ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

ঢাকায় অন্ধ ও প্রতিবন্ধীদের চলাচলের উপযোগী ফুটপাত তৈরি হচ্ছে : এলজিআরডি মন্ত্রী

প্রকাশিত: ০১:০০, ২১ অক্টোবর ২০১৮

ঢাকায় অন্ধ ও প্রতিবন্ধীদের চলাচলের উপযোগী ফুটপাত তৈরি হচ্ছে : এলজিআরডি মন্ত্রী

সংসদ রিপোর্টার ॥ আদালতের নির্দেশনার আলোকে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ সর্বদা ফুটপাত হতে অবৈধ উচ্ছেদ করতে বদ্ধপরিকর। ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে। এছাড়াও নতুনভাবে নির্মাণ/উন্নয়নকালে ফুটপাতসমূহ অন্ধ ও প্রতিবন্ধীদের চলাচলের উপযোগী করে তৈরি করা হচ্ছে। স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে রবিবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে সরকারি দলের সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে এলজিআরডি মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন এ তথ্য জানান। মন্ত্রীর অনুপস্থিতিতে তাঁর পক্ষে সংসদে প্রশ্নের উত্তর দেন প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙা। তিনি জানান, পথচারীদের চলাচলের জন্য রাজধানীতে ফুটপাত সর্বদা উন্মুক্ত থাকে। কিন্তু কিছু দখলদার বেআইনীভাবে মাঝে মাঝে ফুটপাত দখল করে নিজ নিজ ব্যবসা পরিচালনা করেন। জনস্বার্থে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সহায়তায় অবৈধ দখল/ফুটপাত উচ্ছেদ কার্যক্রম অব্যাহতভাবে পরিচালনা করা হচ্ছে। তিনি জানান, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এর মধ্যে ৮০ কিলোমিটার প্রতিবন্ধীবান্ধব ফুটপাত নির্মাণ করা হয়েছে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, দেশের হাওড় এবং নীচু এলাকার যে সকল সড়ক বন্যার পানিতে ডুবে যেতে পারে সে সকল সড়কে সাবমারসিবল রিগ্রিড প্রেভমেন্ট নির্মাণ করা হচ্ছে। যা বর্ষাকালে ডুবে থাকে এবং শুষ্ক মৌসুমে সড়ক হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এছাড়া বাজার এলাকায় ফ্লেক্সিবল পেভমেন্ট এর যে অংশ দ্রুত পানি নিষ্কাশন সুবিধার অভাবে নষ্ট হয়, মেরামতের সময় সড়কের সে অংশে রিগ্রিড পেভমেন্ট নির্মাণ করা হয়। বিগত এক বছর যাবত এ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। সরকারি দলের সংসদ সদস্য মামুনুর রশীদ কিরণের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন জানান, ২০২১ সালের মধ্যে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ গড়ার লক্ষ্যকে সামনে রেখে দেশের ছিন্নমুল ও ভিক্ষুকসহ সকল হতদরিদ্র ও দরিদ্র পরিবারকে প্রকল্পর্ভূক্ত করর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া প্রকল্পের ৩য় সংশোধিত মেয়াদ জুন, ২০২০ সালের মধ্যে ছিন্নমূলসহ সকল হতদরিদ্র মানুষকে পর্যায়ক্রমে প্রকল্পের উপকারভোগী হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করে স্থায়ী তহবিল গঠন ও আত্ম-কর্মস্থান নিশ্চিত করার মাধ্যমে তাদের দারিদ্র্য বিমোচন করা হবে। ৮১টি রাষ্ট্রীয় কারখানা বেসরকারি খাতে- মতিয়া চৌধুরী ॥ সরকার দলীয় সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের প্রশ্নের জবাবে সংসদ কার্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী জানান, প্রাইভেটাইজেশন কমিশন গঠনের পর হতে উক্ত কমিশনের সুপারিশে মোট ৮১টি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন মিল কারখানা বেসরকারি খাতে হস্তান্তর করা হয়েছে। তিনি জানান, এর মধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনে ১৯টি, মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে ৪টি, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অধীলে ৩০টি, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অধীনে ৫টি, শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন রাষ্ট্রায়াত্ত প্রতিষ্ঠানের সরকারি শেয়ার হস্তান্তরের মাধ্যমে ২০টি এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন রাষ্ট্রায়াত্ত প্রতিষ্ঠানের সরকারি শেয়ার হস্তান্তরের মাধ্যমে ৩টি প্রতিষ্ঠান বেসরকারিকরণ করা হয়েছে।
×