ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

কালকিনিতে তিনযুগেও উদ্ধার হয়নি বিদ্যালয়ের দখলকৃত জমি

প্রকাশিত: ০৪:২৯, ১৮ অক্টোবর ২০১৮

কালকিনিতে তিনযুগেও উদ্ধার হয়নি বিদ্যালয়ের দখলকৃত জমি

নিজস্ব সংবাদদাতা, কালকিনি, মাদারীপুর ॥ মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার ১২৬ নং শহীদ স্মরনিকা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুরো জমি দখল করে গাছের বাগান করেছেন স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল। কিন্তু তিনযুগ পেরিয়ে গেলেও বিদ্যালয়ের দখলকৃত জমি এখন পর্যন্ত উদ্ধার হয়নি। এ নিয়ে ওই এলাকার স্থানীয়দের মাঝে চরম চাঁপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। সরেজমিন, এলাকা ও অভিযোগ সুত্রে জানাগেছে, উপজেলার কয়ারিয়া এলাকার ১২৬ নং শহীদ স্মরনিকা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নামে ১৯৭২ সালে ১৫৭নং বড়চর কয়ারিয়া মৌজার ৮৪২নংসহ মোট তিনটি দাগে ৪৩ শতাংশ জমি দান করেন একই এলাকার মোতালেব ফকির। কিন্তু ওই জমিতে বিদ্যালয়ের ভবন নির্মান করতে দেরী হলে এ সুযোগে পুরো জমি দখল করে গাছের বাগান করেছেন গিয়াসউদ্দিন ফকির, মনির ফকির, সোনা মিয়া ফকির ও বাদল ফকিরসহ বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী। এছাড়া অভিযোগ রয়েছে যে ওই বাগানের কিছু গাছ গোপনে অনিয়মতান্ত্রিকভাবে বিক্রি করেন দেন ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি রোকন ফকির। এদিকে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের জমি দখল মুক্ত না করতে পেরে তারা একই এলাকার সমাজসেবক নাসিরউদ্দিন ফকির ও আবুল কালাম ফকিরের ব্যক্তিগত জায়গায় বিদ্যালয়ের ভবন নির্মান করেন। বর্তমানে সেখানে বসে শিক্ষার্থীদের পাঠ দান করাচ্ছেন শিক্ষকরা। অপরদিকে এ বিদ্যালয়ের জমি ওই প্রভাবশালীদের তিনযুগ ধরে দখলে থাকায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জমিদাতা ও স্থানীয় এলাকাবাসী। স্থানীয় এলাকাবাসী সওকাত বেপারী, সাহেআলম ও ফরাহাদসহ বেশ কয়েকজন বলেন, বিদ্যালয়ের জমি দখল হয়ে যাওয়ায় বিদ্যালয়টি অন্যের জায়গায় করা হয়েছে। এবং কি বিদ্যালয়ের গাছ বিক্রি করে খেয়েছেন সভাপতি নিজে। জমিদাতা মোতালেব ফকিরের ছেলে আহসান হাবিব এনায়েত বলেন, আমাদের এলাকাবাসীর দাবি দখল হয়ে যাওয়া স্কুলের জমি উদ্ধার করতে চাই। অভিযুক্ত মনির ফকির বলেন, আমরা জমি দখল করিনি। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি রোকন ফকির বলেন, কিছু গাছ বিক্রি করে টাকা মাদ্রসায় দিয়েছি। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ শহিদুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
×