ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

জোঁক যখন চিকিৎসার হাতিয়ার

প্রকাশিত: ০৭:৫৮, ১২ অক্টোবর ২০১৮

জোঁক যখন চিকিৎসার হাতিয়ার

জানা-অজানা জোঁককে কাজে লাগিয়ে আজকাল জটিল সব রোগের চিকিৎসা সম্ভব হচ্ছে। তেমনই কয়েকটি রোগের কথা থাকছে ছবিঘরে। কীভাবে শুরু হলো এই চিকিৎসা? জোঁককে কাজে লাগিয়ে জটিল রোগ নিরাময়ের থেরাপির নাম ‘জোঁক থেরাপি’। এই অভিনব পদ্ধতিতে চিকিৎসা শুরু“হয় ২০০৪ সালে। এই সময় একাধিক গবেষণায় প্রমাণিত হয় যে, জোঁক বাস্তবিকই নানাভাবে মানবশরীরের উপকারে আসে। হৃদরোগের চিকিৎসা ২০১১ সালের একটি গবেষণায় দেখা যায়, ঠিক পদ্ধতিতে জোঁককে ব্যবহার করলে সারা শরীরে রক্তের সঞ্চালন বেড়ে যায়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়তে থাকে। আসলে জোঁকের স্যালাইভা বা লালা এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। অলটারনেটিভ মেডিসিন রিভিউ জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, ব্লাড ক্লট এবং পা ফুলে যাওয়ার মতো সমস্যা কমাতেও এই পদ্ধতি বিশেষ ভূমিকা পালন করে। ক্যান্সারের চিকিৎসা এই মারণ রোগের চিকিৎসায় বেশ সহায়ক ভূমিকা পালন করে জোঁক। একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, অন্য ওষুধের পাশাপাশি ক্যান্সার রোগীর শরীরে যদি জোঁকের স্যালাইভা প্রবেশ করানো যায়, তাহলে স্তন, মেলানোমা, ফুসফুস এবং প্রস্টেট ক্যান্সারের প্রকোপ অনেকাংশেই কমানো সম্ভব। ডায়াবেটিস রোগ নিয়ন্ত্রণ বিশেষজ্ঞদের মতে, আগামী ২০ বছরের মধ্যে সারা বিশ্বে প্রায় ৩৬ কোটি মানুষ ডায়াবেটিসে ভুগবে। বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি ডায়াবেটিসের কারণে হওয়া নানাবিধ জটিলতা কমাতে জোঁক থেরাপি দারুণ কার্যকর। ছোঁয়াচে রোগের প্রকোপ কমায় জোঁকের শরীরে থাকা ডেস্টাবিলেস নামক এক ধরনের প্রোটিন আমাদের শরীরে প্রবেশ করার পর সব ধরনের জীবাণুকে মেরে ফেলে রোগের প্রকোপ কমাতে সাহায্য করে। প্রসঙ্গত, ২০০৩ সালে হওয়া একটি গবেষণায় দেখা গেছে, জোঁকের শরীরে থাকা নিউরোসিগনালিং এবং এ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল পেপটাইড যে কোন ধরনের সংক্রমণকে কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। অস্টিওপোরোসিসের চিকিৎসা জয়েন্টে ব্যথা হলে সেসব জায়গায় কিছু সময় জোঁককে রাখলে সেখানে রক্ত সরবরাহ প্রক্রিয়ার উন্নতি ঘটে। ফলে অস্টিওপোরোসিসের মতো রোগীরা অনেক উপকৃত হন। কানের যন্ত্রণা কমায় বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, কানের ক্রনিক যন্ত্রণা কমাতে জোঁকের কোন বিকল্প নেই। এক্ষেত্রে একটা জোঁক কানের পেছনে, আর একটি কানের সামনে কিছু সময় রেখে দিতে হবে। এমনভাবে ৩-৪ দিন করলেই যন্ত্রণা একেবারে কমে যাবে। সাত-সতেরো প্রতিবেদক
×