ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

সারাদেশে আরও ৩৪ বাফার সার গুদাম নির্মাণের পরিকল্পনা

প্রকাশিত: ০৫:৫৩, ১৮ অক্টোবর ২০১৮

সারাদেশে আরও ৩৪ বাফার সার গুদাম নির্মাণের পরিকল্পনা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ইউরিয়া সার সংরক্ষণ ও বিতরণের সুবিধার জন্য দেশজুড়ে আরও ৩৪টি বাফার সার গুদাম নির্মাণ করতে চায় সরকার। এসব গুদামে ৮ লাখ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার মজুদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যেখানে এই গুদামগুলো নির্মাণ হলে বিভিন্ন খরচ মিলিয়ে বছরে অতিরিক্ত প্রায় ৬০০ কোটি টাকা সাশ্রয়েরও আশা করছে সরকার। জানা গেছে, দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রায় লাখ লাখ মেট্রিক টন সার খোলা আকাশের নিচে থাকে। ফলে জমিতে এসব সারের কার্যকারিতা কম থাকে। খোলা জায়গায় রাখার কারণে ইউরিয়া সার জমাট বেঁধে দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। আর্দ্রতার কারণে সারের গুণগত মানও ঠিক থাকে না। ফলে কৃষকেরা সারের প্রকৃত সুফল পায় না। আর সে কারণেই সার সংরক্ষণ ও বিতরণের সুবিধার্থে মজুদ নিশ্চিত করার জন্য এই বাফার গুদাম নির্মাণ করা হচ্ছে। মন্ত্রণালয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে বিএডিসির ২৪টি আপদকালীন গুদাম আছে। এগুলোতে সাধারণ ও সর্বোচ্চ ধারণ ক্ষমতা ১.৪৫ লাখ ও ২.৯৩ লাখ মেট্রিক টন। প্রতিবছর এসব গোডাউন থেকে ১৭.১৮ লক্ষ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার কৃষকদের মধ্যে সরবরাহ করা হয়। এরপরেও প্রায় আড়াই লাখ মেট্টিক টন সার খোলা আকাশের নিচে থেকে যায়। এরই মধ্যে ১৩টি গোডাউন নির্মাণাধীন যা গত ১১ অক্টোবর একনেকের সভায় সংশোধিত প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়। এই ১৩টি নির্মাণ হলে ১ লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টন সার মজুদ রাখা যাবে। তারপরও মজুদ ব্যবস্থা পর্যাপ্ত মনে হচ্ছে না বিধায় মন্ত্রণালয় নতুন করে ৩৪টি গুদাম নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে। এ লক্ষ্যে ‘সার সংরক্ষণ ও বিতরণ সুবিধার্থে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ৩৪টি বাফার গুদাম নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্প হাতে নিয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়। ২ হাজার ১৬৮ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন (বিসিআইসি)। যা ২০২১ সালের জুনের মধ্যে বাস্তবায়ন করতে চায়।
×