ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে সবাই সমান অধিকার ভোগ করবে ॥ কৃষিমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০০:৫১, ১৮ অক্টোবর ২০১৮

ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে সবাই সমান অধিকার ভোগ করবে ॥ কৃষিমন্ত্রী

নিজস্ব সংবাদদাতা, শেরপুর ॥ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, রাষ্ট্রের চোখে ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে সবাই সমান অধিকার ভোগ করবে-এটাই ধর্ম নিরপেক্ষতার কথা। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে ধর্ম নিরপেক্ষতা নীতির যথাযথ অনুসরণ হচ্ছে বলেই বাংলাদেশ আজ আন্তর্জাতিক অঙ্গণে ধর্ম নিরপেক্ষ দেশ হিসেবে খ্যাতি পেয়েছে। বাংলাদেশ এখন অসাম্প্রদায়িক চেতনার উজ্জল দৃষ্টান্ত। তিনি আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে শেরপুরের নালিতাবাড়ী পৌর শহরে গোপাল জিউর মন্দিরে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সাথে শারদীয় দূর্গাপূজার শুভেচ্ছা বিনিময় উপলক্ষে আয়োজিত এক সমাবেশে ওই কথা বলেন। কৃষিমন্ত্রী বলেন, ধর্ম যার যার, সৃষ্টিকর্তা সবার। মানব কল্যাণে আমরা শেখ হাসিনার মতো অটুট এবং দৃঢ় মনোবল নিয়ে দৃঢ় পদক্ষেপে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাই, বাংলাদেশের মানুষকে এগিয়ে নিয়ে যাই- আল্লাহর কাছে, ইশ্বরের কাছে এটাই হোক আমাদের সবার সম্মিলিত প্রার্থনা। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার হাতে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। শুধু এগিয়ে যাওয়া নয়, মাথা উঁচু করে সারা পৃথিবীতে সম্মানের আসনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই প্রতিষ্ঠার জায়গাটি সৃষ্টি করেছেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী, জাতির পিতার কন্যা, জননেত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, দেশের সাধারণ জনগণ যদি শান্তি না চায়, শুধু পুলিশ বা প্রশাসন দিয়ে দেশের শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষা করা সম্ভব নয়। জনগণ শান্তিতে থাকতে চায়, তারা নিজেরা বুঝে কোথায় শান্তি মিলে। কাকে ভোট দিলে তারা শান্তি পাবেন, তা তারা বেশ ভালো করেই জানেন ও বুঝেন। অতএব আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণ নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে পুনরায় আওয়ামী লীগ সরকারকে জয়যুক্ত করবেন বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন। শুভেচ্ছা বিনিময়কালে মন্ত্রীর সাথে শেরপুরের জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হুমায়ন কবীর রুমান, পুলিশ সুপার আশরাফুল আজীম, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ছানুয়ার হোসেন ছানু, নালিতাবাড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম মুখলেছুর রহমান রিপন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জিয়াউল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ফজলুল হকসহ প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তা ও দলীয় নেতা-কর্মী ছাড়াও, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীরা উপস্থিত ছিলেন।
×