অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত অলিম্পিক এক্সেসরিজের পরিচালনা পর্ষদ ২০১৭-১৮ অর্থবছরের শেষ প্রান্তিকের ব্যবসায় অবনমন হয়েছে। যাতে আগের বছরের ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে গিয়ে কোম্পানিটির মুনাফার তুলনায় বেশি লভ্যাংশ ঘোষণা করতে হয়েছে। এক্ষেত্রে মুনাফার অতিরিক্ত অংশ রিজার্ভ থেকে দেয়া হবে।
অলিম্পিক এক্সেসরিজের ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রথম ৩টি প্রান্তিকে মোট শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছিল ০.৭৩ টাকা। তবে পুরো বছরে হয়েছে ০.৭৮ টাকা। এ হিসাবে শেষ প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছে মাত্র ০.০৫ টাকা। যা মোট ইপিএসের মাত্র ৬ শতাংশ।
২০১৭-১৮ অর্থবছরের ০.৭৮ টাকা ইপিএসের বিপরীতে কোম্পানিটির পর্ষদ ১০ শতাংশ হারে শেয়ারপ্রতি ১ টাকার বোনাস শেয়ার ঘোষণা করেছে। এক্ষেত্রে মুনাফার ১২৮ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়েছে। মুনাফার অতিরিক্ত ২৮ শতাংশ রিজার্ভ থেকে দেয়া হবে।
কোম্পানিটির ২০১৭-১৮ শেয়ারপ্রতি ০.৭৮ টাকা হিসেবে মোট ১২ কোটি ২ লাখ টাকার নিট মুনাফা হয়েছে। তবে শেয়ারপ্রতি ১ টাকা হিসেবে ১৫ কোটি ৪১ লাখ টাকার বোনাস শেয়ার দেয়া হবে বা পরিশোধিত মূলধন বাড়ানো হবে। এক্ষেত্রে মুনাফার অতিরিক্ত ৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকার রিজার্ভ কমবে।
১৫৪ কোটি ১২ লাখ টাকা পরিশোধিত মূলধনের অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ ২০১৫ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। এরপরে কোম্পানিটির পর্ষদ ৪ বার শেয়ারহোল্ডারদের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এরমধ্যে প্রথমবার অর্থাৎ ২০১৪-১৫ অর্থবছরের ব্যবসায় শুধুমাত্র নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করে। ওই বছর বোনাসের সঙ্গে নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়। এরপরের ৩ বছরই শুধুমাত্র বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়েছে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: