ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে ১৪ ডিসেম্বরের মধ্যেই নতুন বই পৌঁছাবে

প্রকাশিত: ০৩:০০, ৯ অক্টোবর ২০১৮

শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে ১৪ ডিসেম্বরের মধ্যেই নতুন বই পৌঁছাবে

অনলাইন রিপোর্টার ॥ চলতি বছরের ১৪ ডিসেম্বরের মধ্যে দেশের সব বই শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে পৌঁছে যাবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। তিনি বলেছেন, নতুন বছরের প্রথমদিন ৩৫ কোটির বেশি পাঠ্যপুস্তক শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ করা হবে। এ লক্ষ্যে প্রায় ১১ কোটি বই ইতোমধ্যে উপজেলা পর্যায়ে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। প্রতিদিনই জেলা-উপজেলায় বই পাঠানো হচ্ছে। এবার চার কোটির বেশি শিক্ষার্থীর মধ্যে নতুন বই বিতরণ করা হবে। মঙ্গলবার (০৯ অক্টোবর) রাজধানীর মাতুয়াইলে বিনামূল্যের পাঠ্যপুস্তক ছাপার কাজে নিয়োজিত বিভিন্ন বেসরকারি ছাপাখানা সরেজমিন পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) তত্ত্বাবধানে প্রতিবছর বিনামূল্যের পাঠ্যপুস্তক ছাপা ও বিতরণের কাজ করা হয়। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নতুন বছরের প্রথম দিনে (১ জানুয়ারি) শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন পাঠ্যপুস্তক তুলে দিতে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও প্রাক-প্রাথমিক থেকে নবম শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যের পাঠ্যপুস্তক তুলে দেওয়া হবে। ২০১০ সাল থেকে নববর্ষের উপহার হিসেবে শিক্ষাবর্ষের প্রথমদিনে শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে নতুন বই দেওয়া হচ্ছে। এবারও এর কোনো ব্যত্যয় হবে না। বই ছাপার কাজ বাকি নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, নির্বাচনের বছর সত্ত্বেও শিক্ষার্থীরা ঠিক সময়ে বই পাবে। এছাড়া প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য ব্রেইল বই এবং পাঁচটি নৃ-তাত্ত্বিক গোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের জন্য তাদের নিজ ভাষায় বই ছাপা হয়েছে। এ বছর বইয়ের ছাপার মান অনেক ভালো হয়েছে দাবি করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বইয়ের মান প্রতিবছরই উন্নত হচ্ছে। এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পাঠ্যক্রমের পরিবর্তন ও উন্নয়ন একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। প্রতিবছরই বইয়ের মান বাড়ানোর চেষ্টা অব্যাহত আছে। গত বছর নবম-দশম শ্রেণির ১২টি পাঠ্যপুস্তক নতুন আঙ্গিকে প্রকাশ করা হয়েছে। এ প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে। এসময় শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন-শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নাজমুল হক খান, এনসিটিবি’র চেয়ারম্যান প্রফেসর নারায়ন চন্দ্র সাহা, সদস্য ড. মিয়া ইনামুল হক সিদ্দিকীসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
×