ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ব্যারিষ্টার মইনুলের জাতির সামনে তার ক্ষমা চাইতে হবে : বাণিজ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০১:৩৭, ২১ অক্টোবর ২০১৮

ব্যারিষ্টার মইনুলের জাতির সামনে তার ক্ষমা চাইতে হবে : বাণিজ্যমন্ত্রী

নিজস্ব সংবাদদাতা, ভোলা ॥ বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, মাসুদা ভাট্টি একজন সম্মানিত সাংবাদিক। তার অনেক সুনাম রয়েছে। রাজনৈতিক চরিত্র নষ্ট হচ্ছে ব্যরিষ্টার মইনুল হোসেনের। কারন ২০০৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর শিবিরের একটা প্রতিনিধি সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন এবং সেখানে শিবিরের গুনকৃত্তন করেছেন। জাতির সামনে ব্যারিষ্টার মাইনুলের ক্ষমা চাইলেই হবে না। তার প্রতি মানুষের ঘৃনা প্রকাশ করা উচিত হবে। রবিবার সকালে ভোলা সদর উপজেলার টবগী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে আসন্ন সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে কেন্দ্র কমিটি গঠন অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন। মন্ত্রী আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনি ছিলেন,খন্দকার মোস্তাক। খন্দকার মোস্তাক যখন একটা রাজনৈতিক দল করেছিলো,মইনুল হোসেন সেই দলের নেতা হয়েছিলো। এখন আবার তিনি ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলাকারি ,২০০১ সনের পর অত্যাচার নির্যাতন করেছে তাদের সাথে হাত মিলিয়েছে। মাসুদা ভাট্টি একজন সৎ আর্দশবান প্রখ্যাত সাংবাদিক। কেন্দ্র কমিটি গঠন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন,বিএনপির এখন দুর্দিন। ওদের নেতা নেই। ওদের বড় নেতা চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া দুনীতির মামলায় জেলে। তার এক ছেলে খুন মামলায় যাবজ্জীবন কারাদন্ড হয়েছে। আগেরও বাংলাদেশ থেকে টাকা পাচার করার কারনে তার জেল হয়েছে। তিনি বিদেশে। তাকে বানিয়েছে চেয়ারম্যান। একটা খুনিকে বানিয়েছে দলের চেয়ারম্যান। কিন্তু তাতে যখন কাজ হয়না। দেশী বিদেশ পছন্দ করে না। তখন আবার ভাড়া করেছে ড. কামাল হোসেনকে। মন্ত্রী বলেন,ড. কামাল হোসেন আমাদের দল করো। তার কি ক্ষমতা সক্ষমতা আছে তা আমরা জানি। তিনি নিজে সরাসরি কোন দিন ভোটে জিতেনি। বঙ্গবন্ধুর ছেড়ে দেওয়া আসন থেকে ২ বার এমপি হয়ে একবার আইনমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র মন্ত্রী হয়েছেন। তাকে নিয়েছেন মইনুল হোসেন। তোফায়েল আহমেদ বলেন,গতকাল ৫৫ জন বড় বড় সাংবাদিক তাকে ক্ষমা চাইতে বলেছে। একজন নারী সাংবাদিক মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান মাসুদা ভাট্টিকে চরিত্রহীন বলেছেন। এখন সারা দেশের নারী সমাজ মইনুল ইসলামকে ধিক্কার দিচ্ছে। এই মইনুল হোসেন ২০০৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর শিবিরের প্রতিনিধি সম্মেলনে বক্তব্য দিয়ে বলেছেন, শিবির একটা নাম করা দল আমি তার পক্ষে আছি। তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যিনি আপনাদের উন্নয়ন দিয়েছে। ভোলা বরিশাল ব্রীজ করে দিবে। এখানে ভোলায় অনেক শিল্প হবে। আমরা যে কাজ করে অন্য কেউ করেনা। আর এক বার শেখ হাসিনা যদি ক্ষমতায় থাকে,বাংলাদেশ হবে বিশ্বের মধ্যে অত্যান্ত উন্নয়নশীল দেশ। যেই দেশ মানুষ তুলনা করবে এটা উন্নয়নের লোল মডেল। সে জন্য আগামীতে প্রত্যেকে ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার আহবান জানান নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে। ভোটের মাধ্যমে ধিক্কার জানাবেন। খুনিদের নিয়ে যারা দল করে,খুনিদের নিয়ে ঐক্য করে। যারা বাবুলের সম্মান নিয়ে কঠাক্ষ করে। তাদেরকে প্রত্যাক্ষান করে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আবার প্রধানমন্ত্রী করবেন। ২০০১ সনের পর এই বাপ্তায় যারা আওয়ামীলীগ করতো। তাদের উপর কি অমানুষিক মামলা হয়েছে। মামলার পর মামলা হয়েছে। আমাদের মহামান্য রাষ্টপ্রতি আবদুল হামিদ ভোলায় এসেছিলো। তাকে মিটিং করতে দেয়নি। তিনি আমরার বাসায় বসে ছোট একটা মিটিং করে চলে গেছে। তিনি বলেন, ২০০১ সনের পর আমি যখন ভোলায় আসি আমার গাড়ি ভেঙ্গেছে। আমার গাড়িতে গুলি মেরেছে। আমার বাড়িতে বোমা মেরেছে। কিন্তু এখন তো বিএনপির উপর আমরা কোন অত্যাচার করিনা। মন্ত্রী বলেন, সময় এসে আপনারা ঐক্যবদ্য হয়ে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আস্থাশীল হয়ে এই বাপ্তা ইউনিয়নকে আরো শক্তিশালী করতে হবে। ভোলার বাপ্তা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইয়ানুর রহমান বিপ্লব মোল্লার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন,ভোলা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মমিন টুলু, কাচিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম নকিব। এসময় উপস্থিত ছিলেন, ভোলা সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো: মোশারেফ হোসেন,জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি দোস্ত মাহামুদ,হামিদুল হক বাহালুল মোল্লা, যুগ্ন সম্পাদক এনামুল হক আরজু,সাংগঠনিক সম্পাদক মইনুল ইসলাম বিপ্লব,আজিজুল ইসলামসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ। পরে কেন্দ্র কমিটি ঘোষনা করা হয়।
×