ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

এখন আরও নিঁখুত ও ভয়ঙ্কর মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান

প্রকাশিত: ০০:০৫, ৭ অক্টোবর ২০১৮

এখন আরও নিঁখুত ও ভয়ঙ্কর মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান

অনলাইন ডেস্ক ॥ যখন তখন মাঝ আকাশেই মান্ধাতার আমলের মিগ যুদ্ধবিমানের ভেঙে পড়ার দিন শেষ। মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান এখন আগের থেকে অনেক বেশি ভয়ঙ্কর ও নিঁখুত। রুশ প্রযুক্তিতে তৈরি এই যুদ্ধবিমানে মাঝ আকাশেই জ্বালানি তেল ভরার প্রযুক্তি এখন বায়ুসেনার হাতে। এ ছাড়া মিগ-২৯ এখন অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র বহনে সক্ষম এবং একই সঙ্গে বিভিন্ন দিকে আক্রমণ শানাতে দক্ষ। বিমানবাহিনীর অন্যতম অস্ত্রের আধুনিকীকরণের কাজ শেষ হওয়ায় ভারতের আকাশ এখন আগের থেকে অনেক বেশি সুরক্ষিত। সোমবার বায়ুসেনা দিবসের ঠিক আগে দেশবাসীকে এই কথা জানিয়ে আশ্বস্ত করল বায়ুসেনা। আধুনিকীকরণের আগেও অবশ্য কারগিল যুদ্ধের সময় নিজের সুনাম অক্ষুন্ন রেখেছিল মিগ-২৯। আকাশ দখলের লড়াইতে পাক বাহিনীকে আগাগোড়াই ব্যাকফুটে রেখেছিল ভারত। তার মূল কারণ ছিল মিগ-২৯ যুদ্ধবিমানই। ৯৯-এর পাক যুদ্ধ সামলে দিলেও তার পর থেকেই আধুনিকীকরণের অভাবে ধুঁকতে শুরু করে ছিল ভারতের মিগ ২৯ বিমানগুলি। দীর্ঘদিন ধরেই চলছিল আধুনিকীকরণের কাজ। শেষ পর্যন্ত গত সপ্তাহেই জলন্ধরের আকাশে উড়তে দেখা গেল নব কলেবরে বলীয়ান নতুন সাজে সজ্জিত মিগ-২৯ যুদ্ধবিমানগুলিকে। ভারতীয় বায়ুসেনার তরফে ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট করণ কোহলি জানিয়েছেন, ‘‘আকাশে যুদ্ধ চলার সময় যুদ্ধবিমানের চালক এখন আসনে বসে সামনের গ্লাস ককপিট স্ক্রিনেই দেখতে পাবেন যুদ্ধের সমস্ত খুঁটিনাটি তথ্য। শুধু তাই নয়, ভারতের আকাশসীমায় শত্রু বিমানের উপস্থিতি লক্ষ্য করার পাঁচ মিনিটের মধ্যেই আকাশে উড়ে তাকে ধ্বংস করতে সক্ষম এই মিগ-২৯।’’ নতুন বলে বলীয়ান মিগ-২৯ যুদ্ধবিমানগুলির আপাত ঠিকানা জলন্ধরের আদমপুর বায়ুসেনা ঘাঁটিতেই। কৌশলগত ভাবে এই ঘাঁটি ভারতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এখান থেকে একশো কিলোমিটার দূরে পাক সীমান্ত আর আড়াশো কিলোমিটার দূরে চিন সীমান্ত। ১৯৬৫, ১৯৭১ এবং ১৯৯৯, পাকিস্তানের সঙ্গে তিনটি যুদ্ধেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল এই আদমপুরের। এই মুহূর্তে ভারতের হাতে আছে ৩১ স্কোয়াড্রন যুদ্ধবিমান। প্রতি স্কোয়াড্রনে থাকে ১৬-১৮টি যুদ্ধবিমান। অথচ বায়ুসেনার হিসেবেই ভারতের আকাশ সুরক্ষিত রাখতে মোট ৪২ স্কোয়াড্রন যুদ্ধবিমান থাকা উচিত। অর্থাৎ নিশ্চিত ভাবেই যুদ্ধবিমানের ঘাটতি আছে ভারতের। মিগ-২৯ যুদ্ধবিমানের আধুনিকীকরণে সেই খামতি মিটিয়ে অনেকটাই এগিয়ে গেল ভারতীয় বায়ুসেনা, এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
×