ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

বাগেরহাটে পানগুছির ভাঙ্গনে আরও ৫০ একর জমি বিলীন

প্রকাশিত: ০৬:৪৯, ১৬ অক্টোবর ২০১৮

বাগেরহাটে পানগুছির ভাঙ্গনে আরও ৫০ একর জমি বিলীন

স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট ॥ মোরেলগঞ্জে পানগুছি নদীর ভাঙ্গনে রবিবার রাতে আরও কমপক্ষে ২৫ একর জমি বিলীন হয়ে গেছে। সোমবার দুপুরে ভাঙ্গন ঠেকাতে টেকসই বেড়িবাঁধের দাবিতে নদীপাড়ের ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ মানববন্ধন করেছেন। গাবতলা, কাঁঠালতলা ও খাউলিয়া গ্রামের দুই শতাধিক নারী পুরুষ এ মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন। মোরেলগঞ্জ সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মাহমুদ আলী জানান, প্রতিদিন ভাঙছে নতুন নতুন এলাকা। বসতবাড়িসহ বহু প্রতিষ্ঠান, রাস্তাঘাট চলে গেছে নদীগর্ভে। গত ৪০ বছরে পানগুছি নদীর অব্যাহত ভাঙ্গনে শত শত পরিবার নিঃস্ব হয়ে গেছে। দিন দিন বদলে যাচ্ছে উপজেলার মানচিত্র। পানগুছি নদীর আয়তন তিনগুণ বেড়েছে। ৩৫/২ পোল্ডারের অধীনে বেড়িবাঁধ নির্মাণের প্রস্তাব করা হলেও দীর্ঘ ৫০ বছরেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। মন্ত্রী, এমপি ও পাউবোর কর্মকর্তারা পরিদর্শনও করেছেন বহুবার। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। গত ৪০ বছরে শুধু উপজেলা সদর থেকে নদীগর্ভে চলে গেছে, খাদ্যগুদাম, সাবরেজিস্ট্রি অফিস, টেলিফোন অফিস, আব্দুল আজিজ মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়, এসিলাহা উচ্চ বিদ্যালয়ের মূল ভবন, ডাকবাংলো, বারইখালী ইউনিয়ন পরিষদ, পুলিশ কোয়ার্টার, আনছার ময়দান, বারইখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, পোস্ট অফিস, স্যানিটারি ইন্সপেক্টরের অফিস, কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ, থানা জামে মসজিদ, সার্বজনীন হরিসভা মন্দির, শ্মশানঘাটসহ বহু প্রতিষ্ঠান ও রাস্তাঘাট। বর্তমানে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে গাবতলা, কাঁঠালতলা, বারইখালী, ফেরিঘাট, কুমারখালী, সন্যাসী, শ্রেণীখালী, ঘষিয়াখালী, সোনাখালী, ফুলহাতাসহ ২০টি গ্রাম। ক্ষতিগ্রস্তদের পক্ষে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মাহমুদ আলী বলেন, কয়েক শ’ পরিবার তাদের মাথা গোজার ঠাঁই হারিয়ে ছিন্নমূলে পরিণত হয়েছে। ধসে গেছে ২৫ একর জমি। পৌর শহর রক্ষার্থে এ পর্যন্ত মাত্র ১ কিলোমিটার পাইলিং হয়েছে। খরস্রোতা পানগুছির ভাঙ্গন থেকে মোরেলগঞ্জ পৌর শহরসহ ২০টি গ্রাম রক্ষা করতে প্রয়োজন টেকসই বেড়িবাঁধ। দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে চলছে শুধু পরিদর্শন ও চিঠি চালাচালি। কাজের কিছু হয়নি।
×