ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ডাঃ জাফরুল্লাহর বিরুদ্ধে জিডি ॥ তদন্তে ডিবি

প্রকাশিত: ০৫:৪৮, ১৬ অক্টোবর ২০১৮

ডাঃ জাফরুল্লাহর বিরুদ্ধে জিডি ॥ তদন্তে ডিবি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সময় টেলিভিশনের টকশোতে ইতিহাসের ভয়াবহতম একুশ আগস্ট গ্রেনেড হামলা প্রসঙ্গে সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদকে নিয়ে ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরীর কাল্পনিক মন্তব্যের ঘটনায় রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় একটি জিডি হয়েছে। একজন সেনাকর্মকর্তা বাদী হয়ে জিডিটি দায়ের করেন। জিডিতে ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মন্তব্যকে ‘অসত্য, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল’ বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বিরুদ্ধে দায়ের সাধারণ ডায়েরিটি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উত্তর বিভাগ। তদন্তে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জাফরুল্লাহর বিরুদ্ধে পরবর্তীতে আইনী পদক্ষেপ নেয়া হবে। জাফরুল্লাহর বক্তব্য রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল বিধায় তার বিরুদ্ধে সরাসরি বা জিডির তদন্ত শেষে রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে মামলা দায়ের করা যায় কি না সে বিষয়টি খতিয়ে দেখছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। রাজধানী ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কবির হোসেন হাওলাদার জানান, সেনাসদরে দায়িত্বরত মেজর এম রকিবুল আলম গত শুক্রবার থানায় এসে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডাঃ জাফরুল্লাহর বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরিটি করেন। জিডি নম্বর-৪৯৮। ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া বিভাগের উপ-কমিশনার মাসুদুর রহমান বলছেন, আদালত ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি সাপেক্ষে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের দক্ষিণ বিভাগ জিডির তদন্ত করছে। জিডিতে বলা হয়েছে, বেসরকারী সময় টেলিভিশনে গত ৯ অক্টোবর (একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায়ের আগে রাতে) রাত আনুমানিক ১০টা ২০ মিনিটে সম্পাদকীয় অনুষ্ঠানের টকশোতে ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরী একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় ব্যবহৃত গ্রেনেডের উৎস সম্পর্কে ওঠা আলোচনা প্রসঙ্গে বলেন, হ্যাঁ আর্জেস গ্রেনেড, আমি জানি না, সময়টি মিলে কি না, আমাদের বর্তমান চীফ অব আর্মি আজিজ সাহেব চট্টগ্রামের কমান্ডার ছিলেন, জিওসি ছিলেন, কমান্ড্যান্ট ছিলেন। তার ওখান থেকে একটা ব্যাপক সংখ্যক সমরাস্ত্র, গোলাগুলি চুরি হয়েছিল, হারিয়ে গেছিল, বিক্রি হয়ে গেছিল এবং এজন্য একটা কোর্ট মার্শালও হয়েছিল আজিজের নামে, জেনারেল আজিজের নামে কোর্ট মার্শালও হয়েছিল। তদন্তকারী সংস্থা ডিবির একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বক্তব্য কয়েক দফায় পর্যালোচনা করা হয়েছে। পর্যালোচনায় ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বক্তব্য মোতাবেক চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট থেকে যে সমরাস্ত্র খোয়া গিয়েছিল, তার মধ্যে আর্জেস গ্রেনেডও ছিল। সেই গ্রেনেডই একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় ব্যবহৃত হয়েছে। অর্থাৎ একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার সঙ্গে সেনাবাহিনীর যোগসূত্র আছে বলে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বোঝাতে চেয়েছেন। যদিও একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার তদন্তকারী সংস্থা সিআইডির আদালতে দেয়া তথ্য মোতাবেক, গ্রেনেডগুলো পাকিস্তান থেকে এসেছে। নতুন করে জাফরুল্লাহ চৌধুরীর এ ধরনের মিথ্যা তথ্য মানুষের মনে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে এবং সিআইডির তদন্তকে প্রশ্নের মুখে ফেলছে। জাফরুল্লাহ চৌধুরী অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার তদন্ত এবং হামলা সম্পর্কে মানুষের মনে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করেছেন বলে তদন্তে মনে হয়েছে। জিডিতে বাদী উল্লেখ করেন, বর্তমান সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ সম্পর্কে ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বক্তব্যটি ছিল একটি দায়িত্বজ্ঞানহীন, অসত্য বক্তব্য। কারণ, বর্তমান সেনাবাহিনী প্রধান চাকরি জীবনে কখনই চট্টগ্রামের জিওসি বা কমান্ড্যান্ট হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন না। তিনি ২০১০ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০১১ সালের জুন পর্যন্ত কুমিল্লায় ৩৩ আর্টিলারি ব্রিগেডের ব্রিগেড কমান্ডার, ২০১১ সালের জুন থেকে ২০১২ সালের মে পর্যন্ত ঢাকার মিরপুরে ৬ স্বতন্ত্র এডিএ ব্রিগেডের ব্রিগেড কমান্ডার এবং ২০১২ সালের মে থেকে ২০১২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত কুমিল্লায় ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ওই সময়ে চট্টগ্রাম বা কুমিল্লা সেনানিবাস থেকে কোন সমরাস্ত্র বা গোলাবরুদ চুরি বা হারানোর কোন ঘটনা ঘটেনি। এমনকি বর্তমান সেনাবাহিনী প্রধান তার সুদীর্ঘ বর্ণাঢ্য সামরিক চাকরি জীবনে কখনই কোর্ট মার্শালের সম্মুখীন হননি। জিডিতে আরও বলা হয়েছে, ২০০৩-২০১৮ পর্যন্ত চট্টগ্রামের ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি হিসেবে যথাক্রমে মেজর জেনারেল মঈন ইউ আহমেদ (পরবর্তীতে সেনাবাহিনী প্রধান), মেজর জেনারেল ইকবাল করিম ভুইয়া (পরবর্তীতে সেনাবাহিনী প্রধান), মেজর জেনারেল সিনা ইবনে জামালী (পরবর্তীতে লে. জেনারেল), মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আব্দুল মুবীন (পরবর্তীতে সেনাবাহিনী প্রধান), মেজর জেনারেল মোহাম্মদ শামিম চৌধুরী, মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আসহাব উদ্দিন, মেজর জেনারেল মোঃ সফিকুর রহমান (পরবর্তীতে লে. জেনারেল) এবং মেজর জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর কবির তালুকদার কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে মেজর জেনারেল এস এম মতিউর রহমান জিওসি হিসেবে কর্মরত আছেন। জিডিতে বলা হয়েছে, চাকরিরত সেনাবাহিনী প্রধান সম্পর্কে ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মতো একজন বিশিষ্ট ব্যক্তির এরূপ বানোয়াট, সৃজিত অসত্য বক্তব্য সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, যা সেনাবাহিনী প্রধানসহ সেনাবাহিনীর মতো রাষ্ট্রীয় একটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানকে জনসম্মুখে হেয় করার হীন অপচেষ্টার শামিল। ডাঃ জাফরুল্লাহ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও অসত্য বক্তব্য লাইভ টকশোতে উপস্থাপন কেবল সেনাবাহিনী প্রধান হিসেবে জেনারেল আজিজ আহমেদের সামরিক সুনাম ও সামাজিক অবস্থানকে ক্ষুণœ করেনি, সেনাবাহিনী প্রধানের সম্মানজনক পদকে চরমভাবে হেয় প্রতিপন্ন করেছে। এ ধরনের বক্তব্য প্রকারান্তরে কর্মরত সেনাবাহিনীর সদস্যদের বিভ্রান্ত করেছে এবং তাদের মনোবলের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। এছাড়া, এরূপ অপপ্রচার সেনাবাহিনীর মতো সুশৃঙ্খল বাহিনীর সংহতি ও একতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করার মাধ্যমে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্বের প্রতীক বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রতি বিদ্বেষ ও ঘৃণা সৃষ্টি করে সরকারকে অস্থিতিশীল করার নিমিত্তে সেনাবাহিনীর সদস্যদের বিভ্রান্ত করেছে। এরূপ অপপ্রচার সেনাবাহিনীর মতো সুশৃঙ্খল বাহিনীর সংহতি ও একতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করার উদ্দেশ্যে করা হয়েছে। ডাঃ জাফরুল্লাহ তার বক্তব্য প্রদানের মাধ্যমে সেনাবাহিনীর ঐক্যকে বিনষ্ট করাসহ সাধারণ জনগণের মধ্যেও বিভ্রান্তিকর তথ্য ও উদ্দেশ্যমূলক গুজব ছড়িয়ে দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী এবং সাধারণ জনগণের মধ্যে সেনাবাহিনী সম্পর্কে বিরূপ ও নেতিবাচক ধারণা সৃষ্টি করে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন বলে প্রতীয়মান হয়। জিডিতে আরও বলা হয়, একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ মামলার রায়ের আগের রাতে হঠাৎ অপ্রাসঙ্গিকভাবে সেনাপ্রধান সম্পর্কে ডাঃ জাফরুল্লাহর এমন বক্তব্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, বিদ্বেষপ্রসূত ও ষড়যন্ত্রমূলক, যা সেনাবাহিনীর মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি, তথা রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল। ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মতো একজন উচ্চশিক্ষিত ব্যক্তি কেন, কি উদ্দেশ্যে এবং কাদের প্ররোচনায় এ ধরনের উদ্দেশ্যমূলক, বানোয়াট ও অসত্য বক্তব্য টকশোতে বলেছেন তা তদন্তের দাবি রাখে। উল্লেখিত ঘটনার বিষয়ে সেনাবাহিনীর উর্ধতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা ও নির্দেশক্রমে অভিযোগটি দায়ের করা হয়েছে বলে জিডিতে বলা হয়। বিধিমোতাবেক তদন্ত করে ডাঃ জাফরুল্লাহসহ উক্ত ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার অনুরোধ করা হয়েছে জিডিতে। এ বিষয়ে সেনাসদরের প্রতিবাদের পর গত শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, টেলিভিশনের আলোচনায় তার বক্তব্যে ভুল ছিল এবং সেজন্য তিনি দুঃখিত। ভুল সংশোধন করে নিতে গিয়ে বিএনপি সমর্থক পেশাজীবী নেতা হিসেবে পরিচিত এই নেতা জেনারেল আজিজ একজন দক্ষ আর্টিলারি সেনা কর্মকর্তা। তিনি চট্টগ্রামের সেনানিবাসের জিওসি ছিলেন না, কমান্ড্যান্টও ছিলেন না। তিনি তার কর্মজীবনের এক সময়ে চট্টগ্রাম সেনাছাউনিতে আর্টিলারি প্রশিক্ষক ছিলেন বলে উল্লেখ করেন। তার বিরুদ্ধে কোর্ট মার্শাল হয়নি, একবার কোর্ট অব ইনকোয়ারি হয়েছিল। এই বক্তব্যের প্রতিবাদ সোমবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) থেকে আরেকটি প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়, ডাঃ জাফরুল্লাহ আবারও মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন। টেলিভিশন আলোচনায় জাফরুল্লাহ ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলায় ব্যবহৃত আর্জেস গ্রেনেডের উৎস হিসেবে ‘সুকৌশলে’ সেনাবাহিনীকে সম্পৃক্ত করার একটি চেষ্টা করেছিলেন, যা ছিল ‘দুরভিসন্ধিমূলক’। ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা সংক্রান্ত মামলার রায় ঘোষণার আগের দিন টেলিভিশন লাইভ টকশোতে এ ধরনের অসত্য বক্তব্য প্রদান ছিল উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অসত্য বক্তব্যকে সংশোধন করার কোন চেষ্টা করেননি। তার সামগ্রিক বক্তব্যে এটা স্পষ্ট যে তিনি সেনাবাহিনীতে কর্মরত সকল পদবীর সদস্যদের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টার পাশাপাশি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিম-লে সেনাবাহিনী প্রধানের ভাবমূর্তি এবং স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক দেশপ্রেমিক বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপপ্রয়াস চালিয়েছেন। আইএসপিআরের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আলমগীর কবিরের স্বাক্ষরিত বক্তব্যে আরও বলা হয়েছে, জাফরুল্লাহ শব্দ চয়নে ভুল করে কোর্ট অব ইনকোয়ারির স্থলে কোর্ট মার্শাল বলেছেন, তার এই তথ্যটিও সঠিক নয়। ব্যক্তি আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধে কখনও কোর্ট মার্শাল তো হয়ইনি, বরং জেনারেল আজিজ আহমেদের সুদীর্ঘ বর্ণাঢ্য চাকরি জীবনে তার বিরুদ্ধে কোন কোর্ট অব ইনকোয়ারিও হয়নি। বস্তুতপক্ষে জাফরুল্লাহর তথ্যটি চরম মিথ্যাচারের শামিল। এর আগে সময় টিভিতে ভুল, দায়িত্বহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বক্তব্যের জন্য ভুল স্বীকার ও দুঃখ প্রকাশ করতে গিয়ে পুনরায় অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে তিনি মিথ্যা তথ্য দিয়ে জেনারেল আজিজ আহমেদের ভাবমূর্তি ক্ষণœ করার অপচেষ্টা চালিয়েছেন। বিশ্লেষকরা বলছেন, সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ পরীক্ষিত সেনাকর্মকর্তা। বিজিবি ও সেনাবাহিনীর বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ ইউনিটে সুনামের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন। রক্তক্ষয়ী বিদ্রোহের পর বিডিআরকে আবার আগের অবস্থায় আনার পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছেন তিনি। সূত্র বলছে, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরী ছাত্র জীবনে ছাত্র ইউনিয়নের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। পরবর্তীতে সময়ের পালাবদলে তিনিও নিজেকে বদলে ফেলেছেন। স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াতের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে ক্ষমতায় যাওয়া বিএনপি চেয়ারপার্সন কারাবন্দী খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করছেন। সম্প্রতি জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার ‘আন্ডারগ্রাউন্ড পলিসিমেকার’ এবং বিএনপির প্রভাবশালী ‘থিঙ্কট্যাঙ্ক’ হিসেবে পরিচিত তিনি।
×