ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে জাতি হতবাক ॥ রিজভী

প্রকাশিত: ০৫:৫৯, ১৬ অক্টোবর ২০১৮

প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে জাতি হতবাক ॥ রিজভী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে জাতি হতবাক উল্লেখ করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগের শাসনামলেই সংখ্যালঘুদের ওপর সবচেয়ে বেশি নির্যাতন হয়। দেবালয়ের পুরোহিত থেকে শুরু করে বিদেশীরাও হত্যার শিকার হয়েছে। সোমবার নয়াপল্টন দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী গত রবিবার মাওয়া ও শিবচরের জনসভায় আজগুবি, উদ্ভট, স্ববিরোধী নানা কথা বলেছেন, যা জাতিকে হতবাকই করেনি, মানুষ মুচকি হেসেছে। আওয়ামী লীগ প্রতিনিয়ত জীবন্ত মানুষকে লাশ করার কাজ করে বলেও উল্লেখ করেন বলেন, ‘হাজার হাজার বিচার-বহির্ভূত হত্যার হিড়িকে দেশব্যাপী আতঙ্ক ও ভীতিকর অবস্থা বিরাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী নিজ দলের অনাচারগুলোর দায় অন্যের ওপর চাপিয়ে দিয়ে বক্তব্য রেখেছেন। ২০০৬ সালের অক্টোবরে আপনি যখন লগি-বৈঠা নিয়ে আপনার কর্মীদের ঢাকায় আসতে বলার নির্দেশ দিয়ে, দলীয় লোকদের দিয়ে ২৮ অক্টোবরে লাশের ওপর নৃত্য করালেন, তারপরও কি আপনাকে শান্তির দূত বলতে হবে?’ এবারে ক্ষমতায় এসে বিএনপির মন্ত্রী-এমপি থেকে শুরু করে যুবনেতা-ছাত্রনেতাসহ নানা শ্রেণী ও পেশার মানুষের গুম হওয়ার পরও কি আপনাকে মানবতার জননী বলতে হবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, মানুষের মানবাধিকার ও বাকস্বাধীনতা কেড়ে নিয়ে আওয়ামী লীগ নেত্রী নিজেকে একক ভাষ্যকারে পরিণত হয়ে অন্যকে খুনী, দুর্নীতিবাজ বলছেন। অথচ খুন, জখম যে আওয়ামী শাসনের ঐতিহ্য, তা কিন্তু মানুষ ভুলে যায়নি। তিনি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, নানা কালাকানুন করে গণতন্ত্রকেই লকআপ করেছে আওয়ামী লীগ। মানুষ এখন ডিজিটাল আতঙ্কে ভুগছে। তিনি বলেন, ভিওআইপি ব্যবসার সঙ্গে কারা জড়িত সেটিও মানুষ অবগত। একদিন হুড়মুড় করে সব বেরিয়ে পড়বে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন দিয়েও সেটি আটকানো যাবে না। সারাদেশে বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের নিন্দা জানিয়ে তাদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান। ‘তিনি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ নানা কালাকানুন করার কারণে মানুষ মন খুলে কথা বলতে এবং হাসতেও ভয় পায়। মানুষ এখন ডিজিটাল আতঙ্কে ভুগছে। গণমাধ্যমের মালিক ও সাংবাদিকরা চরম আতঙ্কে আছেন। এরপরও কি প্রধানমন্ত্রীকে গণতন্ত্রের মানসকন্যা বলতে হবে?’ এদিকে প্রেসক্লাবে এক বক্তৃতায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠনের মাধ্যমে সরকারের একদলীয় শাসনের প্রকল্প বাস্তবায়নের পথ ভেঙ্গে গেছে। আইনের শাসন, বাকস্বাধীনতা, ভোটাধিকার, জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে দেশের মানুষ যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার প্রতিফলন হচ্ছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। জাতীয় ঐক্যের যে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে দেশের মানুষ ফিরে পাবেন আইনের শাসন, বাকস্বাধীনতা, ভোটাধিকার, জীবনের নিরাপত্তা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, কালো আইন বাতিল ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের সুযোগ। তিনি বলেন, জাতীয় ঐক্য হয়েছে, এটি নিয়ে বসে থাকলে হবে না। জাতীয় ঐক্যকে এগিয়ে নিতে যা যা করা দরকার সব আমাদের করতে হবে। আন্দোলনের জন্য নিজেদের পাশাপাশি জনগণকে সম্পৃক্ত করতে হবে।
×