স্টাফ রিপোর্টার ॥ নিরাপত্তার সূচকে বাংলাদেশের আকাশপথ ভারতের চেয়ে অনেক বেশি এগিয়ে। ইন্টারন্যাশনাল সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশনের (আইকাও) বিশ্বব্যাপী ইউনিভার্সেল ওভারসাইট সেফটি অডিট প্রোগ্রাম ২০১৭ সালের এক প্রতিবেদনে এ ধরনের তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- আটটি পরিমিতির পাঁচটিতেই কার্যকর বাস্তবায়নে বৈশ্বিক গড় স্কোর পেতে ব্যর্থ হয়েছে ভারত। যে আটটি বিষয়ের ওপর বিমান নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করা হয় সেগুলো হলো ব্যবস্থাপনা, প্রতিষ্ঠান, লাইসেন্স, অপারেশন, বিমান পরিচালনার যোগ্যতা, দুর্ঘটনার তদন্ত, বিমান পরিভ্রমণ সেবা এবং বিমানবন্দর। এসব সূচকে বাংলাদেশের স্কোর ৭৬ যেখানে ভারতের স্কোর হচেছ ৫৭।
সিভিল এভিয়েশনের পরিচালক চৌধুরি জিয়াউল কবির বলেন, এ সূচক কিছু দিন পর পরই হালনাগাদ করা হয়। এই বিষয়গুলো কতটা নিরাপদ এবং বিমান পরিচালনার ক্ষেত্রে এই বিষয়গুলো কার্যকর কি না সে বিষয়ের ওপর ভিত্তি করেই ওই নিরীক্ষা পরিচালনা করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ থেকে পিছিয়ে আছে ভারত। আইকাও-এর মানদ-ে ওই আটটি গুরুত্বপূর্ণ মাপকাঠির কার্যকর বাস্তবায়নে ভারতসহ এশিয়ার অনেক উন্নত দেশের চেয়েও এগিয়ে আছে বাংলাদেশ।
এ আটটি প্যারামিটারের মধ্যে সাতটিতেই ভারতের চেয়ে ভাল স্থান অর্জন করেছে বাংলাদেশ। এছাড়া ইন্দোনেশিয়া সবগুলো ক্ষেত্রেই ভারতের চেয়ে ভাল অবস্থান অর্জন করেছে। অপরদিকে পাঁচটি প্যারামিটারে ভারতকে পেছনে ফেলে এগিয়ে আছে মালয়েশিয়া।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে ভারতের জেট এয়ারওয়েজের একটি বিমানে যাত্রীদের নাক ও কান দিয়ে রক্তক্ষরণের ঘটনা ঘটে। মাঝ আকাশে হঠাৎ করেই যাত্রীদের অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। অনেকেরই মাথা ঘুরছিল আবার কারও কারও নাক ও কান দিয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। মাঝ আকাশে হঠাৎ করেই বিমানের কেবিনের এয়ার প্রেসার কমে যায়। যার ফলে, শ্বাসকষ্ট শুরু হয় যাত্রীদের। জেট এয়ারওয়েজের ওই ফ্লাইটটি মুম্বাই থেকে জয়পুরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল। হঠাৎ করেই বিমানের এসি বিকল হয়ে যায়। কেবিন প্রেসার কমতে থাকে। কেবিনের এয়ার প্রেসার স্বাভাবিক রাখতে নির্দিষ্ট একটি সুইচ চাপতে ভুলে গিয়েছিলেন বিমানের ক্রুরা। ওই ঘটনার কয়েকদিনের মাথায় বিমান নিরাপত্তার এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হলো। ওই বিমানটিতে ১৭১ জন যাত্রী ছিলেন। ক্রু সদস্যের ভুলে এতগুলো যাত্রীর মারাত্মক ক্ষতি হতে পারত। অল্পের জন্য বেঁচে গেছেন বিমানের আরোহীরা। এই ঘটনা তদন্ত করছে এয়ারক্রাফট এ্যাকসিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (এএআইবি)। বড় ধরনের ঘটনা বা বিমান সংক্রান্ত দুর্ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত করে এএআইবি।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: