ড. কামালের কী সামর্থ্য জানি ॥ তোফায়েল

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ড. কামাল হোসেনের কী সামর্থ্য রয়েছে, তা জানা আছে বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেন, এই নেতা কোনদিন ভোটে এমপি নির্বাচিত হতে পারেননি। বঙ্গবন্ধুর ছেড়ে দেয়া আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন। শুক্রবার ঢাকায় বসুন্ধরার ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটির নবরাত্রি হলে কোরিয়া-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি আয়োজিত দু’দিনব্যাপী বাণিজ্য মেলা ‘শোকেস কোরিয়া-২০১৮’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির কথা বলেছেন। কাজীপুর উপজেলা পরিষদ আয়োজিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার শফিকুল ইসলাম। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন সাবেক এমপি ও স্বেচ্ছাসেবকলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি প্রকৌশলী তানভীর শাকিল জয়, জেলা প্রশাসক কামরুন নাহার সিদ্দীকা, কাজীপুর উপজেলা চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক বকুল সরকার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শওকত হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান। এছাড়াও প্রকল্পের উপকারভোগী আশরাফ ও হাসান বক্তব্য দেন। এর আগে স্বাস্থ্যমন্ত্রী কাজীপুরে উপজেলা পরিষদের সম্প্রসারিত ভবন উদ্বোধন করেন এবং প্রধানমন্ত্রীর আশ্রায়ন প্রকল্প-২ এর অধীনে যার জমি আছে ঘর নেই তাদের গৃহনির্মাণ প্রকল্পের সুবিধাভোগী ২১৭ পরিবারের কাছে ঘরের চাবি হস্তান্তরসহ ৫ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। সমাবেশে ড. কামালকে এ যুগের মীরজাফর মন্তব্য করে মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব তাকে এমপি বানিয়েছিলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রীও হয়েছিলেন। অথচ সেই ড. কামাল এখন বঙ্গবন্ধুর খুনীদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিএনপি ও তাদের মিত্র জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়াকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেছেন, কোন চক্রান্ত ষড়যন্ত্র করে জনগণকে বিভ্রান্ত করা যাবে না। নির্বাচন ভন্ডুল করার ক্ষমতাও কারও নেই। এ দেশের জনগণ শান্তি ও উন্নয়নের পক্ষে থাকবে। যে কোন অশুভ শক্তির চক্রান্ত নস্যাত করে দেবে। তিনি এও বলেছেন নির্বাচন কমিশন ঘোষিত নির্ধারিত সময়েই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং তা সংবিধান অনুযায়ী বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনেই নির্বাচন হবে। এর কোন বিকল্প নেই। সরকারের বিভিন্নমুখী উন্নয়ন কর্মকান্ড তুলে ধরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে একদিকে মহাকাশ জয়ের যাত্রা শুরু হয়েছে। অন্যদিকে তৃণমূলের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের কাজ করা হচ্ছে। দলের স্থানীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেছেন উন্নয়ন এবং ভালবাসা দিয়ে জনগণের কাছে ভোট চাইতে হবে। রাস্তা-ঘাট, স্কুল-কলেজ, মসজিদ-মাদ্রাসাসহ অবকাঠামোগত সকল উন্নয়ন জনগণের কাছে তুলে ধরতে হবে। ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। গ্রামে গ্রামে, বাড়ি বাড়ি গিয়ে নৌকা মার্কার ভোট চাইতে হবে। নির্বাচনী মাঠে একা খেলতে কোন মজা নেই। প্রতিপক্ষকে পরাজিত করেই আওয়ামী লীগ ভোটে জিততে চায়, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠনে হ্যাটট্রিক করতে চায়। আওয়ামী লীগের সিনিয়র এই নেতা আবারও স্পষ্ট ভাষায় দৃঢ়তার সঙ্গে বলেছেন আওয়ামী লীগ প্রতিহিংসার রাজনীতি করে না। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। সারা দুনিয়ার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের মতো বাংলাদেশেও নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী, নির্বাচনকালীন সরকার প্রধান থাকবেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। নির্বাচন পরিচালনা করবেন নির্বাচন কমিশন। এর বাইরে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই। তিনি বলেন, নির্বাচনী খেলা হবে মাঠে। আওয়ামী লীগ খালি মাঠে জিততে চায় না। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করে হ্যাটট্রিক করবেন বলেও তিনি মন্তব্য করেছেন।