ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

টঙ্গীতে তাবলীগ জামাতের মাওলানা সা’দ বিরোধী বিশাল সমাবেশ

প্রকাশিত: ০৩:৩৮, ১২ অক্টোবর ২০১৮

টঙ্গীতে তাবলীগ জামাতের মাওলানা সা’দ বিরোধী বিশাল সমাবেশ

নিজস্ব সংবাদদাতা, টঙ্গী ॥ শুক্রবার সন্ধ্যায় টঙ্গী পাইলট স্কুল মাঠে তাবলীগ জামাতের মাওলানা সা’দ বিরোধী আলেম ওলামা পন্থী তাবলীগ অনুসারী মুসল্লীদের এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমাবেশে তাবলীগ জামাতকে ওলামায়ে কেরামদের পরামর্শে এগিয়ে নেয়ার আহ্বান জানানো হয়। তাবলীগ জামাতের সাবেক আমীর মাওলানা সা’দকে ভিন্নপন্থী উল্লেখ করে তাবলীগের মুরুব্বীরা ওই সমাবেশে বক্তব্য রাখেন। বক্তারা আরো বলেন, ইসলাম প্রচারের জন্য দ্বীনি শিক্ষার অবশ্যই প্রয়োজন রয়েছে। মাওলানা সা’দ তা থেকে বিচ্যুতি হয়েছেন। তিনি টঙ্গী বিশ্ব এজতেমা ময়দানে ইসলাম সম্পর্কে তাবলীগ অনুসারীদের ভুল ব্যখ্যা শুনিয়েছেন। বক্তারা বলেন, তাবলীগের কার্যক্রম একমাত্র আলেম ওলামাদের দ্বারাই নিয়ন্ত্রিত হবে। উপস্থিত তাবলীগ অনুসারী মুসল্লীরা বলেন, এই জমায়েতটি মূলত ‘ওযাহাতী জোড়’। এই ওযাহাতী জোড়ের মাধ্যমে দেশবাসীকে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে যে, মাওলানা সা’দ তাবলীগ জামাতে যেসব বক্তব্য রেখেছেন তার অধিকাংশই ইসলাম বিরোধী। ওযাহাতী জোড় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, বেফাকের সিনিয়র সহ-সভাপতি শায়খুল হাদিস আল্লামা আশরাফ আলী, মহাসচিব মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস, মারকাজুদ দাওয়া’র মহাপরিচালক মাওলানা আব্দুল মালেক, মাওলানা নূরুল ইসলাম ওলিপুরী, খেলাফত মজলিশের সভাপতি মাওলানা মাহফুজুল হক, বসুন্ধরা মাদ্রাসার মুফতী মিজানুর রহমান, যাত্রাবাড়ী মাদ্রাসার শায়খুল হাদিস মাওলানা মাহমুদুল হাসান, মুফতী নূর হোসেন কাসেমী, কাকরাইল মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা যোবায়েরুল হাসান, তাবলীগ জামাতের অন্যতম মুরুব্বী মাওলানা রবিউল ইসলাম, মুফতী মাসুদুল করিম, মুফতী নাজমুল হাসান, মাওলানা আরশাদ রহমানী প্রমুখ। ওযাহাতী জোড়ে আরো ঘোষণা করা হয় যে, দারুল উলুম দেওবন্দ মাদ্রাসা আশঙ্কা প্রকাশ করেছে যে, মাওলানা সা’দ সাহেব আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের মতাদর্শ থেকে সরে গিয়ে নতুন কোন ফেরকা গঠনের প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। বাংলাদেশ তাবলীগ জামাত হযরত মাওলানা ইলিয়াস (র:), হযরত মাওলানা ইউসুফ (র:) ও হযরত মাওলানা এনামুল হাসান (র:) এর বাতলানো পদ্ধতিতে এবং উলামায়ে কেরামের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হবে। নতুন কোন পদ্ধতি চালু করা যাবে না। কাকরাইল ও টঙ্গী ময়দান এবং জেলা মারকাযসহ সকল মারকায এই নীতিতেই পরিচালিত হবে। বক্তারা আরো বলেন, মাওলানা সা’দ এর কোন সিদ্ধান্ত বাংলাদেশে বাস্তবায়ন করা যাবে না। আগামী তাবলীগ জামাতের বিশ^ এজতেমায় মাওলানা সা’দকে অবাঞ্ছিত এবং নিষিদ্ধ করা হলো। কাকরাইল মসজিদের যে সকল শুরা সদস্য আমরণ মাওলানা সা’দ সাহেবের ভ্রান্ত আকীদা অনুসরণের শরীয়ত পরিপন্থী হলফ নামা করেছেন, তারা শুরা সদস্য থাকার যোগ্যতা হারিয়ে ফেলেছেন। ওযাহাতী জোড়ে আরো বলা হয়, ২০১৮ইং সনের বিশ^ ইজতেমার পূর্বে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী মহোদয়ের সভাপতিত্বে ত্রিপক্ষীয় তথা কাকরাইলের আহলে শুরা, শীর্ষস্থানীয় উলামায়ে কেরাম ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সমন্বয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্তগুলোর বাস্তবায়ন করতে হবে। এছাড়া ২০১৯ সালের বিশ^ ইজতেমার আগে ও পরে কোন জেলাওয়ারী ইজতেমা হবে না।
×