ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

আতাতুর্ক কামাল পাশা

ও হেনরীর জীবন ও অমলিন গল্পগুচ্ছ

প্রকাশিত: ০৮:০২, ১২ অক্টোবর ২০১৮

ও হেনরীর জীবন ও অমলিন গল্পগুচ্ছ

চমৎকার একজন লিখিয়েছিলেন বটে। ও হেনরী। বহুদিন আগে, যদি বলি ত্রিশ বছরেরও বেশি তা হলেও বিস্ময়ের কিছু নেই, স্বম্ভবত ইন্টারমিডিয়েট যখন পড়তাম, তখন ও হেনরীর সেরা গল্প নামের একটি বই পড়েছিলাম। আমাদের বাড়িতে একটি কাঠের আলমারি ছিল। বাবা কলকাতায় পড়বার সময় সেখান থেকে ইংরেজী ও বাংলা বই নিয়ে এসে আলমারি ভরে রাখতেন। আমাদের পড়তে বলতেন। সেখানে একদিন একটি বই দেখি, নাম ছিল ও হেনরীর সেরা গল্প। বইটি খুলতেই প্রথম গল্পটির নাম দেখলাম উপহার। পড়তে শুরু করলাম, দ্রুত শেষ হয়ে এলো গল্পটি। অসম্ভব সুন্দর গল্পটি। এক যুগলের, জিম ও ডেলার গল্প। বড়দিনে জিম তার স্ত্রীকে একটি ভাল উপহার দেয়ার কথা ভাবছে। অথচ হাতে তেমন টাকা-পয়সা নেই। কি করবে, সে যে তার বউকে খুব ভালবাসে। কিছু একটা মনমতো উপহার তো দিতেই হয়। অবশেষে তার সোনা মোড়ানো (প্লাটিনামের) কব্জিঘড়িটি বিক্রি করে একটি সোনার চিরুনি কেনে। বলাবাহুল্য তার স্ত্রীর ছিল খুবই সুন্দর সোনালি কেশ, প্রতিবেশীরা চেয়ে থাকে, সবাই প্রশংসা করে। এ চুলের জন্য একটি সোনার চিরুনি না হলে কি মানায়! অন্যদিকে তার স্ত্রী ভাবছে স্বামীর সোনার ঘড়িটির জন্য একটি সোনামোড়ানো চেইন হলে সে খুব খুশি হবে, মানাবেও ভাল, কিন্তু হাতে তো নগদ টাকা নেই। তাই সে তার একমাত্র সম্পদ সোনালি কেশগুচ্ছ বিক্রি করে দিয়ে একটি সোনা মোড়ানো ঘড়ির চেন কেনে। বাসায় এসে দু’জন দু’জনকে উপহার দেয়। কিন্তু দু’জনই অবাক ও বিস্মিত হয়। অত্যন্ত সুন্দর গল্পটি। পাকিস্তান আমলে স্বম্ভবত ঝিনুক পুস্তিকা বা সে রকম একটি প্রকাশনা বইটি বের করেছিল। গল্পগুলো অত্যন্ত সুন্দর ছিল। সেখানে ও হেনরীর ছোট্ট একটি পরিচিতি ছিল এমনটি, তিনি বড্ড আনমনা ছিলেন, ব্যাংকে চাকরি করতেন, হিসেবে একসময় গোলমাল ধরা পড়ার কারণে তাকে জেলে যেতে হয়। তার জীবনের অনেক ভাল গল্প জেলে বসেই লেখা। তিনিই আজকের ও হেনরী যদিও তার পারিবারিক নাম উইলিয়াম সিডনি পোর্টার। বড় বিচিত্র জীবন ও হেনরীর যেমন তার গল্পের বিচিত্র সমাপ্তি। তার ছোট গল্পের বিচিত্র সমাপ্তির জন্য একসময় তাকে বলা