ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সীমান্ত হয়ে পাচার হচ্ছে ভারতে ॥ মন্ত্রণালয়ের নতুন আদেশে স্মাগলারদের পোয়াবারো

সোনা আসছে দেদার নির্বিঘ্নে বেরিয়ে যাচ্ছে বড় চালান ॥ শাহজালাল নিরাপদ রুট

প্রকাশিত: ০৫:৪৭, ১৬ অক্টোবর ২০১৮

সোনা আসছে দেদার নির্বিঘ্নে বেরিয়ে যাচ্ছে বড় চালান ॥ শাহজালাল নিরাপদ রুট

আজাদ সুলায়মান ॥ হঠাৎ বেড়ে গেছে সোনা চোরাচালান। গত তিন মাসে ৭ মণ সোনা ধরা পড়েছে। সবই বিমানবন্দরের বাইরে। ধরেছে র‌্যাব ও বিজিবি। এসব চালান এসেছে ঢাকায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হয়ে। কাস্টমস ও বিমানবন্দরের অন্যান্য সংস্থার যোগসাজশে পাচার হচ্ছে সোনা। চোরাচালান বাড়ার এমন উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে আরও একটি আদেশ জারি করা হয়েছে, ‘এখন থেকে শাহজালাল বিমানবন্দরের কাস্টমস ছাড়া অন্য কোন সংস্থা যাত্রীর লাগেজ চেক করেতে ও ধরতে পারবে না।’ এ আদেশের পর স্মাগলারদের হয়েছে পোয়াবারো। আগে এপিবিএন প্রায়ই পেশাদারিত্ব ও দক্ষতার সঙ্গে যাত্রীদের চেক করে সোনা ধরত। ওই আদেশের পর এখন চোখের সামনে দিয়ে কেউ চালান নিয়ে গেলেও এপিবিএন ধরতে পারছে না। সন্দেহ সংশয় ও প্রশ্নটা এখানেই। এ নিয়ে কথা বলতে চাইলে ঢাকা কাস্টমস হাউসও সুস্পষ্ট কিছু বলতে চায়নি। কমিশনার মান্নান শিকদার বলেছেন, আমরা কাজ করছি। সব চালান তো ধরা সম্ভব নয়। এ সম্পর্কে নিরাপত্তা সংস্থার একাধিক সূত্র বলছে, বর্তমানে শাহজালাল বিমানবন্দর কাস্টমস ও শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের শীর্ষে যারা দায়িত্ব পালন করছেন তাদের ভূমিকা রহস্যজনক। কাস্টমস সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করলে বড় চালান দেশে ঢোকা সম্ভব নয়। যারা সোনাসহ ধরা পড়েছে তাদের দেয়া তথ্য, সব কটি সোনার চালান এসেছে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে। র‌্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত ক’জন স্বীকার করেছে, এগুলো আকাশপথে আনা এবং শাহজালাল দিয়ে। প্রশ্ন উঠেছে, শাহজালালে বর্তমানে নিñিদ্র নিরাপত্তার লক্ষ্যে প্রায় বিশটিরও বেশি সরকারী সংস্থা কাজ করছে। রাত দিন পালাক্রমে তারা ডিউটি করে। চোরাচালানের অবৈধ মাল ধরার দায়িত্ব সবারই। অবৈধ মালসহ চোরকে ধরতে পারে যে কেউ। তারপরও বিমানবন্দরে শুল্ক ফাঁকি দিতে চোরাচালানির মাল ধরার একক দায়িত্ব কাস্টমস ও শুল্ক গোয়েন্দার। শাহজালালে প্রতিটি গেটে কাস্টমস পালাক্রমে ডিউটি করে। তাদের চোখ ফাঁকি দিয়েই তেরো মণ সোনার চালান পাচার করা হয়েছে। বিমানবন্দরের বাইরে একের পর এক এসব চালান এসেছে মূলত গত জুলাই থেকে। সম্প্রতি ঢাকা কাস্টমস হাউস ও শুল্ক গোয়েন্দার শীর্ষ পদগুলোতে রদবদলের পরই চোরাচালানের এ প্রবণতা উর্ধমুখী হয়। র‌্যাব ও বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, গত তিন মাসে গাউছিয়া, ভুলতা, গাবতলী, তাঁতিবাজার, মানিকগঞ্জ ও যশোর সীমান্তে কমপক্ষে ৭ মণ সোনার চালান