ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

তবু নিজেদের ফেবারিট দাবি মাসাকাদজার

প্রকাশিত: ০৬:৩৯, ২১ অক্টোবর ২০১৮

তবু নিজেদের ফেবারিট দাবি মাসাকাদজার

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ একটা সময় জিম্বাবুইয়ে বিশ্ব ক্রিকেটে মাথাচাড়া দিয়ে বড় একটি ক্রিকেট শক্তিতে পরিণত হতে শুরু করেছিল। কিন্তু সেই জৌলুস আর নেই দলটির। যে বাংলাদেশ দল তাদের কাছে হেরে যেত, তাদের বিপক্ষেই ২০১০ সালের পর আর কোন ওয়ানডে জিততে পারেনি জিম্বাবুইয়ে, টানা ১০ ম্যাচ হেরেছে। সাম্প্রতিক সময়ে দলটি আরও সঙ্কটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। এমনকি এবার বাংলাদেশ সফরে এসে একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচেও বিসিবি একাদশের কাছে হেরে গেছে বাজেভাবে। এরপরও জিম্বাবুইয়ে অধিনায়ক হ্যামিল্টন মাসাকাদজা ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে জিম্বাবুইয়েকেই ফেবারিট ভাবছেন। এর পেছনে তার যুক্তি অন্য যে কোন প্রতিপক্ষের চেয়ে জিম্বাবুইয়েই বেশি খেলেছে এদেশে এবং বাংলাদেশ দলের সার্বিক অবস্থা ও এখানকার পরিবেশটা খুবই পরিচিত। আজ প্রথম ওয়ানডের আগে শনিবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। একটা সময় জয় পরাজয়ের অনুপাতে জিম্বাবুইয়ের সাফল্যের চেয়ে অনেক পিছিয়ে ছিল বাংলাদেশ দল। নিয়মিতই তাদের কাছে হারতে হয়েছে টাইগারদের। কিন্তু ২০১০ সালেই শেষ এরপর আর কখনও বাংলাদেশকে ওয়ানডেতে হারাতে পারেনি জিম্বাবুইয়ে। এখন সাফল্যটা বেশি বাংলাদেশেরই। ৬৯ ওয়ানডেতে বাংলাদেশের জয় ৪১ আর জিম্বাবুইয়ের ২৮। এরপরও ৩ ম্যাচের এবারের সিরিজে নিজেদেরই ফেবারিট দাবি মাসাকাদজার। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় বাংলাদেশ গত কয়েক বছরে অনেক উন্নতি করেছে, বিশেষ করে ঘরের মাঠে। আমরা মাঝে মাঝেই তাদের সঙ্গে খেলেছি। সুতরাং এখনও আমাদের সুযোগ আছে। তাই ফেবারিট তকমা দেয়ার ক্ষেত্রে আমি এখনও জিম্বাবুইয়ের ওপরই সেটা রাখব।’ কিন্তু সেটা বললেও বাস্তবতা অন্যরকম কথা বলছে। একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচে বিসিবি একাদশের কাছে নাস্তানাবুদ হয়েছে জিম্বাবুইয়ের পূর্ণ শক্তির দল। হেরেছে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে। এছাড়া সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকা সফরেও সুবিধা করতে পারেনি তারা। এ বিষয়ে মাসাকাদজা বলেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকায় এবং গতকালের ম্যাচে আমাদের সময় ভাল যায়নি। আমরা আগামীকাল (আজ) এবং এই সফরে কি অর্জন করতে পারি সেটা নিয়ে মনোযোগী। আমরা এখান থেকে উঠে দাঁড়াতে চাই। ছেলেরা সেদিকেই তাকিয়ে আছে। তারা সত্যিই বেশ আত্মবিশ্বাসী।’ এই আত্মবিশ্বাসের কারণ হতে পারে গত ১২ বছরের মধ্যে এই প্রথম বাংলাদেশ দল পুরো সিরিজ খেলবে অপরিহার্য দুই ক্রিকেটার সাকিব-তামিমকে ছাড়াই। এছাড়া বাংলাদেশে নিয়মিত খেলার কারণটাকেও বড় হিসেবে দেখছেন জিম্বাবুইয়ে অধিনায়ক, ‘এখানে বাংলাদেশের বিপক্ষে অনেক খেলেছে জিম্বাবুইয়ে। এই কন্ডিশন এবং তাদের সঙ্গে আমরা ভালই পরিচিত। দল হিসেবে আমরা বেশ ভাল সুযোগের মধ্যে আছি, বিশেষ করে অন্য আন্তর্জাতিক দলগুলোর চেয়ে। আমার মনে হয় এটি খুবই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ সিরিজ হবে। কোচিং স্টাফ পরিবর্তন হয়েছে কিন্তু খেলোয়াড়দের গ্রুপে তেমন পরিবর্তন আসেনি। সব ছেলেই এখানে আছে। এখনও ইনজুরিতে থাকা গ্রায়েম (ক্রেমার) ছাড়া সবাই আছে যেটা দলের জন্য ইতিবাচক।’ বরাবরই বাংলাদেশের মাটিতে জিম্বাবুইয়ের দুর্দশার কারণ হয়েছে স্পিন আক্রমণ। বাংলাদেশ দল তাদের ঘায়েল করেছে ঘূর্ণি বলের জাদুতে। এবার তাদের প্রথমবারের মতো খেলতে হবে মেহেদী হাসান মিরাজের বিপক্ষে। এ বিষয়ে মাসাকাদজা বলেন, ‘উপমহাদেশে যখন খেলা তখন এ বিষয়টির দিকে অবশ্যই মনোযোগ থাকে। স্পিন খুবই বড় ভূমিকা পালন করে। আমরা এরজন্য প্রস্তুত হয়েছি। এটা আমাদের মনে সবসময়ই থাকে। আমি বেশ কিছুবার মেহেদীর বিপক্ষে খেলেছি। আমরা তার বোলিংও অনেকবার দেখেছি। আমরা অবশ্যই জানি তার কাছ থেকে কি বের হয়ে আসতে পারে। মূল ব্যাপার হচ্ছে ইতিবাচক থাকা এবং নিজেদের বাঁচিয়ে রাখা। তাছাড়া আমাদের স্পিনের চ্যালেঞ্জও মোকাবেলা করতে হবে।’
×