ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

পদ্মা লাইফ কিনে নিচ্ছে এস আলম গ্রুপ

প্রকাশিত: ০৬:০৬, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮

পদ্মা লাইফ কিনে নিচ্ছে এস আলম গ্রুপ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ পদ্মা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের উদ্যোক্তা/পরিচালকদের শেয়ার কিনে নিচ্ছেন এস আলম গ্রুপ। এর মাধ্যমে কোম্পানিটিতে নিয়ন্ত্রণ নিতে যাচ্ছে গ্রুপটি। স্টক একচেঞ্জের ঘোষণা না দিয়েই পরিচালকরা গোপনে শেয়ার বিক্রির প্রক্রিয়া শেষ করছে। জানা গেছে, পদ্মা ইসলামী লাইফের ১৭ জন উদ্যোক্তা ও পরিচালক এবং একজন শেয়ারহোল্ডারের কাছ থেকে প্রতিষ্ঠানটির ১ কোটি ৭৪ লাখ ১০ হাজার ৯০০টি বা ৪৪.৭৮ শতাংশ শেয়ার কিনে নিচ্ছে এস আলম গ্রুপ। এ জন্য প্রতিটি শেয়ার লেনদেনে মূল্য ধরা হয়েছে ১০ টাকা। যা এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম, সাইফুল আলমের স্ত্রী ফারজানা পারভীন ও ছেলে আহসানুল আলম এবং তাদের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান এফিনিটি অ্যাসেটস লিমিটেড, ক্রেস্ট হোল্ডিংস লিমিটেড, প্যাভিলিয়ন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড, ইউনিটেক্স পেট্রোলিয়াম লিমিটেড ও ইউনিটেক্স এলপি গ্যাস লিমিটেডের নামের কেনা হচ্ছে। চলতি বছরের ১৩ আগস্ট অনুষ্ঠিত পদ্মা ইসলামী লাইফের ১৫৪তম পর্ষদ সভায় উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের শেয়ার বিক্রির সিদ্ধান্ত হয়। কোম্পানিটির চেয়ারম্যান এ এফ এম ওবায়দুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই সভায় পদ্মা লাইফের সকল উদ্যোক্তা পরিচালক, পরিচালক ও উদ্যোক্তা শেয়ারহোল্ডার শেয়ার বিক্রিতে সম্মতি দেন বলে পর্ষদ সভার নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম নিজের নামে ক্রয় করছেন পদ্মা ইসলামী লাইফের ৯ লাখ ৮০ হাজার ৪০০টি বা ২.৫২ শতাংশ শেয়ার। এছাড়া মোহাম্মদ সাইফুল আলমের স্ত্রী ফারজানা পারভীনের নামে ১০ লাখ ৫৬ হাজার ৯৬০টি বা ২.৭২ শতাংশ, সাইফুল আলমের ছেলে আহসানুল আলমের নামে ১৮ লাখ ৫০ হাজার বা ৪.৭৬ শতাংশ শেয়ার, ক্রেস্ট হোল্ডিংস লিমিটেডের নামে ২৬ লাখ ৯৮ হাজার ১২০টি বা ৬.৯৪ শতাংশ, এফিনিটি এ্যাসেটস লিমিটেডের নামে ২৩ লাখ ৮৮ হাজার ৩২০টি বা ৬.১৪ শতাংশ শেয়ার, প্যাভিলিয়ন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের নামে ২৮ লাখ ১০ হাজার ৭২০টি বা ৭.২৩ শতাংশ, ইউনিটেক্স এলপি গ্যাস লিমিটেডের নামে ৩০ লাখ ৯৩ হাজার ৬০০টি বা ৭.৯৬ শতাংশ শেয়ার, ইউনিটেক্স পেট্রোলিয়ামের নামে ২৫ লাখ ৩২ হাজার ৭৮০টি বা ৬.৫১ শতাংশ শেয়ার কেনা হচ্ছে। পদ্মা ইসলামী লাইফের মালিকদের শেয়ার বিক্রির বিষয়ে জানতে চাইলে কোম্পানিটির চেয়ারম্যান এ এফ এম ওবায়দুর রহমান বলেন, আমরা ব্যবসা ভাল করতে পারিনি। তাই গ্রাহকদের দাবিও ঠিকমতো পরিশোধ করতে পারিনি। এ জন্য কোম্পানির যে সম্পদ আছে তা বিক্রি করে গ্রাহকদের দাবি পরিশোধের চেষ্টা করেছি। কিন্তু তাতেও টাকার সংস্থান হয়নি। তাই আমরা গ্রাহকদের দাবি পরিশোধের জন্য কোম্পানির শেয়ার বিক্রি করে দিচ্ছি।
×