ধরা পড়েছে। নরসিংদী থেকে মাস দুয়েক আগে ২৩ কেজির একটি চালান ধরা পড়ে গাউছিয়া ভুলতা এলাকায়। তার মাস খানেক আগে বেনাপোল সীমান্তে বিজিবির অভিযানে ধরা পড়েছে ৭০ কেজি সোনার চালান। গতমাসেও একই এলাকায় ধরা পড়েছে সোনার আরও একটি চালান। এরপর গাবতলীতেও ধরা পড়ে অনুরূপ আরও একটি সোনার চালান। গত সপ্তাহে মানিকগঞ্জে ধরা পড়েছে ৪৩ কেজি ওজনের চালান। বেনাপোল সীমান্তের পর বেশ কটি চালান ধরা পড়ে। এসব চালানের গন্তব্য ছিল বেনাপোল হয়ে ভারত। এসব চালানের সঙ্গে যাদের ধরা হয়েছে তাদের সবাইকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে বেশ চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে। তাদের কাছ থেকে সোনা চোরাচালানের গডফাদারদের বিষয়ে কোন তথ্য না পাওয়া গেলেও কোন রুটে কার কার সহযোগিতায় এসব চালান আনা হয়েছে সে বিষয়ে বেশ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছে র‌্যাব। সোনা চোরাচালানের হোতারা ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকলেও পেশাদার ক্যারিয়ার ধরা পড়েছে। মূলত টাকার বিনিময়ে গ্রেফতারকৃতরা মামলা মোকদ্দমার ভয় ভীতি উপেক্ষা করেই ঝুঁকি নেয়। বিশ্বস্ত ক্যারিয়ার হিসেবে তারা প্রতিটি চালানের জন্য প্রত্যেকেই ৩০ থেকে ৫০ হাজার টাকার সম্মানী পেয়ে থাকে। তারা এর আগেও একাধিকবার একই রুটে সোনা পাচারের কথা স্বীকার করেছে। র‌্যাব, বিজিবি ও বিজিবি সূত্রের আভাস দেয়া হয়েছে। গত তিন মাসে যে কয়টা বড় চালান এসব এলাকায় ধরা পড়েছে, তার সবটাই এসেছে শাহজালাল বিমানবন্দর হয়ে। বিমানবন্দরে নিয়োজিত কাস্টমসকে ম্যানেজ করেই এসব চালান বাইরে বের করা হয়। পুলিশের মতে, এতগুলো চালান এসেছে আকাশ পথে যার গন্তব্য ছিল সড়কপথে প্রতিবেশী ভারত। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে এতগুলো বড় চালান বের করা হয়েছে, তা নিশ্চিত হওয়া গেছে। এ সব চালানের বাইরেও অনেক চালান বেনাপোল সীমান্ত হয়ে কলকাতায় পাচারেরও তথ্য মিলেছে। প্রশ্নটা এখানেই তাহলে কি হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এখন চোরাচালানের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। এতগুলো সংস্থা যেই বিমানবন্দরে কর্মরত সেখান দিয়ে কি করে অনায়াসে এত সোনা পাচার করা হয় তা ভাবিয়ে তুলেছে প্রভাবশালী গোয়েন্দাদের। এ বিষয়ে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কর্মরত একটি প্রভাবশালী গোয়েন্দা সংস্থার এক কর্তাব্যক্তি জানিয়েছেন, সোনা চোরাচালানের বড় বড় চালান ধরা হয়েছে গত ৩/৪ বছরে। গত তিন বছরেই এ বিমানবন্দরে আটক হওয়া চালানের বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্ট ভরেছে যার পরিমাণ এক হাজার কেজিরও বেশি। শুল্ক গোয়েন্দার তৎকালীন মহাপরিচালক ড.