ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ইনজুরির কারণে ডব্লিউটিএ ফাইনালস থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিলেন রোমানিয়ান টেনিস তারকা

কপাল পুড়ল সিমোনার

প্রকাশিত: ০৪:২২, ১৯ অক্টোবর ২০১৮

কপাল পুড়ল সিমোনার

জিএম মোস্তফা ॥ দুর্ভাগ্য সিমোনা হ্যালেপের। ইনজুরি তার পিছু ছাড়ছেই না। যে কারণে এবার মৌসুমের শেষ মেজর টুর্নামেন্ট ডব্লিউটিএ ফাইনালসেও খেলতে পারছেন না রোমানিয়ান তারকা। বৃহস্পতিবার সিঙ্গাপুরের এই টুর্নামেন্ট থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নেন বিশ্ব টেনিস র‌্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর খেলোয়াড়। এ প্রসঙ্গে ফ্রেঞ্চ ওপেনের শিরোপা জয়ী সিমোনা হ্যালেপ বলেন, ‘এখনও আমার ক্ষত রয়েছে। যে কারণে এই পর্যায়ে খেলার জন্য আমি মোটেও প্রস্তুত নই। তাছাড়া গত চার সপ্তাহ ধরে আমি অনুশীলন করতে পারিনি। যে কারণেই সিঙ্গাপুরে শুরু হতে যাওয়া ডব্লিউটিএ ফাইনালস ইভেন্টে আমি অংশগ্রহণ করতে পারছি না।’ গত কয়েক বছর ধরেই টেনিস কোর্টে আলো ছড়াচ্ছিলেন সিমোনা হ্যালেপ। এ বছর পৌঁছেছেন সাফল্যের শিখরে। এ মৌসুমেই জিতেছেন ক্যারিয়ারের প্রথম গ্র্যান্ডস্লাম টুর্নামেন্ট। ফ্রেঞ্চ ওপেনের শিরোপা উঁচিয়ে ধরেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, মৌসুমের প্রথম গ্র্যান্ডস্লাম টুর্নামেন্ট অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ফাইনালেও জায়গা করে নিয়েছিলেন এই রোমানিয়ান। কিন্তু সেখানে তার সামনে বড় বাধা হয়ে দাঁড়ান ক্যারোলিন ওজনিয়াকি। শেষ পর্যন্ত সিমোনা হ্যালেপকে পরাজিত করে ড্যানিশ তারকাও জিতে নেন ক্যারিয়ারের আরাধ্য শিরোপা অস্ট্রেলিয়ান ওপেন। কিন্তু এবার ডব্লিউটিএ ফাইনালসের মতো বড় এই টুর্নামেন্ট থেকে নাম প্রত্যাহার করে নেয়ায় খুবই হতাশ হ্যালেপ। এ বিষয়ে এক নম্বর খেলোয়াড়ের ভাষ্য, ‘বড় টুর্নামেন্ট থেকে নাম প্রত্যাহার করে নেয়াটা সবসময়ই কঠিন। সত্যি কথা বলতে, আমি মনে করি এটাই আমার জীবনের প্রথম ঘটনা। যে কারণে এটা খুব কঠিন সিদ্ধান্ত কিন্তু আমার স্বাস্থ্যের জন্য তা ভাল।’ গত মাসে উহান ওপেনের আগে অনুশীলনের সময় ইনজুরিতে পড়েছিলেন সিমোনা হ্যালেপ। সেই যে শুরু, এরপর থেকেই যেন কপাল পুড়ে তার। মাত্র ৩১ মিনিট খেলার পর চায়না ওপেন থেকেও নিজের নাম প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হন তিনি। শুধু তাই নয়, ধারাবাহিক ইনজুরির কারণে গত সপ্তাহে শুরু ক্রেমলিন কাপেও অংশ নিতে পারেননি বিশ্ব টেনিস র‌্যাঙ্কিংয়ের এই এক নম্বর খেলোয়াড়। ডব্লিউটিএ ফাইনালস থেকে হ্যালেপ নাম সরিয়ে নেয়ার ফলে তার জায়গায় খেলবেন হল্যান্ডের কিকি বার্টেন্স। ১৯৯৬ সালের পর হল্যান্ডের প্রথম প্রমীলা খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্ব টেনিস র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ দশে জায়গা করে নেয়ার বিরল কীর্তিও গড়েন এই বার্টেন্স। হ্যালেপের পরিবর্তে ৭ মিলিয়ন ডলার প্রাইজমানির এই ইভেন্টে খেলার সুযোগ পেয়ে দারুণ খুশি র‌্যাঙ্কিংয়ের ১০ নম্বর খেলোয়াড় বার্টেন্স। তিনি বলেন, ‘এই মৌসুম নিয়ে আমি খুব খুশি। বিশেষ করে ডব্লিউটিএ ফাইনালসে খেলতে পেরে আমি খুব আনন্দিত। সিঙ্গাপুরে আমার দারুণ স্মৃতি রয়েছে। কেননা গত বছর এই টুর্নামেন্টের দ্বৈতে ফাইনাল খেলেছিলাম আমি।’ শুধু হ্যালেপ নয়, এর আগে ইনজুরির কারণে এই মৌসুম শেষ হয়ে গেছে সেরেনা উইলিয়ামসেরও। বয়সের বাধা অতিক্রম করে এ বছরে উইম্বলডন এবং ইউএস ওপেনে টানা দুটি টুর্নামেন্টের ফাইনালের টিকেট নিশ্চিত করেন তিনি। কিন্তু দুর্ভাগ্য তার। মেজর দুই টুর্নামেন্টেই হেরে যান সেরেনা। মৌসুমের তৃতীয় গ্র্যান্ডস্লাম টুর্নামেন্ট উইম্বলডনে জার্মানির এ্যাঞ্জেলিক কারবারের কাছে হার মানেন উইলিয়ামস পরিবারের এই ছোট মেয়ে। অন্যদিকে জাপানের নাওমি ওসাকার কাছে হেরে ইউএস ওপেনের ফাইনাল জয়ের স্বপ্নভঙ্গ হয় সেরেনা উইলিয়ামসের। এরপর সেরেনার ফেরার কথা ছিল চায়না ওপেনের কোর্ট দিয়ে। কিন্তু টুর্নামেন্ট থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন তিনি। এর ফলে এ মৌসুমে আর কোর্টে দেখা যাবে না সেরেনা উইলিয়ামসকে। এদিকে ২০১৮ সালের শেষের তিনটি টুর্নামেন্টে খেলার কথা থাকলেও সেগুলোতে অংশ নেননি রাশিয়ান তারকা মারিয়া শারাপোভা। বিশ্ব টেনিস র‌্যাঙ্কিংয়ের সাবেক এক নম্বর খেলোয়াড় শারাপোভা সর্বশেষ ইউএস ওপেনের কোর্টে নেমেছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্য তার। মৌসুমের শেষ মেজর টুর্নামেন্ট ইউএস ওপেনের শেষ ষোলো থেকেই বিদায় নিতে হয় তাকে। তবে ভক্ত-অনুরাগীদের প্রত্যাশা ছিল আর তিনটি টুর্নামেন্টে খেলবেন তিনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত চীনা ওপেন, তিয়ানজিন ওপেন এবং ক্রেমলিন কাপ থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নেন শারাপোভা। মূলত ইনজুরি থেকে পুরোপুরি মুক্ত হওয়ার জন্যই বিশ্রামের সিদ্ধান্ত নেন সাবেক এই নাম্বার ওয়ান।
×