হতো যুক্তরাষ্ট্রের গি দ্য মোপাসাঁ (এুঁ ফব গড়ঁঢ়ধংংধহঃ)। তার মা টিবি রোগে মারা গেলে বাবা আবারও বিয়ে করলে তিনি দাদির বাড়িতেই বেড়ে উঠতে থাকেন। সেখানে ছোটবেলাতেই তিনি অনেক বই পড়ে শেষ করেন। এগুলোর মধ্যে অধিকাংশ ক্ল্যাসিক বইয়ের সস্তা দরের সংস্করণ, উপন্যাস থাকত (ফরসব হড়াবষং)। পেশা হিসেবে অনেক কাজই তিনি করেছিলেন। টেক্সাসে ঘোড়া তাড়ানো থেকে শুরু করে নিউইয়র্কে উচ্চশ্রেণীর মানুষের জীবনধারার অনেক কিছুই তিনি দেখেন। এসব নিয়ে অনেক কম বয়স থেকেই তিনি লেখালেখি শুরু করেন। তার অধিকাংশ লেখাতেই শহরের বিত্তশ্রেণীর মানুষের জীবনে বিত্তব্যাপ্ত জীবনধারার মেকি মূল্যবোধ এসে পড়ে। এসব নিয়ে তিনি বেশ কিছু গল্প লিখলেও সঙ্গে সঙ্গে প্রকাশ হয়নি। বাবার মতো তিনি ফার্মেসিবিদ্যায় ১৮৮১ সালে ডিগ্রী পরীক্ষা শেষ করে মাত্র ১৯ বছর বয়সে ফার্মাসিস্ট হিসেবে লাইসেন্স লাভ করেন। ১৮৮২ সালে পরিবারের সদস্যরা টেক্সাসে চলে গেলে তিনিও সেখানে যান। তার সর্দির একটি স্থায়ী ব্যারাম ছিল। ভেবেছিলেন সেখানে গেলে আবহাওয়া পরিবর্তনের জন্য হয়ত ব্যামোটাও সেরে যাবে। এখানে এসে তিনি রিচার্ড হলের লা স্যালে কাউন্টিতে ভেড়া চরানোর কাজ থেকে পাঁচকের কাজ, প্যারামবুরেটরে বাচ্চা বয়ে নিয়ে বেড়ানোর মতো কাজও করেন। এখানে কিছু স্প্যানিশ ও জর্মন অভিবাসীদের সঙ্গে মেশার সুযোগ পান। সঙ্গে কিছু মিশ্র সংস্কৃতি ও ধ্রুপদি উপন্যাস পড়বারও সুযোগ পান। এতে করে তার ভেতরে সৃজনশীল প্রতিভা বিকশিত হতে থাকে। বছরখানের পর টেক্সাসের আর এক স্থানে তার বন্ধু অস্টিনের সঙ্গে চলে আসেন। এখানে এসে তিনি জোসেফ হ্যারলের সঙ্গে পরিচিত হন এবং তার বাসায় তিন বছর থাকেন। এ শহরে এসে তার আরও কিছু নতুন কাজ জুটে যায়। ফার্মাসিস্টের কাজের পর শহরের একদল বন্ধুর সঙ্গে আড্ডায় মেতে ওঠেন। বন্ধুরা প্রায়ই তার হাস্যরসের গল্প শুনে টেবিল চাপড়ে উঠত। তিনি গিটার ও ম্যান্ডোলীন বাজিয়ে সবাইকে মুগ্ধ করে তুলতেন। তিনি বিশপশাসিত গির্জায় তরুণ গায়কদলের সঙ্গে গান গাইতেন। এখানেই তার প্রথম স্ত্রী, এ্যাথল ইস্টেটের সঙ্গে ভালবাসা জমে ওঠে। তিনি তাকে লিখতে ও গাইতে প্রেরণা যোগাতেন। রিচার্ড হল সেখানকার ভূমি কমিশনার হলে তিনি ও হেনরীকে নকশা আঁকার ও মুসাবিদাকারকের চাকরি দেন। মাসে এক শ’ ডলারে