ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সংস্কৃতি সংবাদ

শামা রহমান ও মোস্তাফিজুর রহমান তুর্যর গানে মুগ্ধ শ্রোতা

প্রকাশিত: ০৫:৪৬, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮

শামা রহমান ও মোস্তাফিজুর রহমান তুর্যর গানে মুগ্ধ শ্রোতা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ উনিশ-বিশ শতকে বাংলা গানের সনাতন পদ্ধতি ভেঙ্গে নতুন রীতিতে ভক্তিমূলক গান, রাগসঙ্গীত, রাগপ্রধান গান এবং লঘু সঙ্গীতের মিলিত ধারায় আধুনিক বাংলা গানের নতুন শৈলীর সূচনা করেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, যা স্বকীয় অভিনবত্বে প্রোজ্জ্বল। এই সঙ্গীতকলা মানুষের বৈচিত্র্যময় জীবনের প্রাণস্ফূর্তিতে আজও প্রাসঙ্গিক। ছায়ানট মিলনায়তনে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তারই অনুরণন ঘটালেন দেশের বরেণ্য শিল্পী শামা রহমান ও মোস্তাফিজুর রহমান তূর্য। বেঙ্গল ফাউন্ডেশন নিবেদিত ‘প্রাণের খেলা’ গানের আসরে এ শিল্পীদ্বয় একে একে গেয়ে শোনালেন রবীন্দ্রনাথের সব হৃদয়স্পর্শী গান। ভাষাসংগ্রামী অজিতকুমার গুহ স্মারক বক্তৃতা অনুষ্ঠিত ॥ বাংলা সাহিত্য সংস্কৃতি, রাজনীতি জগতের চার গুণী স্মরণে স্মারক বক্তৃতার আয়োজন করেছে বাংলা একাডেমি। এরা হলেন ভাষাসংগ্রামী শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত, অজিত কুমার গুহ ও কবি মাহবুব উল আলম চৌধুরী এবং শিক্ষাবিদ গবেষক ড. মুহম্মদ এনামুল হক। চার দিনব্যাপী এ স্মারক বক্তৃতানুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিন ছিল মঙ্গলবার। ভাষাসংগ্রামী অজিতকুমার গুহ স্মারক বক্তৃতা অনুষ্ঠিত হয় বাংলা একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে এদিন বিকেলে। অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কামাল লোহানী। সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি ও জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষাবার্তা সম্পাদক অধ্যাপক এ এন রাশেদা, রামেন্দু মজুমদার ও আরমা দত্ত। স্মারক বক্তৃতায় কামাল লোহানী বলেন, শিক্ষক হিসেবে অজিতকুমার গুহ নিজের জাগতিক উন্নতিকে কখনও বড় করে দেখেননি বরং শিক্ষার্থীদের আদর্শ জীবন উপহার দেয়াই ছিল তার ব্রত। তার রচনার পরিমাণ সংখ্যাগত বিচারে অপ্রতুল হলেও বাংলা সাহিত্য সমালোচনায় উচ্চমানের পরিচয়বহ। পূর্ববাংলার সাংস্কৃতিক জাগরণের পুরোধা ব্যক্তিত্ব হিসেবে আমরা তাকে অনায়াসে চিহ্নিত করতে পারি। মহান ভাষা আন্দোলনে তিনি অনন্য ভূমিকা পালন করেছিলেন, কারাবরণ করেছেন। কারাগারে গিয়েও বাঙালী সংস্কৃতির বিকাশের পক্ষে সাহসী ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি বলেন, অজিতকুমার গুহ ও তার প্রজন্ম তাদের জীবনসংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সাংস্কৃতিক পটভূমি নির্মাণ করে গেছেন। সভাপতির বক্তব্যে জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বলেন, আমার সৌভাগ্য যে আমি অজিতকুমার গুহ’র ছাত্র ছিলাম। বিদ্যাদানের বাইরেও অজিতকুমার গুহ তার অজ¯্র শিক্ষার্থীকে রুচিমান হতে শিখিয়েছিলেন, নিজের ভাষা ও সংস্কৃতিকে ভালবাসতে শিখিয়েছিলেন। ভাষা আন্দোলনে যেমন তার ভূমিকা রয়েছে তেমনি ঢাকার প্রগতিশীল সাহিত্য-সাংস্কৃতিক পরিসরে তার উজ্জ্বল উপস্থিতি বজায় ছিল। তিনি বলেন, তার লিখিত রচনার পরিমাণ হয়ত খুব বেশি নয় কিন্তু এর মধ্যেই তীক্ষè সাহিত্যবোধের পরিচয় মুদ্রিত রয়েছে। অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ প্রদান করেন বাংলা একাডেমির ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন। জাদুঘরে জাতীয় যন্ত্রসঙ্গীত শিল্পী সম্মিলন অনুষ্ঠিত ॥ যন্ত্রসঙ্গীত শিল্পী সম্মিলন হয় জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে মঙ্গলবার সন্ধ্যায়। চতুর্থবারের মতো এ আয়োজন করে বাংলাদেশ মিউজিশিয়ান ফাউন্ডেশন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম, শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী, বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক নারায়ন চন্দ্র শীল, জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক মোঃ আবদুল মান্নান ইলিয়াস, বিএমএফের প্রধান উপদেষ্টা মোঃ আকবর হোসেন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি গাজী আবদুর হাকিম। অনুষ্ঠানে মরণোত্তর বিএমএফ সম্মাননা প্রদান করা হয় এস্রাজশিল্পী ফুলঝুরি খান ও বেহালাশিল্পী সুবল দত্তকে এবং পারকাশানশিল্পী ইমতিয়াজ আহমেদকে। ঢাবিতে রবীন্দ্র-নজরুল উৎসব শুরু হচ্ছে বৃহস্পতিবার ॥ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রবীন্দ্র-নজরুল উৎসব শুরু হচ্ছে বৃহস্পতিবার। বিশ^বিদ্যালয়ের কলা অনুষদের উদ্যোগে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) উৎসবের উদ্বোধন হবে বিকেল ৪টায়। উৎসব উদ্বোধন করবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমাদ। অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ জাতীয় অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান ও জাতীয় অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম যথাক্রমে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সৃষ্টি বিষয়ক বক্তব্য রাখবেন। এতে সভাপতিত্ব করবেন কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবু মোঃ দেলোয়ার হোসেন। ‘তোমার চোখে এসএম সুলতান’ চিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন ॥ শিশুদের আঁকা ছবি, নাচ ও গান আর আলোচনার মধ্য দিয়ে শিল্পগুরু এসএম সুলতানের ৯৪তম জন্মবার্ষিকী ও চিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন হয় মঙ্গলবার সন্ধ্যায়। প্রদর্শনীর শিরোনাম ‘তোমার চোখে এসএম সুলতান’। রাজধানীর গ্যালারি টোয়েন্টি ওয়ানে চারুপুঁথি আয়োজিত এ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বরেণ্য চিত্রশিল্পী আবুল র্বাক আলভী। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কাজী ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর হায়দার চৌধুরী, শিল্পী সৈয়দ গোলাম দস্তগীর ও ব্যবসায়ী খালিদ কাদির। প্রদর্শনী চলবে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এবং প্রতিদিন দুপুর ১২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দর্শকের জন্য খোলা থাকবে।
×