ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

১২ বছর পর পর...

প্রকাশিত: ০৪:৫৫, ২০ অক্টোবর ২০১৮

১২ বছর পর পর...

দুর্লভ ফুল নীলাকুরিঞ্জি প্রতি ১২ বছরে একবারই ফোটে। ফুলটির রং বেগুনি। যখন এই ফুল ফোটে, তখন ওই এলাকা বেগুনি রঙে ছেয়ে যায়। ভারতের কেরালা রাজ্যের মুনার শহর থেকে দূরে নির্জন পাহাড়ী এলাকায় এই ফুল পাওয়া যায়। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১ হাজার ৬০০ মিটার উঁচুতে মুনার এলাকার অবস্থান। চা-কফি ও মসলার চাষাবাদের জন্য এলাকাটি বিশেষভাবে পরিচিত। নীলাকুরিঞ্জি কুরিঞ্জি হিসেবে পরিচিত। এটি স্ট্রবিল্যান্থেস প্রজাতির একটি উদ্ভিদ; যা প্রায় ৩৫০ প্রজাতির ফুলগাছের একটি জাত, যার মধ্যে ৫৯ প্রজাতি ভারতের উপদ্বীপ এলাকায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। নীলাকুরিঞ্জি অর্থ হচ্ছে ‘নীল ফুল বা ব্লু ফ্লোয়ার’। দ্য হিন্দু পত্রিকার সাবেক সম্পাদক রায় ম্যাথিউ রচিত ‘কুরিঞ্জি: দ্য ফ্লোয়ার অব দ্য ব্লু মাউনটেনস’ বইয়ে বলেন, বিশ্বে আর কোথাও এই ফুল জন্মে না। কেরেলার বনে বসবাসকারী মুথুভান নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর লোকজন বিশ্বাস করে, কুরিঞ্জি হচ্ছে ভালোবাসা ও রোমান্সের প্রতীক। স্ট্রবিল্যান্থেসের বিভিন্ন প্রজাতি বিভিন্ন সময়ে ফোটে। কিছু প্রজাতি আছে ৪, ৬, ১০, ১২-এমনকি ১৬ বছর পরপর ফোটে। বেশির ভাগের বৃদ্ধি সামঞ্জস্যহীন এবং তা চোখে পড়ে না। এসব ফুল যেখানে ফুটন্ত অবস্থায় আছে, সেখানে চা, মসলার চাষ ও ক্রমবর্ধমান নির্মাণকাজ এবং সড়ক প্রশস্তের কারণে সেসব ভূমি কমে যাচ্ছে। পাহাড়ী ওই সংরক্ষিত এলাকায় এসব ফুলের সমাহার। নীলের ছায়ায় পাহাড়কে কার্পেটের মতো ঢেকে রাখে এসব ফুল। মৌসুমের শেষের দিকে নীলাকুরিঞ্জি বেগুনি রং ধারণ করে। আগস্ট থেকে অক্টোবরের শেষ পর্যন্ত এই ফুলের মৌসুম চলে। যেহেতু ১২ বছরে একবার এই ফুল ফোটে, ফলে এটাকে ‘সুপার ব্লুমও’ বলা হয়। নীলাকুরিঞ্জি দেখতে যেতে হবে মুন্নার শহর থেকে ৪৫ কিলোমিটার দূরে কুরিঞ্জিমালা অভয়ারণ্য সংরক্ষিত এলাকায়।-বিবিসি
×