ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

দ্বেবিদ্বার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

ডাক্তার ও কনসালটেন্টকে কারণ দর্শাও, দুই কর্মচারী সাসপেন্ড

প্রকাশিত: ০৫:৪৭, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮

ডাক্তার ও কনসালটেন্টকে কারণ দর্শাও, দুই কর্মচারী সাসপেন্ড

নিজস্ব সংবাদদাতা, কুমিল্লা, ২৫ সেপ্টেম্বর ॥ দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ফাতেমা বেগম নামে এক প্রসূতির গর্ভের সন্তান টেনে-ছিঁড়ে বের করার ঘটনায় ওই হাসপাতালের জেসমিন আক্তার পলি নামের এক আয়া ও শিরীন আক্তার নামের এক পরিচ্ছন্নতাকর্মীকে মঙ্গলবার সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া, জেলা সিভিল সার্জনের আকস্মিক পরিদর্শনের সময় ওই হাসপাতালের ২ চিকিৎসক আপেল চন্দ্র সাহা ও ফারহানা ইয়াসমিনকে মঙ্গলবার কর্মস্থলে অননুমোদিতভাবে অনুপস্থিত থাকায় কারণ দর্শানোর নোটিস দেয়া হয়েছে। এদিকে মর্মান্তিক এ ঘটনা তদন্তে জেলা সিভিল সার্জনের তত্ত্বাবধানে গঠিত তদন্ত কমিটি বুধবার থেকে ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত শুরু করবে বলে জানা গেছে। গণমাধ্যমের সুবাদে রোমহর্ষক এ বিষয়টি মঙ্গলবারও দিনভর গণমানুষের মাঝে আলোচনা-সমালোচনার বিষয় ছিল। ঘটনাটি পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হলে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও জেলা সিভিল সার্জনের তত্ত্বাবধানে রবিবার ও সোমবার পৃথক ২টি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এদিকে জেলা সিভিল সার্জন মঙ্গলবার দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স আকস্মিক। পরিদর্শন শেষে জানান, ওই হাসপাতালের অর্থোপেডিক্স বিভাগের কনসালটেন্ট আপেল চন্দ্র সাহা, মেডিক্যাল অফিসার ফারহানা ইয়াসমিন মঙ্গলবার কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন। তাদের অনুপস্থিতির কারণ দর্শানোর নোটিস দেয়া হয়েছে এবং ৭ দিনের মধ্যে এর জবাব দেয়ার জন্য বলা হয়েছে। এছাড়া নবজাতকের গর্ভের সন্তান টেনে-ছিঁড়ে বের করা সংক্রান্ত কর্মকা-ে অবহেলার বিষয়ে প্রাথমিকভাবে হাসপাতালের আয়া জেসমিন আক্তার পলি ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী শিরীন আক্তারকে মঙ্গলবার সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, জেলার মেঘনা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে গঠিত ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি বুধবার থেকে ঘটনাস্থল দেবিদ্বার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে তদন্ত শুরু করবে এবং সংশ্লিষ্ট সকলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবে সে মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরও জানান, এ ঘটনার পর স্বাস্থ্য বিভাগের চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক ডাঃ মোঃ আবুল কাশেম মঙ্গলবার কুমিল্লা এসেছিলেন। তাকে সকল বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে। এদিকে দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ আহাম্মদ কবির জানান, তার তত্ত্বাবধানে গঠিত ওই হাসপাতালের ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি মঙ্গলবার সকাল থেকে ৩ জন চিকিৎসক রোমানা পারভীন, নীলা পারভীন, আহসানুল হক মিলু, ৩ নার্স ও ১ আয়াসহ ৭ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। ডাক্তারদের কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকা ও প্রাইভেট প্র্যাকটিস প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ডাক্তাররা কি কারণে অনুপস্থিত ছিলেন তা তাদের জবাব পাওয়ার পর জানা যাবে। তারা কুমিল্লা শহরে বসবাস করেন। তবে সরকারী দায়িত্ব পালনের সময়ে ওই হাসপাতালের চিকিৎসকরা প্রাইভেট হাসপাতালে প্র্যাকটিস করেন না বলে তিনি দাবি করেন।
×