ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

পাথরঘাটায় জেলেদের চাল ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ

প্রকাশিত: ০৩:৩৮, ১৭ অক্টোবর ২০১৮

পাথরঘাটায় জেলেদের চাল ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ

সংবাদদাতা, পাথরঘাটা, বরগুনা ॥ বরগুনার পাথরঘাটায় ইলিশ প্রজনন মওসুমে সংরক্ষনের সময় এক ইউপি চেয়াম্যান ও সদস্যদের বিরুদ্ধে জেলেদের চাল বিতরনে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী প্রত্যেক জেলেকে ২০ কেজি করে চাল বিতরণ করার কথা থাকলেও দেয়া হচ্ছে ১২ থেকে ১৫ কেজি করে। মঙ্গলবার (১৬ অক্টোবর) বিকালে উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আকন মো. সহিদ খাদ্য গুদামের সামনে এ চাল বিতরন করেন। খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে যান। সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, উপজেলা কালমেঘা ইনিয়নে প্রতি জেলেকে ২০ কেজি করে চাল দেয়া কথা জেলেরা শুনছে । চাল নেয়ার পরে তারা মিটারে মেপে দেখেন প্রতি জন জেলে ১২ থেকে ১৫ কেজি করে চাল পেয়েছে। এনিয়ে জেলেদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হলে সবাই জেনে যায়। জামাল হোসেন, সেলিম, জাহাঙ্গীর হোসেন, কালাম হোসেনসহ একাধিক জেলে জানান, আমরা জানি প্রত্যেক জেলেকে ২০ কেজি করে চাল দেয়ার কথা। চেয়ারম্যান ও মেম্বররা বালতি দিয়ে মেপে আমাদের কম চাল দিয়েছে। তারা আরো জানান, আমাদের মধ্যে প্রকৃত জেলেরা এ চাল পাচ্ছেন না। যে সকল লোকজন কখনও নদীতে মাছ শিকার করে নাই তারাও আজ চাল নিয়ে যাচ্ছে। পাথরঘাটা উপজেলা মৎস্য অফিস সুত্রে জানা গেছে, ইলিশসহ সব প্রজাতির মাছের প্রজনন বৃদ্ধি ও মা ইলিশ রক্ষার্থে এ বছরের ৭ থেকে ২৮ অক্টোবর নদীতে মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার। তাই এ ২২ দিন বেকার হয়ে যাওয়া জেলেদের আর্থিক অনুদান দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ সময় প্রতি জেলে পরিবারকে ২০ কেজি করে চাল দেওয়া হচ্ছে। কালমেঘা ইউনিয়র পরিষদের চেয়াম্যান আকন মো. সহিদ চাল কম দেয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, জেলেদের চাল ঠিক মতই দেয়া হয়েছে। তবে শেষ দিকে চাল কম থাকায় জেলেদের চাল কম দেয়া হতে পারে। এব্যাপারে পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হুমায়ূন কবির বলেন, আমি এর আগে সার্বক্ষনিক ঘটনস্থলে থেকেই পর্যবেক্ষন করেছি। চাল কম দেয়ার বিষয়টি আমার চোখে পরেনি।
×