ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

দুর্গাপূজা উপলক্ষে দিনাজপুর সীমান্ত এলাকায় দু’দেশের মিলনমেলা

প্রকাশিত: ২২:২৮, ১৮ অক্টোবর ২০১৮

দুর্গাপূজা উপলক্ষে দিনাজপুর সীমান্ত এলাকায় দু’দেশের মিলনমেলা

স্টাফ রিপোর্টার, দিনাজপুর ॥ দুর্গাপূজা উপলক্ষে দিনাজপুরের হিলি ও বিরল সীমান্তের চেকপোস্ট গেট এবং তার আশপাশের এলাকা ভারত ও বাংলাদেশের দর্শনার্থীদের পদচারণায় মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে। সীমান্তের শূন্যরেখার দু’পাশে ভিড় করছেন শত শত মানুষ। এদের কেউবা পূজা দেখতে, কেউ বা তাদের আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন। দুর্গাপূজা উপলক্ষে দুই দেশের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের পারাপারের সংখ্যাও আগের তুলনায় বেড়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। দুর্গাপুজা শুরুর পর থেকে প্রতিদিনই সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দিনাজপুরের হিলি ও বিরল সীমান্তের চেকপোস্ট গেট এবং এর আশপাশ এলাকায় মানুষের ভিড় হচ্ছে প্রচুর। স্থানীয় লোকজন ছাড়াও অনেকে এসেছেন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে। অপরদিকে ভারতের বিভিন্ন স্থান থেকেও দর্শনার্থীরা আসছেন বাংলাদেশের পূজা দেখতে এবং স্বজনদের সাথে দেখা করতে। কাঁটাতারের বেড়া এবং বিজিবি ও বিএসএফের নিরাপত্তা ব্যবস্থার কারণে সীমান্ত পার হতে পারছেন না কেউ। তবে শূন্যরেখার দুই পাশে দাঁড়িয়ে দুই দেশের বাসিন্দারা স্বজনদের দেখে আনন্দে আপ্লুত হয়ে পড়েছেন তারা। বিরল সীমান্তে আসা কয়েকজন দর্শনার্থীদের সাথে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে কথা হলো। তারা জানান, সীমান্তে তারকাঁটার বেড়া দিয়ে দুই দেশকে ভাগ করা হলেও, আত্মীয়তার বন্ধন আজও ছিন্ন হয়নি। ভালোবাসার টানে, প্রাণের টানে তারা বারবারই ছুটে আসছেন সীমান্তে। সীমান্তের শুন্য রেখায় দাড়িয়ে, স্বজনদের এক নজর দেখার সুযোগ পেয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়ছেন তারা। পাসপোর্টে ভারতে যাওয়া নারায়নী নামে এক মহিলা বলেন, আমি ভারতে পূজা দেখতে যাচ্ছি। সেখানকার পূজাগুলো অনেক ভালো ও সুন্দর হয়। আমার মতো অনেক যাত্রীই পূজা দেখতে ভারতে যাচ্ছেন। এই উপলক্ষে আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গেও দেখা হবে। বিজিবি হিলি আইসিপি ক্যাম্প কমান্ডার সুবেদার এটিএম মোস্তফা জানান, দুর্গাপূজা উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রচুর সংখ্যক মানুষ হিলি সীমান্তে আসছেন। আবার অনেকে ভারতে তাদের আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে দেখা করছেন। আবার কেউবা সীমান্তের শূন্যরেখা ঘুরে দেখছেন। নিয়মের মধ্যে থেকে যতদূর সম্ভব, তাদের আবদার রক্ষা করা হচ্ছে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত লোকজনের সংখ্যা কিছুটা কম হলেও, বিকালে ভিড় অনেক বেশি হয়। হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ওসি আব্দুস সবুর জানান, দুর্গাপূজা উপলক্ষে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে যাত্রী পারাপার বেড়েছে। হিলি স্থল শুল্কস্টেশনের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা শাকের আহম্মেদ জানান, হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে যাত্রী পারাপার আগের তুলনায় খানিকটা বেড়েছে। একটা উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়েছে। যাত্রী বাড়ার কারণে সরকারের রাজস্ব আয়ও অনেকটা বেড়েছে।
×