ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

অংশ নেন সাত লাখ লোক

দ্বিতীয় ব্রেক্সিট ভোট দাবিতে লন্ডনে ব্যাপক বিক্ষোভ

প্রকাশিত: ০৪:২৪, ২২ অক্টোবর ২০১৮

দ্বিতীয় ব্রেক্সিট ভোট দাবিতে লন্ডনে ব্যাপক বিক্ষোভ

ব্রিটেনের রাজধানী লন্ডনে ব্রেক্সিটের ওপর দ্বিতীয় গণভোটের দাবিতে পার্লামেন্ট অভিমুখে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ হয়েছে। সারাদেশ থেকে প্রায় সাত লাখ লোক এই বিক্ষোভে অংশ নেন। এর প্রেক্ষিতে লন্ডন অচল হয়ে পড়ে। ২০০৩ সালে ইরাক যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভের পর এটিই সরকারী নীতির সর্বাত্মক বিরোধিতা। খবর গার্ডিয়ানের। পিপলস ভোটের দাবিতে রাজধানীতে যত লোক অংশ নিয়েছে তার সংখ্যা বিক্ষোভের আয়োজক ও পুলিশ উভয়ের সব প্রত্যাশার চেয়েও অনেক বেশি ছিল। জনসমাগমে বক্তারা ব্রেক্সিট হুমকির কারণে পুরোপুরি বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়েছে বলে মত দেন। বক্তব্যদানকারী ব্যক্তিদের মধ্যে সব রাজনৈতিক দলের অনেক এমপি, টিভি ব্যক্তিত্ব ও খাদ্য বিষয়ক লেখক ডেলিয়া স্মিথ উপস্থিত ছিলেন। ডেলিয়া স্মিথ জনতার উদ্দেশে ঘোষণা করেন, এই পুরোপুরি পাগলামি এড়াতে ও আমাদের ভবিষ্যত বিজয় ফিরে পাওয়ার একমাত্র উপায় হলো পিপলস ভোট (জনগণের ভোট) পেতে হবে। লিবারেল ডেমোক্র্যাট নেতা ভিন্স ক্যাবল বলেন, এই বিক্ষোভ দেখায় ব্রিটিশ জনগণ শুরুতে বুঝতে পেরেছে যে রাজনীতিবিদরা সফলভাবে ব্রেক্সিটকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারছেন না। যে কারণে তাদের কাজ, জীবিকা ও তাদের সন্তানদের ভবিষ্যত রক্ষিত হবে। তারা আশঙ্কা করছেন এই অনিশ্চয়তা আরও বাড়বে। এজন্য তারা এটি বন্ধ করার একটি সুযোগ চান। জনগণ সম্ভাব্য দুর্যোগ সম্পর্কে অবহিত রয়েছেন। আমরা বুঝতে পারছি আগামী দিনে এই চুক্তি ভাল কিছু দিতে পারবে না। অনেক মানুষ এজন্য ভীত ও শঙ্কিত হয়ে আছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরিমি হান্টের ডেপুটি ফরেন অফিসমন্ত্রী স্যার এ্যালান ডানকান বলেন, কনজারভেটিভ এমপি ও মন্ত্রীরা এখন জনগণকে একটি বিবেকবোধ সম্পন্ন ও মধ্যপন্থী ব্রেক্সিটের পথ দেখানোর দায়িত্ব নিয়েছে। যা জাতীয় স্বার্থে করা হচ্ছে। তবে এটি কখনই আলোর মুখ দেখবে না। তিনি বলেন, সবার জন্য গ্রহণযোগ্য কোন সাধারণ ধারণা এর থেকে আসবে না। জনগণকেই এজন্য পদক্ষেপ নিতে হবে তাদের আদর্শগত ঘোর কাটানোর এবং একটি কর্মতৎপর আপোস করার পথ অবলম্বন করতে হবে। অন্যথায় আমরা ব্যাপক অর্থনৈতিক ক্ষতির ঝুঁকিতে নিজেরাই পড়ব। এর পাশাপাশি রাজনৈতিক ক্ষতি, দেশীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে আসছে বছরগুলোতে অব্যাহতভাবে বাড়বে। আমার রাজনৈতিক জীবনে এটি সবচেয়ে বড় প্রকৃত মুহূর্ত। এর ওপর আমাদের দেশের ভাগ্য দশকের পর দশক ধরে নির্ভর করছে। যদি আমরা একে সঠিকভাবে মূল্যায়ন না করি তাহলে বাস্তবিকতা অনুভব করতে পারব না। পথ আমাদেরকেই বেছে নিতে হবে। ব্রেক্সিটপন্থী মন্ত্রীরা টেরেসা মেকে সতর্ক করে দিয়েছেন যে, তারা আইনী নিশ্চয়তা না পাওয়া পর্যন্ত যে কোন চুক্তির বিরুদ্ধে ভোট দেবেন। তারা দেখতে চান ভবিষ্যতে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে (ইইউ) স্পষ্টতা থাকবে ব্রিটেনের জন্য। এই মন্ত্রীদের মধ্যে রয়েছেন আন্দ্রে লিডসম, পেনি মোরডান্ট, ইস্টার ম্যাকভে ও মাইকেল গোভ। তারা আইরিশ সীমান্ত নিয়ে ব্রিটেন ও ইইউর দীর্ঘমেয়াদী সমস্যার সমাধান চান। এই উত্তেজনা আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
×