ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ভাঙ্গা সেতুতে চলছে যান ॥ দুর্ঘটনার আশঙ্কা

প্রকাশিত: ০৪:৩৩, ১৮ অক্টোবর ২০১৮

ভাঙ্গা সেতুতে চলছে যান ॥ দুর্ঘটনার আশঙ্কা

গিয়াস উদ্দিন ফরহাদ, নোয়াখালী ॥ এক বছর আগে ভেঙ্গে দেবে গেছে বেগমগঞ্জ উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ-ওদারহাট সড়কের ভবভদ্রি সেতু। স্থানীয়রা প্রবেশমুখে গাছের গুঁড়ি পুঁতে দিয়েও যানবাহন চলাচল আটকাতে পারছে না। ভাঙ্গা সেতু দিয়েই চলছে অটোরিক্সাসহ যানবাহন। এতে যে কোন মুহূর্তে ঘটতে পারে বড় দুর্ঘটনা। তাই ব্রিজটির ওপর দিয়ে যানবাহন চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিয়ে বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি এলাকাবাসীর। সম্প্রতি সরেজমিন পরিদর্শনকালে দেখা যায়, বেগমগঞ্জ উপজেলার আলাইয়াপুর ইউনিয়নের মধ্যে পড়া ব্রিজটির উত্তর মাথায় চন্দ্রগঞ্জ বাজার অংশে একটি গাছে গুঁড়ি পুঁতে দেয়া। একটু সামনে এগুতেই দেখা যায়- ব্রিজের মাঝামাঝি স্থানের একটি পিলারসহ উপরের ঢালাই করা স্ল্যাব ভেঙ্গে নিচের দিকে দেবে গেছে। দুই পিলার ফাটল ধরে ভেঙ্গে পড়ছে। এরপরও ব্রিজটি দিয়ে সিএনজি চালিত অটোরিকশা, ভ্যানগাড়ি, রিক্সা, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন ছোট যানবাহন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। আলাইয়াপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও নির্মাণ ঠিকাদার আলাউদ্দিন খান বলেন, চন্দ্রগঞ্জ-ওদারহাট সড়কের ভবভদ্রি ব্রিজ হয়ে বেগমগঞ্জ ও সদরের পশ্চিমাঞ্চলের কয়েকটি ইউনিয়নের বাসিন্দারা সহজে ঢাকা, চট্টগ্রাম যাতায়াত করতে পারতেন। কিন্তু প্রায় এক বছর আগে ব্রিজটির মাঝামাঝিস্থানে পিলারসহ ভেঙ্গে নিচের দিকে দেবে যাওয়ার কারণে এখন ভারি যানবাহন চলাচল বন্ধ। এতে লোকজনের চলাচলেও সমস্যা হচ্ছে। আলাউদ্দিন খান আরও বলেন, তিন স্প্যানের ব্রিজটি আনুমানিক লম্বা ১২৫ ফুট এবং প্রস্থ ৮ ফুট। প্রায় ৩২ বছর আগে চন্দ্রগঞ্জ পশ্চিম বাজার-সংলগ্ন মনেন্দ্র খালের (চৌমুহনী-লক্ষ্মীপুর) ওপর আলাইয়াপুর ইউনিয়নের ভবভদ্রি ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়েছিল। খালের তীব্র ¯্রােতের তোড়ে ব্রিজের মাঝামাঝি স্থানের পিলারের মাটি সরে যাওয়ায় যানবাহনের চাপে পিলার ব্রিজসহ নিচের দিকে দেবে গেছে। এটি ভেঙ্গে দ্রুত পুনর্নির্মাণ করা খুবই জরুরী। না হয় যে কোন মুহূর্তে এই ব্রিজ পুরোপুরি ধসে পড়ে প্রাণহানির ঘটনা ঘটতে পারে। ভাঙ্গা ব্রিজ দিয়ে যাতায়াতকারী অটোরিক্সা চালক সফি উল্যাহ বলেন, কাছাকাছি এলাকায় বিকল্প সড়ক কিংবা ব্রিজ না থাকায় চন্দ্রগঞ্জ-ওদারহাট সড়কের এই ভাঙা ব্রিজ দিয়েই তিনি নিয়মিত যাত্রী আনা নেয়া করেন। যাত্রী নিয়ে ব্রিজের ওপর উঠতে ভয় লাগে। এরপরও জীবনবাজি রেখে গাড়ি চালান। অনেক যাত্রী আছেন, যারা ব্রিজের কাছে এলে নেমে যান, আবার অনেকে নামতে চান না। তাই দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে তাদের পার করেন।
×