ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

গফরগাঁওয়ে আলোচনায় বিএনপির তিন নেতা

প্রকাশিত: ০৭:০০, ১৭ অক্টোবর ২০১৮

গফরগাঁওয়ে আলোচনায় বিএনপির তিন নেতা

শেখ আব্দুল আওয়াল, গফরগাঁও ॥ দরজায় কড়া নাড়ছে একাদশ সংসদ নির্বাচন। তফসিলের পর শুরু হবে মূল ভোটযুদ্ধ। সম্ভাব্য প্রার্থী ও কর্মী-সমর্থকরা চালাচ্ছেন প্রচার। ময়মনসিংহ-১০ (গফরগাঁও) আসনে বিএনপিতে সম্ভাব্য প্রার্থীর সংখ্যা বেশি হলেও আলোচনায় রয়েছেন প্রবীণ রাজনীতিক এবি সিদ্দিকুর রহমান, তরুণ নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ডাঃ মোফাকখারুল ইসলাম রানা ও কেন্দ্রীয় তৃণমূল দলের সাধারণ সম্পাদক সাবেক ছাত্রনেতা এ্যাডভোকেট আল ফাতাহ খান। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ না থাকলেও সাংগঠনিক কার্যক্রম অব্যাহত ছিল। বিএনপি প্রতিষ্ঠার পর থেকেই গফরগাঁওয়ে সংগঠনটির নেতৃত্বে ছিল প্রয়াত এমপি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ফজলুর রহমান সুলতানের পরিবার। রাজনীতির মাঠে অষ্টম সংসদ নির্বাচনে অভিষেক ঘটে তারই সহোদর শিল্প উদ্যোক্তা এবি সিদ্দিকুর রহমানের। আওয়ামী লীগের দুর্গে বজ্রাঘাত করলেও সে সময় বৈতরণী পার হতে পারেননি। পিছন ফিরে তাকালে বিএনপির রাজনৈতিক ইতিহাসের পরিবর্তনের পিছনে এবি সিদ্দিকুর রহমানের ভূমিকাই স্পষ্ট বলে প্রতীয়মান হয়। সরকার বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখে নেতা-কর্মীদের অবিচল আস্থায় চলে আসেন সিদ্দিকুর রহমান। এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে স্ফুলিঙ্গের মতো যিনি রাজপথ উত্তপ্ত রেখেছিলেন বর্তমান কেন্দ্রীয় তৃণমূল দলের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট আল ফাতাহ খান। ছাত্রদলের রাজনীতির মধ্য দিয়ে রাজনীতিতে অভিষেক হয়েছিল এ নেতার। ময়মনসিংহ জেলা যুবদল নেতা মিজানুর রহমান পল্টনসহ আরও কয়েকজন বিএনপি নেতা-কর্মী বলেন, বিগত ১/১১ পর থেকে অদ্যবধি পর্যন্ত শাসক দলের নির্যাতনের শিকার এমন অনেক নেতা-কর্মীকে এ্যাডভোকেট ফাতাহ খান আশ্রয় দিয়েছেন। নিয়মিত তাদের খোঁজ নেয়ার পাশাপাশি মামলা-হামলায় জর্জরিত দলের এমন বহু নেতা-কর্মীকে মামলা চালাতে ও জামিন নিতে দিয়ে যাচ্ছেন নগদ অর্থ সহায়তা। বিপদে পড়েছেন এমন কোন নেতা নেই যার জন্য তিনি অর্থ সহায়তা করেননি। দুর্দিনে বিএনপির পাশে থাকার পাশাপাশি নির্যাতিত নেতা-কর্মীদের সার্বিক সহযোগিতা করায় বিপদের কা-ারি হিসেবে ফাতাহ খানকে চেনেন কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। ইতোমধ্যে লড়াই সংগ্রামে রাজপথে থেকে মামলা হামলায় সহযোদ্ধা হয়েছেন দলীয় নেতা-কর্মীদের। ফাতাহ খান বলেন দলের দুঃসময়ে লড়াই সংগ্রামে আমি আছি থাকব। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আমাকে মনোনয়ন দিয়ে গফরগাঁওবাসীর সেবা করার সুযোগ দিবেন বলে আমি মনেপ্রাণে বিশ^াস করি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ^বিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ডাঃ মোফাকখারুল ইসলাম রানা আওয়মী লীগের প্রথম ও দ্বিতীয় মেয়াদে শাসক দলের যে খরগ মামলা-হামলা ও নির্যাতনের শিকার বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের এমন অনেক দলীয় নেতাকর্মীর পাশে থেকে দুর্দিনের সঙ্গী হয়ে আশ্রয় প্রদান করে আর্থিক সহযোগিতা করেন। এতে নেতা-কর্মীদের কাছে তিনি বিএনপির রাজনীতির বিশ্বস্ত সেনপতি হয়ে উঠেছেন। ফলে বিএনপি নেতা কর্মীদের ভরসান নাম ডাঃ রানা কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের কাছে বেশ জনপ্রিয়। উপজেলা ছাত্রদল আহ্বায়ক মাহিবুর রহমান নাসিম, আব্দুল আজিজ সাদেক ও উপজেলা যুবদল আহ্বায়ক সর্দার খুররম, যুগ্ম আহবায়ক সোহাগ বলাইসহ বিএনপির পরীক্ষিত নেতা-কর্মীরা মনে করেন জিয়ার আদর্শকে সমুন্নত রাখতে ডাঃ রানার কোন বিকল্প নেই। উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শেখ মোঃ ইসহাক, শ্রমিক দল সভাপতি গফুর হাসান বলেন, নির্লোভ এ নেতা বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিপদের সার্বক্ষণিক সঙ্গী হয়ে মামলা-হামলায় আর্থিক সহযোগিতার পাশাপাশি দিয়ে যাচ্ছেন সার্বিক চিকিৎসাও। এ অবস্থায় তিনি মনোনয়ন পেলে মহাজোট প্রার্থী তার কাছে কুপোকাত হতে পারেন। মানব সেবায় নিবেদিত হয়েও রাজনীতির মাঠে নিজেকে কর্মী বান্ধব রাজনীতিক হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা ডাঃ মোফাকখারুল ইসলাম রানা ছাত্র জীবনে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি ছিলেন। পরিচ্ছন্ন মানুষ হিসেবে গণমানুষের স্থাতধারায় তিনি একজন।
×