ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ঐক্যফ্রন্টের নেতারা চরিত্রহীন ॥ হাছান মাহমুদ

প্রকাশিত: ০৫:৫৪, ২১ অক্টোবর ২০১৮

ঐক্যফ্রন্টের নেতারা চরিত্রহীন ॥ হাছান মাহমুদ

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ঐক্যফ্রন্টের নেতা ড. কামাল হোসেন, আ স ম রব, মাহমুদুর রহমান মান্না ও মইনুল হোসেনরা রাজনৈতিকভাবে চরিত্রহীন। শহীদ শেখ রাসেল এর ৫৪তম জন্মদিন উপলক্ষে শনিবার জাতীয় শিল্পকলা একাডেমির মহড়া কক্ষে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। হাছান মাহমুদ বলেন, আ স ম রব বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র জাসদের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। কিন্তু তাদের সভাপতি মেজর জলিল মারা যাওয়ার আগে বলে গেছেন তারা বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র সম্পর্কে কোন ধারণা রাখেন না। অর্থাৎ তারা বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের কথা বলে জনগণের সঙ্গে যা করেছে সেটা ভাঁওতাবাজি ছাড়া কিছু নয়। ড. কামাল হোসেন গণতন্ত্রের চর্চার কথা বলেন, কিন্তু তার নিজের দল গণফোরামের ১৮ বছর ধরে কোন সম্মেলনই নেই। উনি ১৮ বছর কোন সম্মেলন ছাড়াই সভাপতি। মাহমুদুর রহমান মান্না বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র থেকে আওয়ামী লীগে এসে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েও দলে স্থির হতে পারেননি। তারপর ১/১১ কুশীলবদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ছিলেন। অর্থাৎ তারা নিজেদের রাজনীতিতে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কেউই স্থির থাকতে পারেননি। সুতরাং এরা রাজনৈতিকভাবে চরিত্রহীন। হাছান মাহমুদ বলেন, ড. কামাল হোসেন কথায় কথায় বলেন তিনি নাকি বঙ্গবন্ধুর একনিষ্ঠ কর্মী ছিলেন। অথচ তিনি আজকে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী, শেখ রাসেলের হত্যাকারী, সুকান্ত বাবুর হত্যাকারী এবং পঁচাত্তরের নারী ও শিশু হত্যাকারীদের ত্রাণকর্তা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন। এমনকি তিনি দুর্নীতি মুক্ত সমাজ গঠনের কথা বলেন যাদের নেতৃত্বে বাংলাদেশ পরপর পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তাদের নেতৃত্ব গ্রহণ করেন এবং দুর্নীতির দায়ে শাস্তি প্রাপ্ত বেগম জিয়ার মুক্তি চান। তিনি জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে কথা বলেন অথচ জঙ্গীদের পাশে বসে তিনি সাত দফার দাবি দিয়ে বললেন জঙ্গীবাদ দমন করতে হবে। এটি দেশের জনগণের সঙ্গে মশকরা ও ভাওতাবাজি করা ছাড়া অন্য কোন কিছু নয়। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী বিএনপি জামায়াত এবং খন্দকার মুস্তাক গং। আজকে তাদের সহযোগী হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে ড. কামাল হোসেন, মাহমুদুর রহমান মান্না, আ স ম রব গং। আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের অনুরোধ জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, সবাইকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। নির্বাচন সমাগত এবং এই নির্বাচনে আমাদের বিজয় শুধু আওয়ামী লীগের জন্য নয় দেশের জন্য, জনগণের জন্য, অগ্রগতির জন্য প্রয়োজন। সুতরাং সবাইকে অতন্দ্র প্রহরীর মতো ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সজাগ থাকতে হবে। আয়োজক সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য সারাহ বেগম কবরির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন শাহবাগ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি জিএম আতিক, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অরুন সরকার রানা প্রমুখ।
×