ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

নিম্নমানের মাছের খাবারে নিঃস্ব হচ্ছে খামারিরা

প্রকাশিত: ০৪:১৩, ২১ অক্টোবর ২০১৮

নিম্নমানের মাছের খাবারে নিঃস্ব হচ্ছে খামারিরা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ময়মনসিংহে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে গড়ে উঠেছে শতশত মাছের খামার। মাছ চাষ করে ভাগ্য বদলে গেছে এই অঞ্চলের মানুষের। কিন্তু গত ২-৩ বছর ধরে মাছের খাবারের উচ্চমূল্য ও নিম্নমান নিয়ে বেকায়দায় রয়েছেন খামারিরা। অব্যাহত লোকসানে নিঃস্ব হয়ে গেছেন অনেকে। মৎস্য কর্মকর্তারা বলছেন, সঠিক পদ্ধতিতে মাছ চাষ না করায় লোকসানের মুখে পড়েন খামারিরা। এদিকে মাছ রফতানির সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে ২৮টি দেশের প্রতিনিধিরা আগামী নবেম্বরে ময়মনসিংহে মাছের খামার পরিদর্শনে আসবেন বলেও জানান তারা। গেল অর্থবছরে ময়মনসিংহ জেলায় প্রায় সাড়ে চার টন মাছ উৎপাদন হয়েছে। যা জেলার চাহিদার চেয়ে প্রায় চারগুণ বেশি। বাণিজ্যিকভাবে মাছ চাষ করে এই এলাকার অনেকে নিজেদের ভাগ্য বদলেছেন। সফল খামারিদের সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়ে মাছ চাষে এসেছেন অনেকেই। তবে গেল দুই-তিন বছর ধরে মাছের দাম কম থাকায় খাবারের উচ্চমূল্য এবং নিম্নমান নিয়ে বেকায়দায় রয়েছেন খামারিরা। তাদের দাবি প্রতি বছর লোকসান গুনতে হচ্ছে। কয়েকজন খামারিরা জানান, ১ কেজি ওজনের পাঙ্গাশ মাছ তৈরি করতে ৭৫ টাকা খরচ হয়। আর দাম পাওয়া যায় মাত্র ৬৫ টাকা। শ্রমিক মূল্য অনেক বেশি। প্রতি টনে আমরা ২০-৩০ হাজার টাকা লোকসান হচ্ছে। সঠিক পদ্ধতিতে মাছ চাষ না করায় লোকসানের মুখে পড়ছেন খামারিরা এমনটাই দাবি করেন মৎস্য কর্মকর্তারা। জেলা মৎস্য অফিসার বলেন, ‘মাছ রফতানির সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধি নবেম্বরে এখানকার খামারে পরিদর্শনে আসবেন।’ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘ত্রিশাল উপজেলার মৎস্য খামারিরা মাছ চাষে সঠিক ব্যবস্থাপনা অনুসরণ করেন না।’ জেলা মৎস্য কর্মকর্তা লুৎফুুর রহমান বলেন, ‘আমেরিকা, মিসরকে যদি আমরা সন্তুষ্ট করতে পারি যে, আমাদের মাছটা নিরাপদ এবং তারা যদি দেখে সন্তুষ্ট হয় আশাকরি অচিরেই আমাদের এই সমস্যার সমাধান হবে।’
×