ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

নানা সংস্কারে শেয়ারের ভিত্তি তৈরি হয়েছে ॥ অর্থমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০২:৩১, ৭ অক্টোবর ২০১৮

নানা সংস্কারে শেয়ারের ভিত্তি তৈরি হয়েছে ॥ অর্থমন্ত্রী

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ শেয়ারবাজার এখনও গড়ে উঠেনি বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। তবে গড়ে উঠার মতো ভিত্তি তৈরি করা হয়েছে। যাতে অচিরেই শেয়ারবাজার গড়ে উঠবে বলে মনে করেন তিনি। রবিবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে ‘বিশ্ব বিনিয়োগকারী সপ্তাহ’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশের শেয়ারবাজারে ২ বার বড় ধস হয়েছে। যার ফসল হিসেবে শেয়ারবাজারে নানা সংস্কার হয়েছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) বর্তমান কমিশন ৮ বছর ধরে কাজ করে যাচ্ছে। এবং তারা দক্ষতার নিদর্শন দেখিয়েছেন। অন্যদিকে শেয়ারবাজারের স্বার্থে প্রয়োজন হলে বুক বিল্ডিং পদ্ধতি স্থগিত বা বন্ধ করা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেন। এ সময় বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে কাট-অফ প্রাইস নির্ধারণে যোগ্য বিনিয়োগকারীদের যথাযথ দায়িত্ব পালনের জন্য অনুরোধ করেছেন তিনি। খায়রুল হোসেন বলেন, বিএসইসি বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তাদের স্বার্থে কাট-অফ প্রাইসের তুলনায় ১০ শতাংশ কমে শেয়ার দেয়া হয়। এছাড়া তাদের স্বার্থে একটি কোম্পানির ৪৫ টাকার কাট-অফ প্রাইস ১০ শতাংশ ডিসকাউন্ট শেষে গাণিতিক হিসেবে ৪১ টাকা হলেও ৪০ টাকা করা হয় বলে উদাহরণ টানেন। তিনি বলেন, প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) জন্য মিথ্যা হিসাব (ফলস এ্যাকাউন্ট) নিয়ে আসলে বিএসইসির কিছু করার থাকে না। এক্ষেত্রে নিরীক্ষক ও মার্চেন্ট ব্যাংকারদের সঠিক দায়িত্ব পালন করতে হবে। যাতে প্রাথমিক পর্যায়ে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সুরক্ষা পায়। এছাড়া বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ বিঘিœত হয় এমন কোন কাজ না করার জন্য মার্চেন্ট ব্যাংকারদের প্রতি অনুরোধ করেন। একইসঙ্গে ৫ বছর লভ্যাংশ দেয়ার সক্ষমতা নেই এমন কোম্পানিকে শেয়ারবাজার না আনার জন্য আহ্বান করেছেন। বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ সুরক্ষার প্রধান উপাদান শিক্ষা বলে জানিয়েছেন খায়রুল হোসেন। এই শিক্ষা ছাড়া কোটি কোটি টাকার বিনিয়োগের সুরক্ষাও বাধাগ্রস্ত হতে পারে। এছাড়া বিনিয়োগ সুরক্ষায় আইনকানুন পরিপালন, মনিটরিং জোরদার ও সঠিক রিপোর্টিংয়ের দরকার। খায়রুল হোসেন বলেন, আইওএসকোর সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিএসইসিও ২য়বারের মতো ‘বিশ্ব বিনিয়োগকারী সপ্তাহ’ পালন করতেছে। তবে বিএসইসি বিনিয়োগকারীদের জন্য আরও আগে থেকেই নানা ধরনের প্রোগ্রাম শুরু করে। এছাড়া শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব মোঃ আসাদুল ইসলাম। তিনি বলেন, সারাবিশ্বে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সুরক্ষাকে গুরুত্ব দেয়া হয়। যা বাংলাদেশেও বিদ্যমান। ফলে শেয়ারবাজারে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা আনতে কাজ করে যাচ্ছে বিএসইসি। বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশ্যে আসাদুল ইসলাম বলেন, দ্রুত বড়লোক হওয়ার প্রবণতা দূর করতে হবে। একইসঙ্গে শিক্ষাকে বাস্তবে প্রয়োগ করতে হবে।
×