ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সংস্কৃতি সংবাদ

‘শেখ রাসেল আমাদের ভালবাসা’ কাব্যগ্রন্থের প্রকাশনা

প্রকাশিত: ০৬:২২, ১৯ অক্টোবর ২০১৮

‘শেখ রাসেল আমাদের ভালবাসা’ কাব্যগ্রন্থের প্রকাশনা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ শিশু একাডেমির আয়োজনে বৃহস্পতিবার উদ্যাপিত হলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট শেখ রাসেলের ৫৪তম জন্মদিন। বহুমাত্রিক আনুষ্ঠানিকতায় সাজানো হয় এ আয়োজন। একাডেমির শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে পরিবেশিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সেই সঙ্গে ছিল রচনা প্রতিযোগিতা, কবিতা আবৃত্তি ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা। এছাড়া জন্মদিন উদ্্যাপনের আয়োজনে প্রকাশিত হয় ‘শেখ রাসেল আমাদের ভালবাসা’ শীর্ষক কাব্যগ্রন্থ। কাব্যগ্রন্থটির রচয়িতা মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাছিমা বেগম। ছোট ছোট ছড়ার সঙ্গে কবিতার বইটিতে সংযুক্ত হয়েছে শেখ রাসেলের ছবি। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি। বিশেষ অতিথি ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি রেবেকা মোমেন, সংসদ সদস্য কবি কাজী রোজী এবং সাবেক সচিব কবি ড. কামাল আব্দুল নাছের চৌধুরী। শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন কবি আসলাম সানী, একাডেমির পরিচালক আনজীর লিটন প্রমুখ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেহের আফরোজ চুমকি বলেন, শেখ রাসেলের জন্মদিনটি খুব আনন্দের দিন, কিন্তু আমরা দিনটি আনন্দের সঙ্গে উদ্যাপন করতে পারি না। কারণ শেখ রাসেলের কথা মনে হলে আমাদের ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যাকা- ১৯৭৫ সালের পনেরোই আগস্টের কথা মনে হয়। খুনীরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করে। শিশু রাসেলও সেদিন ঘাতকের নির্মম বুলেট থেকে রেহাই পাইনি। সভাপতির বক্তব্যে সেলিনা হোসেন বলেন, নিষ্পাপ শিশু শেখ রাসেল হত্যা ইতিহাসের এক জঘন্যতম অধ্যায়। অনুষ্ঠানে শেখ রাসেলের জন্মদিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন মেহের আফরোজ। দুর্গোৎসবে ‘কহে বীরাঙ্গনা’ নাটকের মঞ্চায়ন ॥ নগরজুড়ে বইছে শারদীয় দুর্গোৎসবের আনন্দময়তা। শহরের নানা প্রান্তে দর্শনার্থীদের পূজাম-প পরিদর্শনের সঙ্গে চলছে নানা আনন্দ আয়োজন। উৎসবের সেই আনন্দয়মতার অংশ হিসেবে মণিপুরি থিয়েটার প্রযোজিত ‘কহে বীরাঙ্গনা’ নাটকের তিনটি প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। প্রথম মঞ্চায়নটি হলো বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বনানী পূজাম-পে। একদিকে বেজেছে ঢাকের বোল আর অন্যদিকে ভেসে বেড়িয়েছে নাটকের সংলাপ। সব মিলিয়ে দর্শনার্থীদের জন্য দারুণ আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে এই নাট্য প্রদর্শনী। মাইকেল মধুসূদন দত্তের ‘বীরাঙ্গনা কাব্য’ অবলম্বনে ‘কহে বীরাঙ্গনা’ নাটকটির নির্দেশনা দিয়েছেন শুভাশিষ সিনহা। প্রযোজনাটিতে একক অভিনয় করবেন জ্যোতি সিনহা। কাল শুক্রবার বিজয়া দশমীর দিনে নাটক সরণিখ্যাত বেইলি রোডের মহিলা সমিতি মিলনায়তনে বিকেল ৫টা ও সন্ধ্যা ৭টায় নাটকটির বাকি দুই প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে। মহিলা সমিতির দুই প্রদর্শনীতে শিক্ষার্থী ও নাট্যকর্মীদের জন্য ৩০ শতাংশ টিকেট বিশেষ মূল্য ছাড়ে রাখা হবে। এছাড়া থাকবে নিয়মিত মূল্যের টিকেট। মহাভারতের চার নারীর বঞ্চনা, প্রেম, করুণা আর প্রতিশোধস্পৃহা রূপায়িত হয়েছে ‘কহে বীরাঙ্গনা’ নাটকে। যার শেষ কথা হিংসা নয়, প্রেমেই মিলবে মুক্তি। নাটকটির সঙ্গীত পরিকল্পনা করেছেন শর্মিলা সিনহা, বিধান চন্দ্র সিংহ, উজ্জ্বল সিংহ ও অঞ্জনা সিনহা। ভাবমুদ্রা রূপায়নে রয়েছেন স্বর্ণালী সিনহা, অরুণা সিনহা, অনামিকা চ্যাটার্জী, শ্যামলী সিনহা। আলোক প্রক্ষেপণ করেছেন মোঃ শাহজাহান মিয়া। দৃশ্যসজ্জায় ছিলেন আলী আহমেদ মুকুল ও সজলকান্তি সিংহ।
×