে বর্তমান কমিটির তৃণমূলের শক্তির কারণে মাম্যাচিংও দলীয় মনোনয়ন পেলে অবাক হওয়ার কিছুই থাকবে না। বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থীর মধ্যেই মূল লড়াই হলেও দুই দলকেই এবার ভিন্ন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে। তবে অন্তর্দ্বন্দ্ব আর কোন্দলে বান্দরবান জেলাজুড়ে নাজুক অবস্থার মধ্যে রয়েছে বিএনপি। সাবেক সভাপতি সাচিং প্রু জেরী আর বর্তমান সভাপতি মাম্যাচিং সমর্থকদের মধ্যে দ্বন্দ্ব এখন চরমে। ফলে বিভক্ত হয়ে পড়ছে দলীয় নেতাকর্মীরা। তাই নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসবে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল তত চাঙ্গা হবে বলে মনে করছে অনেকে। তবে জেলা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সাবেক সভাপতি প্রসন্ন কান্তি তংচঙ্গ্যা প্রার্থী হলে এ ক্ষেত্রে কিছুটা অস্বস্তিতে পড়বেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী বীর বাহাদুর। জেলা বিএনপির একাধিক সূত্র বলছে, জেলা বিএনপির আংশিক কমিটি নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে বিভক্তি। কেন্দ্রীয় কর্মসূচীগুলো আলাদাভাবে পালন করে আসছে দুপক্ষই। এছাড়াও একে অপরকে ঘায়েল করার জন্য দুপক্ষই জড়িয়েছে সংঘাতে, ফলে পাল্টাপাল্টি মামলায় জর্জরিত দলটির নেতাকর্মীরা। যার কারণে জেলার রাজনীতির মাঠে অনেকটা সুবিধাজনক অবস্থানে আছে আওয়ামী লীগ। এ অবস্থা চলতে থাকলে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনে বিএনপির নির্বাচনী ফলাফল সন্তোষজনক হবে না বলেই মনে করছেন মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। জেরী-মাম্যাচিং এর বিরোধ নিরসন প্রয়োজন মনে করে লামা উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোঃ আমির হোসেন জানান, এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিবের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে আলাপ হয়েছে। দ্রুত উভয়কে নিয়ে বসে তিনি বিষয়টি সমাধান করার আশ্বাস দিয়েছেন। স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ১৪তম বোমাং রাজা মং শৈ প্রু চৌধুরীর দুই ছেলে ছাড়া রাজপরিবারের অন্য সবাই বিএনপি সমর্থক। রাজার আসনে বসা নিয়ে বোমাং রাজপরিবারের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ১৯৬০ সাল থেকেই। সে সময়ে অং শৈ প্রুকে পেছনে ফেলে রাজার আসনে বসেন মং শৈ প্রু চৌধুরী। মং শৈ প্রু চৌধুরী স্বাধীনতাযুদ্ধে বাংলাদেশের পক্ষে অবস্থান নিলেও অং শৈ প্রু চৌধুরী ছিলেন পাকিস্তানের পক্ষে। সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আমলে অং শৈ প্রু চৌধুরী খাদ্য প্রতিমন্ত্রীও নিযুক্ত হন। মং শৈ প্রু চৌধুরীর মৃত্যুর পর আদালতে লড়াই করে অং শৈ প্রু রাজা হয়েছেন তবে রাজপরিবারের দ্বন্দ্বের অবসান হয়নি। আর এই দ্বন্দ্বের ধারাবাহিকতা থাকলে সুবিধাজনক অবস্থানে থাকবে আওয়ামী লীগের বীর বাহাদুর। মিটবে না বিএনপির বিরোধী ॥ আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জেলা বিএনপিতে বিরোধ যে কোন সময়ের চেয়ে বেশি চাঙ্গা হয়ে উঠবে, হয়তো তা প্রকাশ্যে, নয়তো অপ্রকাশ্যে। সাচিং প্রু জেরী ও মাম্যাচিং সাংগঠনিক তৎপরতা চালাচ্ছেন আলাদা আলাদাভাবে, নির্বাচনে মনোনয়ন পেতে দুজনেই বিগত সময়ের মতো কেন্দ্রে লবিং করছেন। জেলা বিএনপির শীর্ষস্থানীয় একটি সূত্র জানায়, মাম্যাচিং যেহেতু জেলা বিএনপির সভাপতি সেক্ষেত্রে ক্ষোভ প্রশমনে এবার সাচিং প্রু জেরীর মনোনয়ন অনেকটা নিশ্চিত। ফলে মাম্যাচিং গ্রুপ বিদ্রোহী প্রার্থী দিয়ে তাঁর বিপক্ষে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। অথবা অন্য কোন প্রার্থীকে গোপনে সমর্থন দিতে পারে, এক্ষেত্রে গোপনে বীর বাহাদুরকে বেছে নিতে পারেন বিএনপির একাংশের নেতাকর্মীরা। বিএনপি থেকে মাম্যাচিং বা সাচিং প্রু জেরীÑ যাকেই মনোনয়ন দেয়া হোক না কেন, বিএনপি ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচন করতে পারবে না। আরও বেশি সক্রিয় আওয়ামী লীগ ॥ সংগঠন বিরোধী বিভিন্ন কর্মকা- ও নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে মনগড়া সিদ্ধান্ত নিয়ে দলীয় সুনাম ক্ষুণœ করায় ২০১৩ সালের ২ ডিসেম্বর বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রসন্ন কান্তি তংচঙ্গ্যাকে বহিষ্কার করা হয়। সর্বশেষ দলীয় সংসদীয় কমিটির সিদ্ধান্ত অমান্য করে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন তিনি। ২০১৫ সালের জুন মাসে জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলনে হামলার অভিযোগে কাজি মুজিবুর রহমানসহ ২২ নেতাকর্মীকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে প্রসন্ন-মুজিব দুজন দুই মেরুর বাসিন্দা হয়ে একে