মইনুল খানের আমলে চোরাচালানিদের ভিত গুঁড়িয়ে দেয়া হয়। একেকটি চালান ধরা পড়েছে আর আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। মূলত তার সাঁড়াশি অভিযান ও জিরো টলারেন্স নীতির কারণে সোনা চোরাচালান নিয়ন্ত্রণে এসেছিল। বিশেষ চোরাচালানের গডফাদাররা সে সময় দিশেহারা হয়ে পড়ে। তারপরও যৎসামান্য আসত লাগেজ-ব্যাগেজে, তাও ধরা পড়েছে। চোরাচালানিদের ক্ষোভটা ছিল ওখানেই। এমনও এক ঘটনা ঘটেছে- ড. মইনুল খান যেন এ বিভাগ থেকে বদলি হয়ে যায়, সেজন্য গডফাদারটা মিলাদ পর্যন্ত পড়িয়েছে। কাকতালীয় বিষয়টা এখানেই। তিনি বদলি হয়ে যাওয়ার আনন্দে গডফাদাররা রাজধানীর একটি পাঁচতারকা হোটেলে ফুর্তিতে মেতে ওঠে। তারপরই বিমানবন্দরের বাইরে ধরা পড়তে থাকে সোনার চালান। গাউছিয়া, তাঁতিবাজার, গুলিস্তান, গাবতলী, মানিকগঞ্জ, বেনাপোল সীমান্তে ধরা পড়েছে বেশ কটি বড় চালান। যার পরিমাণ কমপক্ষে ৭ মণ বলে জানিয়েছে বিজিবি ও র‌্যাব। র‌্যাব জানিয়েছে, এসব চালান ধরা পড়ার অর্থ দাঁড়ায় এখন বিমানবন্দর দিয়ে নিরাপদ নির্বিঘেœ চোরাচালান হচ্ছে। যা ধরা পড়েছে তার পাচার হওয়ার এক চতুর্থাংশও নয়। তাহলে কি পরিমাণ সোনা গত তিন মাসে শাহজালাল দিয়ে বাইরে পাচার করা হয়েছে তা সহজেই অনুমেয়। এখানে কর্মরত কাস্টমস ও নিরাপত্তাকর্মীদের যোগসাজশ ছাড়া এত বিশাল চালানও বাইরে আনা মোটে সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ। হঠাৎ চোরাচালান বৃদ্ধির এহেন পরিস্থিতিতে শাহজালাল বিমানবন্দরের সার্বিক ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এখন বিমানবন্দরের নিরাপত্তা কর্মীদের সঙ্গে প্রায়ই কাস্টমস কর্মীদের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটছে। এছাড়া বিমানবন্দরের কয়েকটি গেটে কাস্টমস ও স্ক্যানার না থাকায় সন্দেহের তীরটা আরও জোরালো। ধৃত চোরাচালানিদের ভাষ্যমতে, শাহজালালের ৮ নং গেট দিয়েই বর্তমানে বড় বড় চালান গাড়িতে করে পাচার হয়। এ গেটে নেই কোন স্ক্যানার ও কাস্টমস। এ সম্পর্কে শাহজালাল বিমানবন্দরের এক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জনকণ্ঠকে জানান, বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রতি বর্তমানে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে চলছে কাস্টমস। বার বার চিঠি লেখার পরও কাস্টমস ৮নং গেটে কোন স্ক্যানার বসাচ্ছে না, কোন কাস্টমস চেকও করানো হচ্ছেনা। ভেতর থেকে সবগুলো গাড়ি বের হচ্ছে কাস্টমস নজরদারি ছাড়াই। একইভাবে কাস্টমস যখন তখন ২১ নং গেট দিয়ে গায়ের জোরে নিরাপত্তা কর্মীদের উপেক্ষা করেই এয়ারসাইটে চলে যায়। বার বার তাদের বারণ করা হলেও তা মানছে না। এমনকি গত সপ্তাহে এক আনসার তাদের চেক করতে চাওয়ায় তাকে তুলে নিয়ে যায় কাস্টমস। একইভাবে যুগ্ম কমিশনার মাহবুব গত সপ্তাহে বিনা চেকে ভেতরে ঢুকতে চাইলে ক্রু গেটে কর্তব্যরত নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে তার বাদানুবাদ হয়। এছাড়া নিচতলায় ভিআইপি ইমিগ্রেশন কাউন্টারের পাশে থাকা একটি স্ক্যানার দীর্ঘদিন ধরে অচল করে ফেলে রাখা হয়েছে। বার বার চিঠি লেখার পরও কাস্টমস সেটা সচলও করছে না, তাদের কোন কর্মীকেও সেখানে ডিউটি করতে দেখা যায় না। অভিযোগ রয়েছে