তারা ভালই চলছিলেন। কিন্তু তার নিয়োগটি ছিল রাজনৈতিক। ভোটে রিচার্ড হেরে গেলে এবং জিম হগ নতুন গবর্নর নির্বাচিত হলে তিনি চাকরিতে ইস্তফা দিয়ে ফার্স্ট ন্যাশনাল ব্যাংকে চাকরি নেন। কিন্তু বেতন খুবই কম ছিল কারণ প্রতিষ্ঠানটি চলছিল খুবই সীমিত আয় নিয়ে। হঠাৎ ব্যাংকে অর্থ খোয়া যাওয়ার অভিযোগ উঠলে তিনি সেখানে তার চাকরি হারান। এর পর ব্যঙ্গ-রসাত্মক পত্রিকা দ্য রোলিং স্টোন-এ পুরোপুরি সময় দেয়া শুরু করেন। ব্যাংকে চাকরি করার সময়ই তিনি এটির কাজ শুরু করেন। এখানে কাজ করার সময়ই তিনি হিউস্টনের ‘হিউস্টন পোস্ট’-এর সম্পাদকদের নজরে আসেন। তার কৌতুক ও কার্টুন পত্রিকা অলাভজনক হওয়ায় এটি বন্ধ হয়ে যায়। হিউস্টনে এসে তিনি পরিবারসহ হোটেলে ওঠেন। মাসে মাত্র ২৫ ডলার বেতনে তার খুব ক্লেশে জীবন চলতে থাকে। কিন্তু বেশ কিছু ভাল লেখা এ সময় তিনি লিখতে থাকেন। ব্যাংকে অর্থ খোয়া যাওয়ার অভিযোগ কাগজে-কলমে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হলে এখান থেকেই তিনি গ্রেফতার হন। তাকে জামিন নিয়ে বেরিয়ে আসতে তার শ্বশুরের সহযোগিতা নিতে হয়। কিন্তু ১৮৯৮ সালে ২৫ মার্চ ৮৫৪.০৮ সেন্ট তছরুপের কারণে তাকে পাঁচ বছরের সাজা দেয়া হয়। জেলে যান তিনি। সেখানে বসেই তিনি লেখালেখি চালাতে থাকেন। বন্ধুরা তার লেখা বিভিন্ন ছদ্মোনামে সংবাদপত্রে প্রকাশ করা শুরু করেন। এ সময় তিনি কম করে হলেও দশের বেশি ছদ্মোনামে বিভিন্ন পত্রপত্রিকাতে লিখে যান। জেলে তিনি রাতের ডাক্তার হিসেবে কাজ করতেন, যেহেতু তার ফার্মাসিস্টের ডিগ্রী ছিল। এ সময়ই প্রথম ও হেনরী ছদ্মোনামে ম্যাক ক্লিউর (গধপঈষঁৎব’ং সধমধুরহব) পত্রিকায় তার লেখা বিখ্যাত গল্প হুইসলিং ডিক’স ক্রিস্টমাস স্টকিংস্ (ডযরংঃষরহম উরপশ’ং ঈযৎরংঃসধং ংঃড়পশরহম) গল্পটি ডিসেম্বর সংখ্যায় ১৮৯৯ সালে প্রকাশ পায়। আর অসদাচারণের কারণে মাত্র তিন বছর ফাটক খাটার পর তিনি ১৯০১ সালে ২৪ জুলাই বের হয়ে তার ১১ বছরের মেয়েকে নিয়ে পেনসিলভানিয়ার পিটার্সবার্গে বাস করতে থাকেন। তার মেয়ে জানত না বাবা জেলে, তাকে বোঝানো হয়েছিল তিনি ব্যবসায়িক কাজে অন্যত্র গেছেন। ১৯০২ সালেই তার লেখালেখির ভিসুভিয়াস প্রজ্বল হয়ে ওঠে। এই বছরেই তিনি নিউইয়র্কে চলে আসেন যেন তার প্রকাশকদের কাছাকাছি থাকতে পারেন। এ সময়েই তিনি ৩৮১টি গল্প লিখে ফেলেন। এমনকি প্রতি সপ্তাহে একটি করে ছোটগল্প নিউইয়র্ক ওয়ার্ল্ড সানডে পত্রিকায় এক বছরের বেশি সময় লিখতে হয় তাকে। ১৯০৭ সালে তিনি তার ছেলেবেলার সাথী সারাহ লিন্ডসে কোলম্যানকে বিয়ে করেন। সারাহ (ঝধৎধয (ঝধষষরব) (খরহফংবু ঈড়ষবসধহ) নিজেও একটি উপন্যাসিকা লিখেছেন। এ সময় বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত তার লেখাগুলোতে উচ্চারিত কৌতুক, চরিত্রের আত্মীকরণ, ঘটনার বাঁক বদলের কৌশল পাঠকদের মুগ্ধ করে কিন্তু সমালোচকরা বিরুদ্ধে বলতেও ছাড়ে না। এই যুধিষ্ঠির লেখক আমাদের মাঝে এসেছিলেন ১১ সেপ্টেম্বর ১৮৬২ সালে গ্রীন্সবরো, উত্তর ক্যারোলিনাতে জন্ম নিয়ে। আর অন্য পৃথিবীতে চলে যান ১৯১০ সালে ৫ জুনে নিউইয়র্ক সিটি, নিউইয়র্ক থেকে সবাইকে বিদায় জানিয়ে। এসব বিষয় বলার প্রয়োজন নেই বললেও চলে তবে একজন লেখককে চিনতে হলে তার জীবন সম্পর্কেও জানতে হয় কারণ, জীবন মানেই পরিবেশ, আর পরিবেশই একটি লেখকের সৃজনশীল ¯্রােতধারাকে দিক নির্দেশ করে। কবি কাজী নজরুল দারিদ্র্যতার কশাঘাতে জর্জরিত না হলে মৃত্যুক্ষুধা উপন্যাস লিখতে পারতেন না যেমন সত্যি, রবীন্দ্রনাথ জমিদার বংশের না হলে ‘ঘরে বাইরে’র মতো উদার মানসিকতার উপন্যাস লিখতে পারতেন না। ঠিক সেই মানসিকতাই কাজ করেছে ও হেনরীর প্রতি। তাকে একসময় মার্কিন গ্যি দ্য মোপাসাঁ বলা হত, এটি শুরুতেই বলা হয়েছে। প্রকৃত অর্থে তিনি সে সময় যুক্তরাষ্ট্রের বিত্তবানদের অঢেল ব্যয়কে সরাসরি না বলে কৌতুকের আশ্রয় নিয়ে বলেছেন। এ সময় তিনি মার্কিন মুল্লুকের ধনিক সমাজকে চটাতে চাননি কিন্তু সত্যিকারভাবে তাদের নিয়ে কৌতুক করতে পিছুপা হননি। ও হেনরীর গল্পগুলো অস্বাভাবিক একটি মিল নিয়ে বা সমাপ্তি নিয়ে শেষ হয়ে যায়। এখানেই পাঠকরা বিস্মিত হয়ে আরও বেশি ও হেনরী পড়ে। তার দ্যা গিফ্ট অব মাজাই (ঞযব মরভঃ ড়ভ ঃযব গধমর) এমন ধরনের একটি গল্প যার শেষ অংশটা পাঠকরা সহজে মেনে নিতে চায় না। ও হেনরী ঈধননধমবং ধহফ করহমং সিরিজে বেশকিছু গল্প লিখেছেন যেখানে মার্কিন মুল্লুকের নিউইয়র্ক ও মধ্য আমেরিকার ধনিক সম্প্রদায়ের জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়েছে। এখানে তিনি ধনিক সম্প্রদায়ের জীবনের বিভিন্ন দিক সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এ সম্প্রদায় একদিকে যতই ধনী হচ্ছে ততই তারা সাধারণ মানুষের জীবনের কাছে উপহাসের পাত্র হয়ে উঠছে। সাধারণ মানুষের সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না, জীবনযাপন তাদের কাছে কৌতুককর হয়ে উঠছে। তিনি মধ্য আমেরিকার নগরীয় একজন সাধারণ পাহারাদার, ঘোড়ার সহিস, একজন হোটেল বয়, একজন সাধারণ পুলিশের জীবন কাহিনী অত্যন্ত সহজ ভাষায় তার গল্পে তুলে ধরেছেন। এসব গল্পে সাধারণ মানুষের দুঃখ-কষ্ট থাকলেও তারা খুব সহজভাবে এ জীবনকে মেনে নিয়েছে। একই সঙ্গে তারা যদি বিত্তবানদের মতো হতো তা হলে নগরের আসল বিত্তবানদের চেয়ে কি কি ভিন্ন কাজ করত, কেমনভাবে সামাজিক দায়বদ্ধতা সম্পন্ন করত, সেসব অত্যন্ত রসাত্মক ও কৌতুককরভাবে তুলে ধরেছেন। এ সময়ের বোধহয় তিনি একমাত্র লেখক ও গল্পকার যার লেখায় সমাজের নি¤œ শ্রেণীসহ নগরের সব মানুষের জীবনধারার খুঁটিনাটি চিত্রগুলো অত্যন্ত সহজ ভাষায় তুলে ধরতে পেরেছেন। ও হেনরী এ সময়ের একজন প্রধান মার্কিন প্রবক্তা যার লেখায় নগরের বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষের জীবনধারার ও প্রতিদিনের কাজকর্মের ধারাবাহিকতা তার নিজের অভিমতে তুলে ধরেছেন। এ সময়ের সাহিত্য ও শিল্প সমালোচকরা তার সাহিত্যকর্মের ওপর আলোচনা করতে গিয়ে ও হেনরীকে একজন অনবদ্য (রহপৎবফরনষব) লেখকের অবিধায় চিহ্নিত করেন। শুধু তা-ই নয়, তারা লেখককে একজন মিতব্যয়ী ভাষা ও সংযমী বক্তব্যের সুলেখক বলে স্বীকার করেন। এ সময়ের নিউইয়র্ক পত্রিকা উল্লেখ করে যে, নিউইয়র্কের চারশ’ মানুষকে চার মিলিয়ন মানুষ থেকে যে আলাদাভাবে দেখার ও চিহ্নিত করার কাজটি ও হেনরী অত্যন্ত সহজ ও মিতব্যয়ী ভাষায় তার লেখায় তুলে ধরতে পেরেছেন। কিন্তু এ শহরে যে চার মিলিয়ন মানুষ জেগে উঠছে এবং সামাজিক কাজের ও জীবনের অংশ হিসেবে সংযুক্ত হতে পেরেছে, তার তার ঞযব ঋড়ঁৎ গরষষরড়হ গল্পগুচ্ছে দেখা যায়। ও হেনরীর ঞযব জধহংড়স ড়ভ জবফ ঈযরবভ, ঞযব ঈড়ঢ় ধহফ ঃযব অহঃযবস, অ জবঃৎরবাবফ জবভড়ৎসধঃরড়হ, ঞযব উঁঢ়ষরপরঃু ড়ভ ঐধৎয়ৎধাবং, ঞযব ঈধনধষষবৎড়’ং ডধু-সহ আরও অনেক গল্প আমাদের কাছে অমলিন হয়ে থাকবে, বার বার পাঠ করার পর পুনর্পাঠের তৃষ্ণা আমাদের মাঝে জেগে রইবে। ১৯৫২ সালে তার পাঁচটি গল্প নিয়ে একটি সিনেমাও তৈরি হয় যার নাম ছিল ।
×