ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

কবিতা

প্রকাশিত: ০৭:৫৮, ১৯ অক্টোবর ২০১৮

কবিতা

স্থবিরতাবিষয়ক বেদনা কুমার দীপ নদীরাও মাঝে মাঝে থেমে যায়- বুকের ভেতরে বুকের ভেতরে অস্পন্দ্য পাথর জমে পাথরে ঝরনা আঁকতে গিয়ে যারা হারিয়ে যায়; কোথাও কোন মেঘ রাখে না। তবু বৃষ্টি নামে বৃষ্টি নামে এই কূহকী উপত্যকায় ভিজে যায় পাতা ভিজে যায় কোন কোন উদোম বিকেল রাত্রি নামে সুদূরের ধূপছায়া গাঁয়। ** শোকার্ত ভায়োলিন ইজাজ আহ্মেদ মিলন সৈকতের মতো দীর্ঘ আমার বিরহ রেখা ভুল বিশ্বাসে আমি সূর্যাস্ত দেখি ,তখন দু’চোখের স্বপ্ন মিশে যায় এক অমাবস্যায়। অলস মধ্যাহ্নে মূর্খ বাতাস আমাকে নিয়ে যায় লজ্জাহীনা এক বিবর্ণের সেই ভুল ঠিকানায় দীর্ঘশ্বাস থেকে বেজে উঠে শোকার্ত ভায়োলিন। অতপর চলে নগরের মোড়ে মোড়ে উপহাসের তুমূল আয়োজন,আমি ধুলোমাখা পথের বাঁকে পুঁতে রাখি বিরহগাথা সরানোর এক তাবিজ। ** পথ সংকীর্ণ হয় না এনাম রাজু স্রোত থেমে গেলো, নদীর বুক উটপিঠে বসতি হলো মেঘেদের মতো ছুেট চলা ঘরহারা কিছু বাউলের । চারিদিকে ধীরে ধীরে গড়ে ওঠে বাগান সেই সাথে মুখরিত যুগলের গান ফিরে পায় পাখি অভয়ারণ্য। অথচ-ভাঙনকালে বাউলেরা বায়ুডানায় হেঁটে ছিলো যেমন পাখি দিনের আলোয় ঘরছাড়া হয় ফিরে আসে আঁধার নামের আগেই। পূর্বেও দেখা গেছে এমন মৃত্যুবিলাসি পথ চিনিয়ে দিয়েছে পথের খবর।
×