এ গেট দিয়ে ভিআইপির সঙ্গে আসা অনেক হোমড়া চোমড়ার লাগেজও আনচেকড বের হয়ে যায়। ভিআইপির সঙ্গে থাকায় তাদের ধরাছোঁয়াও যায় না। স্ক্যানার যদি সচল থাকত- তাহলে সেখানে সবাইকে লাগেজ চেকড করা বাধ্য করা যেত। এ গেট দিয়ে সোনা পাচারের অভিযোগ খোদ নিরাপত্তাকর্মীদের। এ ছাড়া সম্প্রতি গ্রীন চ্যানেলের স্বচ্ছ গ্লাসের ওপর প্রটেস্ট পেপার লাগিয়ে দেয়া হয়েছে, যাতে ভেতরে কাস্টমস কি করে তা বাইরে থেকে দেখা না যায়। আগে এপিবিএন অফিসে বসেই সাধারণ দর্শক ও গোয়েন্দারা দেখতে পারত-কাস্টমস ডেস্কে যাত্রীদের হয়রানি বা অনৈতিক কিছু লেনদেন হচ্ছে কিনা। কিছু ঘটলে এপিবিএন তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে পারতো। এখন সেটা বন্ধ হয়ে গেছে। এ বিষয়ে বিমানবন্দরের এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেন, হঠাৎ কাস্টমস বেপরোয়া হয়ে ওঠার মূল কারণ হচ্ছে মন্ত্রণালয়ের একটি আদেশ। গত মাসে জারি হওয়া ওই আদেশে বলা হয়, এখন থেকে বিদেশ থেকে আগত যাত্রীকে কাস্টমস ছাড়া কোন সংস্থা সন্দেহবশত আটক বা ধরতে পারবে না। এ আদেশের পর থেকেই বেপরোয়া হয়ে ঢাকা কাস্টমস হাউস। অথচ এর আগে এপিবিএন প্রায়ই গ্রীন চ্যানেল পেরিয়ে আসা যাত্রীদের কাছ থেকে সোনার চালান ধরত। তখন অধিকাংশ যাত্রীই স্বীকার করত, যে কাস্টমসকে ম্যানেজ করেই গ্রীন চ্যানেল পার হয়েছে তারা। সিভিল এভিয়েশনের এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেন, চোরাইমালসহ কোন ব্যক্তিকে দেশের যে কোন নাগরিকই ধরতে পারে। এজন্য কোন দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থার অনুমতি বা বিধিনিষেধ বাধা হতে পারে না। বিমান মন্ত্রণালয় কিভাবে এমন একটি আদেশ জারি করল তা বোধগম্য নয়। এ আদেশের পরই কাস্টমস বেপরোয়া হয়ে ওঠে এবং চোরাচালানের মাত্রা বেড়ে যায় বলে ধারণা করা হচ্ছে। এসব বিষয়ে জানতে চাইলে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক সহিদুল ইসলাম বলেন, হঠাৎ চোরাচালান বেড়েছে এমনটি বলা যাবে না। বাইরে সোনার বড় বড় চালান ধরার মানে এই নয় যে, এভাবেই বিমানবন্দর দিয়ে এসেছে। কিছু কিছু সোনা তো যাত্রী সাধারণ নানাভাবে লুকিয়ে আনতে পারে। একটা দুটো সোনার বার আনাটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। শুল্ক গোয়েন্দা মাত্র তিনজনে প্রতি শিফটে কাজের সুযোগ পায়। জনবলের অভাবে অনেক সময়ই অনেক কিছু করা যায় না। ৮ নম্বর গেটে কেন স্ক্যানার ও কাস্টমস মোতায়েন করা হচ্ছে নাÑ এ বিষয়ে সহিদুল ইসলাম বলেন, এটা দেখার দায়িত্ব ঢাকা কাস্টমস হাউসের। আসলে আমাদের অনেক কিছুরই ঘাটতি আছে। জনবলের পাশাপাশি লজিস্টিক সাপোর্টেরও ঘাটতি আছে। তবে এখন কাস্টমস উদ্যোগ নিয়েছে কিছু স্ক্যানার কেনার। এগুলো পাওয়া গেলে এ সমস্যা অনেকটাই কেটে যাবে। এ বিষয়ে বার বার ফোন করেও ঢাকা কাস্টসম হাউসের কমিশনার মান্নান শিকদার কিছু বলতে অস্বীকার করেন। শুধু এটুকু বলেছেন, আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি ।
×