ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

জাতীয় ঐক্যের নামে দেশে শয়তানে শয়তানে জোট হচ্ছে - মেনন

প্রকাশিত: ০০:৫৭, ১১ অক্টোবর ২০১৮

জাতীয় ঐক্যের নামে দেশে শয়তানে শয়তানে জোট হচ্ছে - মেনন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেছেন, বিএনপি বড় দল হলেও সংকট মুহূর্তে তারা কোন নেতা খুজে পাচ্ছে না। আগে শুনেছি জমি ও গরু বর্গা দেয়া হয়, এখন দেখছি দল বর্গা দেয়ার জন্য ড.কামাল ও বি. চৌধুরীর কাছে ধর্ণা দিচ্ছে বিএনপি। যে বি. চৌধুরী আমাদের সাথে বিএনপির বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছে, বলেছে- বিএনপির কোন বেল নেই। ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য তাকেই এখন শক্তি মনে করছেন। বৃহস্পতিবার রাজধানীর কাকরাইল ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়ন বাংলাদেশ (ইনসাব) এর উদ্যোগে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় প্রদত্ত অসুস্থ নির্মাণ শ্রমিকদের মাঝে আর্থিক সহায়তার চেক বিতরণ অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে ১৭ জন দূরারোগ্য ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত অসহায় নির্মাণ শ্রমিকদের ৭ লক্ষ ৬০ হাজার টাকার আর্থিক সহায়তার চেক প্রদান করা হয়। ইনসাবের সভাপতি মো. রবিউল ইসলামের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুর রাজ্জাকের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ডা. এ.এম.এম আনিসুল আউয়াল পিএইচডি, ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম খান, জি.এম দেলোয়ার হোসেন, মো. সাহেব আলী প্রমুখ। জাতীয় ঐক্য প্রসঙ্গে ১৪ দলের অন্যতম শরিক নেতা মেনন বলেন, জাতীয় ঐক্যের নামে দেশে শয়তানে শয়তানে জোট হচ্ছে। এদেশে শয়তানদের রাজত্ব কায়েম করতে দেয়া হবেনা। তিনি আগামী নির্বাচনে আবারও ঢাকা-৮ আসনে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়ে বলেন, উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হলে, সন্ত্রাস ও দুর্নীতি দূর করতে হলে এ সরকারকে আবারও ক্ষমতায় আনা ছাড়া বিকল্প কোনো পথ নেই। তিনি বলেন, বাংলাদেশ গত ১০ বছরে সবচেয়ে বেশি এগিয়েছে। গোটা পৃথিবীর কাছে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। তাই বিশ্ব নেতারাও মনে করেন শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারকে আবারো ক্ষমতায় আসতে হবে। আমরাও মনে করি ১৪দলীয় জোটের আবারও ক্ষমতায় আসা জরুরী। গ্রেনেড হামলা মামলার রায় প্রসঙ্গে মেনন বলেন, ২১ আগষ্টের গ্রেনেড হামলা হত্যাকান্ডের বিচারসহ বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ড, জেলহত্যা, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করে দেশে যে বিচারহীনতার রাজনীতি চালু ছিলো তা থেকে জাতি পরিত্রাণ পেয়েছে। ১৪ বছর পর গ্রেনেড হামলা হত্যাকান্ডের বিচার হয়েছে। তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার এ হত্যাকান্ডকে আড়াল করার জন্য কিভাবে অপতৎপরতা চালিয়েছে তা জাতি প্রত্যক্ষ করেছে। এ হত্যাকান্ডে ডিজিএফআই, আইজিসহ রাষ্ট্রযন্ত্রকেও কাজে লাগানো হয়েছিল। তিনি বলেন, হত্যাকারীদের শাস্তি হয়েছে, কিন্তু যারা স্বজন হারিয়েছন তাদের ক্ষতিপূরণ কে দিবে? তাদের রাষ্ট্রীয়ভাবে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে অথবা যারা এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে তাদের কাছ থেকে এ ক্ষতিপূরণ আদায় করতে হবে। তিনি বলেন, সমাজে পিছিয়ে পরা জনগোষ্ঠীকে খাট করে দেকার কোন সুযোগ নেই। আমাদের সবার উচিত পিছিয়ে পরা জনগোষ্টীকে সহযোগিতা করা। সকলের সহযোগিতা পেলে তারাও প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সুযোগ পাবে। আলোকিত হতে পারবে। এজন্য প্রয়োজন মন-মানসিকতার পরিবর্তন।
×