অপরের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করলেও গত বছরের ৯ ডিসেম্বর কক্সবাজারের একটি হোটেলে বহিষ্কৃত জেলা আ’লীগের সাবেক সভাপতি প্রসন্ন কান্তি তংচঙ্গ্যা ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজি মুজিবুর রহমান গোপন বৈঠক করেন এবং বীর বাহাদুরের বিরুদ্ধে প্রার্থী দাঁড় করানোর জন্য প্রস্তুতি নেন, যা এখনও অব্যাহত আছে। এ ব্যাপারে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লক্ষ্মী পদ দাশ বলেন, প্রসন্ন-মুজিব দলে থাকা অবস্থায় আমরা একটি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জয়ী হতে পারিনি। তাদের বহিষ্কারের পর ৩৩ ইউনিয়নের মধ্যে ২৯টিতে আওয়ামী লীগ জয়ী হয়, ২টি পৌরসভায় জয়ী হয়েছে, তাদের যদি কেউ নির্বাচনে প্রার্থী হয় তাহলেও বীর বাহাদুরের আগামী নির্বাচনে জয়ী হতে কোন প্রভাব পড়বে না। এদিকে দলের বিরুদ্ধে ও দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে সব ষড়যন্ত্র রুখে দিতে গত ২৬ জুলাই বান্দরবান শহরের অরুণ সারকী টাউন হলে অনুষ্ঠিত জেলা আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় তৃণমূলের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় এবং বিগত সময়ের মতো আগামী নির্বাচনেও যে কোন মূল্যে দলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীদের প্রতিহত করা হবে বলে ঘোষণা করা হয়। অন্যদিকে একসময়ের রাজনৈতিক মিত্র পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা করছে আওয়ামী লীগ। এর পাশাপাশি দলটির নেতাকর্মীরা বীর বাহাদুরের ক্লিন ইমেজ, রুমা সাঙ্গু সেতু নির্মাণ, থানচি সাঙ্গু সেতু নির্মাণ ও থানচি উপজেলায় বিদ্যুত সরবরাহসহ স্থানীয়দের স্বপ্নের শত শত উন্নয়ন কাজগুলো এলাকার হোম টু হোম দৃশ্যমান উন্নয়ন কর্মকা- জনগণের সামনে তুলে ধরে এখন থেকেই নির্বাচনে নিজেদের ঘাঁটি অক্ষুণœ রাখতে কাজ করে যাচ্ছে দলটি। বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি একেএম জাহাঙ্গীর বলেন, দলে কোন সঙ্কট নেই, অতীতে দলের সঙ্গে বেইমানি করে অনেকে প্রার্থী হলেও তারা সফল হতে পারেনি। আগামী নির্বাচনে বীর বাহাদুর এই নির্বাচিত হবেন। কোন ভূমিকায় থাকবে জেএসএস? ॥ আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতা মং প্রু মার্মা অপহরণ, আর এ ঘটনায় আসামি হওয়ায় বান্দরবান জেলা জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা ঘরছাড়া হয়। বিগত উপজেলা নির্বাচনে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি বিএনপির প্রার্থীদের, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী প্রসন্ন কান্তি তংচঙ্গ্যাকে সমর্থন ও পৌরসভা নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীকে সমর্থন দেয়। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী দিবে, নাকি অন্য প্রার্থীকে সমর্থন দিবে সেই ব্যাপারে এখনও সিদ্ধান্ত নেয়নি দলটি। তবে প্রার্থী হিসেবে দেখা যেতে পারে জলি মং মার্মাকে। নির্বাচনে তাদের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ অংশগ্রহণ থাকবে। সেক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ বিরোধী যে কোন শক্তিকে দলটি সমর্থন দিতে পারে এমন মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। এক সময়ের রাজনৈতিক মিত্র জনসংহতি সমিতির বিরোধিতার কারণে নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়া আওয়ামী লীগের পক্ষে কঠিন হয়ে দাঁড়াবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তবে ইতোমধ্যে জেএসএসের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সম্পর্ক উন্নয়ন হচ্ছে, দুটি দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ বেড়েছে। আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের ব্যাপারে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক জলি মং মার্মা বলেন, রাজনীতিতে শেষ বলে কিছুই নেই, আওয়ামী লীগের সঙ্গে আমাদের দূরত্ব কমেছে। বান্দরবানে জামায়াতের খুব একটা সমর্থক না থাকলেও বিগত নির্বাচনগুলোতে প্রার্থী দিয়ে বা অন্য প্রার্থীর পক্ষে সমর্থন দিয়ে আওয়ামী লীগ বিরোধী একটি শক্ত প্রতিপক্ষ ছিল জামায়াতে ইসলামী। নিবন্ধন বাতিল হওয়ায় আগামী নির্বাচনে তারা দলীয় প্রার্থী নিয়ে মাঠে নামতে পারবে না, তবে সমর্থন থাকবে বিএনপির প্রার্থীর পক্ষে। অন্যদিকে মামলায় জড়িয়ে জামায়াত নেতাদের অনেকেই এখন কোণঠাসা। অন্যদিকে জেলায় জাতীয় পার্টি ও ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) রাজনীতি থাকলেও ইউপিডিএফ থেকে ছোটন কান্তি তংচঙ্গ্যাকে প্রার্থী হিসেবে ফের দেখা গেলেও জাতীয় পার্টি দলগতভাবে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে সমর্থন দিবে।
×