ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সুরমূর্ছনা হৃদয়ে গাঁথে কেন?

প্রকাশিত: ০৫:৪৫, ২১ অক্টোবর ২০১৮

সুরমূর্ছনা হৃদয়ে গাঁথে কেন?

সবার জীবনে প্রায়শই এমনটা হয় যে, তারা হয়তো কোন গান শুনেছেন, আর সারাদিন সেটা তাদের কানে বাজছে। সারাদিন নিজের অজান্তেই সেই গানটা গুনগুন করে গাইতেই থাকেন। সেটা আর মগজ থেকে দূর হতে চায় না। এমন ঘটনা পৃথিবীর প্রতিটি মানুষের ক্ষেত্রেই হয়। কোন একটি গান হয়তো শোনার সঙ্গে সঙ্গেই সেটা স্মৃতিতে গেঁথে যায়। এই গানের সুর এতোটাই আকর্ষণীয় যে কখন ওই গানটা মুখ থেকে বেরিয়ে আসে সেটা কেউ খেয়ালও করে না। কয়েক-ঘণ্টা অবধি, আবার অনেকের ক্ষেত্রে সারাদিন জুড়ে ওই গানটি মাথায় বাজতে থাকে। বারবার ভুলে যাওয়ার চেষ্টা করেও লাভ হয় না। এর মানে, আপনি কানের পোকার শিকার হয়েছেন। এই পোকা বলতে কোন পরজীবীকে বোঝায় না। বরং ইঙ্গিত করেছে সেইসব আকর্ষণীয় গান বা সুরকে, যেগুলো একবার শুনতেই মগজে গেঁথে যায়। এখন প্রশ্ন কেন এই গানগুলো আমাদের এতোটা প্রভাবিত করে? লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীত বিষয়ক মনরোগ বিশেষজ্ঞ লরেন স্টুয়ার্ট এমনই কিছু প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। তার মতে, যেসব গানের মেলোডি বা সুরের গঠন খুব সহজ-সরল, অর্থাৎ যে গানগুলোর তাল-লয় অথবা সুরের উত্থান-পতনের একটি সাধারণ প্যাটার্ন থাকে, সেগুলো আমাদের মস্তিষ্কে সহজেই গেঁথে যায়। এই বিষয়টিকে সঙ্গীতের ভাষায় বলা হয় ‘মেলোডিক আর্কস’। অর্থাৎ একটা সুরের বৃত্তে বাঁধা পড়া। শিশুদের নার্সারি রাইম বা ছড়া গানগুলো মেলোডিক আর্কসের একটা উৎকৃষ্ট উদাহরণ হতে পারে। যেমন ‘টুইঙ্কল, টুইঙ্কল, লিটল স্টার’, এই ছড়াটি ছেলে বুড়ো সবারই মনে আছে। কারণ এর সুরের গাঁথুনি খুব সাবলীল। একইভাবে বিভিন্ন পপ গান বা পুরনো কোন ক্লাসিক্যাল গান এই মেলোডিক আর্কসের বৈশিষ্ট্যযুক্ত হতে পারে।-বিবিসি অবলম্বনে।
×