ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

বর্তমান সরকারের পাশে থাকার অঙ্গীকার নয়া ইসলামী জোটের

প্রকাশিত: ০৫:১৩, ২০ অক্টোবর ২০১৮

 বর্তমান সরকারের পাশে থাকার অঙ্গীকার নয়া ইসলামী জোটের

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই ইসলামের প্রচার ও প্রসার সবচেয়ে বেশি হয়েছে উল্লেখ করে সরকারের পাশে থাকার অঙ্গীকার করেছে ইসলামী দলগুলোর নবগঠিত জোট ইসলামিক ডেমোক্রেটিক এ্যালায়েন্স। শুক্রবার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় জোট নেতৃবৃন্দ বলেছেন, আমাদের সবার উচিত এই সরকারকে আবার রাষ্ট্র ক্ষমতায় আনার জন্য সহযোগিতা করা। এদিকে ৩৯ অনিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ঐক্য ফ্রন্ট নামে নতুন জোটের আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। ইসলামিক জাস্টিস পার্টির চেয়ারম্যান মাওলানা শেখ খালেদ সাইফুল্লাহর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন এ্যালায়েন্সের কো-চেয়ার‌্যান এম এ আউয়াল এমপি। বিশেষ অতিথি ছিলেন ইসলামিক ডেমোক্রেটিক এ্যালায়েন্সের মহাসচিব এ্যাডভোকেট নরুল ইসলাম খান, শাহ আহমদ উল্লাহ আশরাফ, মুফতি মাহদী হাসান বুলবুল ও মুফতি মুহিব্বুল্লাহ প্রমুখ। এম এ আউয়াল এমপি বলেন, আমাদের সবার উচিত এই সরকারকে আবার রাষ্ট্র ক্ষমতায় আনার জন্য সহযোগিতা করা। কারণ আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই ইসলামের প্রচার ও প্রসার হয়েছে সবচেয়ে বেশি। আউয়াল এমপি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার একটি অসাম্প্রদায়িক সরকার। এই সরকার ইসলামের প্রচারে অনেক কাজ করেছে। এই সরকারের আমলে সব ধর্মের মানুষ নিরাপদে ধর্ম পালন করতে পারছে। তাই এর ধারাবাহিতা ধরে রাখতে আমাদের সবাইকে সরকারকে সহযোগিতা করতে হবে। একটি উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সেই দেশ বিনির্মাণের জন্য শেখ হাসিনা কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি বিশ্বদরবারে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠিত করছেন। শেখ হাসিনা আজকে বিশ্ব নেতাদের অন্যতম। দেশ ও এই সরকার নিয়ে একটি মহল ষড়যন্ত্র করছে উল্লেখ করে এম এ আওয়াল বলেন, আমাদের এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সজাগ থাকতে হবে। ইসলামী ভাবধারার যেসব দল আছে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সব ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করতে হবে। এদিকে ৩৯ অনিবন্ধিত দলের সমন্বয়ে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ঐক্যফ্রন্ট নামে নতুন জোটের আত্মপ্রকাশ হয়েছে। শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই জোটের আত্মপ্রকাশ ঘটে। গণতান্ত্রিক ঐক্য ফ্রন্টের চেয়ারম্যান লামিনাল ফিহা সংবাদ সম্মেলনে নতুন জোটের ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ঐক্যফ্রন্ট গঠন করেছি। এই ফ্রন্টের শরিক রাজনৈতিক দলগুলো আমাকে চেয়ারপার্সন নির্বাচিত করেছে। আমার সঙ্গে আরও ৩৮ দল যোগ হয়েছে। আমরা অপেক্ষাকৃত তরুণ জোট এবং বিশ্বাস করি আমরাই জাতির ভবিষ্যত। আমাদের মূল বিশ্বাস ও চেতনা হলো- আমরা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সঠিক বলে বিশ্বাস করি, দেশের সার্বিক উন্নয়ন ও ব্যাপকহারে বেকারদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা, গরিব- অসচ্ছল ও আশ্রয়হীনদের বাসস্থান ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা, নারীদের ক্ষমতায়ন ও ব্যাপকভাবে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা, বিজ্ঞানভিত্তিক কৃষি অর্থনীতি গড়ে তোলা, আধুনিক শিক্ষা ও আইসিটিভিত্তিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ট্রেনিং সেন্টার গড়ে তোলা। নবগঠিত বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ঐক্যফ্রন্টের শরিক দলগুলোর মধ্যে আছে বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস পার্টি, জাতীয় গণসংগ্রাম পার্টি, কৃষক শ্রমিক পার্টি, বাংলাদেশ জনতা ফ্রন্ট, বাংলাদেশ ইসলামিক গণতান্ত্রিক লীগ, আম জনতা পার্টি, বাংলাদেশ সেবা দল, বাংলাদেশ মানব উন্নয়ন পার্টি, বাংলাদেশ সাধারণ পার্টি, বাংলাদেশ সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি, বাংলাদেশ উন্নয়ন পার্টি, ন্যাপ ভাসানী, ইউনিটি ফর বাংলাদেশ, ট্রাস্ট পার্টি, বাংলাদেশ আওয়ামী পার্টি, বাংলাদেশ ডেমোক্রেটিক পার্টি, বাংলাদেশ প্যারেন্ট পার্টি, প্রোগ্রেসিভ ডেমোক্রেটিক পার্টি, গণতান্ত্রিক ঐক্য, জাতীয় উলামা মাশায়েখ সমন্বয়ক ফ্রন্ট, খেলাফত সংগ্রাম পরিষদ, দাওয়াতুল মুসলিমিন বাংলাদেশ, হিন্দু মুসলিম যুক্তফ্রন্ট, জমিয়াতুল ওলামা ফ্রন্ট, ইসলামিক লিবারেল পার্টি, বাংলাদেশ গ্রামীণ পার্টি, লিবারেল পার্টি, বাংলাদেশ প্রোগ্রেসিভ পার্টি, বাংলাদেশ তৃণমূল পার্টি, সোনার বাংলা উন্নয়ন লীগ, কৃষক প্রজা পার্টি, স্বাধীন বাংলাদেশ পার্টি, মুক্তিযোদ্ধা নেতা লীগ, জাতীয় নেতা পার্টি, বাংলাদেশ মানববন্ধু পার্টি, ডেমোক্রেটিক পিপলস, তফসিলি ফেডারেশন, ন্যাশনাল প্রোগ্রেসিভ ও আওয়ামী পার্টি বাংলাদেশ।
×