ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ঢাবিতে পরিকল্পিতভাবে ভবন নির্মাণ করা হবে ॥ উপাচার্য

প্রকাশিত: ০৬:৪৫, ১৬ অক্টোবর ২০১৮

ঢাবিতে পরিকল্পিতভাবে ভবন নির্মাণ করা হবে ॥ উপাচার্য

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার ॥ ক্যাম্পাসে নিরাপত্তার প্রশ্নে কখনও আপোস করা হবে না বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আখতারুজ্জামান। এছাড়া দুর্ঘটনা এড়াতে ভবিষ্যতে পরিকল্পিতভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভবন নির্মাণ করা হবে বলেও তিনি জানান। সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় তিনি এ কথা জানান। ১৯৮৫ সালের ১৫ অক্টোবর রাতে জগন্নাথ হলে সংঘটিত মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় নিহতদের স্মরণে প্রতিবছর এই দিনে শোক দিবস পালন করা হয়। জগন্নাথ হলের অক্টোবর স্মৃতি ভবনস্থ টিভি কক্ষের আলোচনা সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোঃ কামাল উদ্দীন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, জগন্নাথ হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. অসীম সরকার, প্রাক্তন প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. অজয় কুমার দাস, শোক দিবস পালন কমিটির আহ্বায়ক ড. তাপস দেবনাথ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সৈয়দ আলী আকবরসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মোঃ এনামউজ্জামান । উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আখতারুজ্জামান বলেন, সেদিন ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল শ্রেণী-পেশার মানুষ উদ্ধার কাজে অংশ নিয়েছিল। অসাম্প্রদায়িক চেতনা এবং নৈতিক ও মানবিক মূল্যবোধে উদ্বুদ্ধ হয়ে মানুষ সেদিন হতাহতদের পাশে দাঁড়িয়েছিল। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং ১৯৮৫ সালের ১৫ অক্টোবরের চেতনা ছিল এক ও অভিন্ন। সচেতনতা ও সাবধানতা অবলম্বনের মাধ্যমে অনেক দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব উল্লেখ করে তিনি বলেন, সম্ভাব্যতা যাচাই ও মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নের মাধ্যমে ভবিষ্যতে পরিকল্পিতভাবে ভবন নির্মাণ করা হবে। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো দ্রুত খালি করার বিষয়ে তিনি বিভিন্ন সমিতি ও সংগঠনের নেতাদের সহযোগিতা চান। দিবসটি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব হল, হোস্টেল ও প্রধান ভবনগুলোতে কালো পতাকা উত্তোলন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা অর্ধনমিত রাখা ও কালো ব্যাজ ধারণ করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী সকাল সাড়ে ৭টায় অপরাজেয় বাংলার পাদদেশ থেকে শোক র‌্যালি সহকারে জগন্নাথ হল স্মৃতিসৌধে যান এবং পুষ্পস্তবক অর্পণ ও নীরবতা পালন করেন। এছাড়া জগন্নাথ হল প্রাঙ্গণে হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রীস্টান ধর্মাবলম্বীদের প্রার্থনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সকালে জগন্নাথ হল প্রাঙ্গণে নিহতদের তৈলচিত্র ও তৎসম্পর্কিত দ্রব্যাদি প্রদর্শন এবং রক্তদান কর্মসূচী পালন করা হয়। সন্ধ্যায় জগন্নাথ হল উপাসনালয়ে কবিতা আবৃত্তি, ভক্তিমূলক গান ও শোক সঙ্গীতের আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়া অক্টোবর মাসজুড়ে ‘অক্টোবর স্মৃতি রচনা প্রতিযোগিতা’ ও ‘অক্টোবর স্মৃতি চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা’ অনুষ্ঠিত হবে।
×