বিশেষ প্রতিনিধি ॥ আগামী ১৫-২০ দিনের মধ্যে একাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হতে পারে জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ১৫-২০ দিন পরেই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হবে। তাই অল্প কয়েক দিনের মধ্যেই মন্ত্রিসভার আকার ছোট হয়ে যাবে। এরপরই নির্বাচনী ব্যস্ততা, ক্যাম্পেন শুরু হবে।
রবিবার রাজধানীর কলাবাগানে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনির্ভাসিটিতে ‘কার্যকর ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা : দেশের সার্বিক উন্নয়নের অনুঘটক’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা
বলেন ওবায়দুল কাদের। অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, সিলেটে ঐক্যজোটের সমাবেশের অনুমতি নিয়ে বিএনপি নেতারা নাটক করছেন। অনুমতি ইতোমধ্যে পুলিশ দিয়ে দিয়েছে। অনুমতি নিয়ে নাটক করা বিএনপির পুরনো অভ্যাস। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপি অনুমতি পেয়েছে, কিন্তু এটা নিয়েও তারা নাটক করতে দ্বিধা করেনি। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার কথা হয়েছে। তিনিও আমাকে বলেছেন যে সভা-সমাবেশ যেখানেই করতে চান, এ বিষয়ে কোন বাধা-নিষেধ থাকবে না, থাকার কথাও নয়।
তিনি বলেন, নিরাপত্তার বিষয়টি যেমন এখানে বড় বড় নেতারা যাবেন। এটা তো পুলিশ একটু খতিয়ে দেখবে। কিন্তু অনুমতির বিষয়ে তারা কিন্তু ইঙ্গিতও পেয়ে গেছে। অহেতুক অফিসিয়াল চিঠি না পাওয়ার আগ পর্যন্ত নাটক করবে, এটা তাদের পুরনো অভ্যাস।
নির্বাচন কমিশন বিভক্ত হয়ে গেছে- বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের এমন বক্তব্যের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে কাদের বলেন, ফখরুল সাহেব কি ভুলে গেছেন যে, নির্বাচন কমিশন পাঁচ সদস্যের। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে আরও চার কমিশনার আছেন। একজন কমিশনার কোন ইস্যুতে যদি ভিন্নমত পোষণ করে অথবা নোট অব ডিসেন্ট দেয়, এটা তো গণতন্ত্রের বিউটি। সেখানেও ইন্টারনাল ডেমোক্রেসি কাজ করছে, সেটাই আমরা মনে করব। এটা নিয়ে বিভক্তির যে অভিযোগ তিনি তুলেছেন, এটা সম্পূর্ণই কাল্পনিক ও হাস্যকর।
অনুষ্ঠানে সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিভিন্ন পদক্ষেপ বিষয়ে সরকারের করণীয় নিয়ে মন্তব্যের সময় ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনের সিডিউল ঘোষণা মানেই ক্যাম্পেন শুরু। খুব শীঘ্রই মন্ত্রিসভার কর্মের ধরন পাল্টে যাবে। মন্ত্রিসভার আকার ছোট হয়ে যাবে। মন্ত্রিসভার আকার ছোট হলে সেখানে আমি থাকব কি না, সেটা প্রধানমন্ত্রী ছাড়া কেউ জানেন না। কারা সেই মন্ত্রিসভায় থাকছেন এটা প্রধানমন্ত্রী ছাড়া কেউ বলতে পারবেন না। তবে সরকার এই সরকারই থাকবে। সেই মন্ত্রিসভায় কারা কারা থাকছেন, সেটা প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত।
সেতুমন্ত্রী বলেন, আমি যদি থাকিও নির্বাচন তফসিল ঘোষণার পর মেজর কোন পলিসি বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারব না। আমাদের কাজ সীমিত হয়ে যাবে। আমরা রুটিন কাজ করব। ইচ্ছে করলেই বড় কোন প্রজেক্ট উদ্বোধন বা কাজ শেষ হয়েছে অথবা নির্মাণ শুরুর উদ্বোধন করতে পারব না। এসব বিষয় থেকে বিরত থাকতে হবে। কাজেই কোন কিছুই করতে পারব না। তবে আপনাদের প্রস্তাবগুলো আমাকে দিলে পরে রিসার্চ করে যদি সুযোগ পাই কাজে লাগাতে পারব।
গোলটেবিল অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনির্ভাসিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. সবুর খান। এছাড়া বক্তব্য রাখেন ঢাকা ট্রান্সপোর্ট কোঅর্ডিনেশন অথরিটির (ডিটিসিএ) নির্বাহী পরিচালক অতিরিক্ত সচিব খন্দকার রাকিবুর রহমান, ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহমেদ। মূল আলোচক ছিলেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনির্ভাসিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. ইউসুফ এম ইসলাম, উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. এস এম মাহাবুব-উল-হক মজুমদার, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) শিক্ষক ও পরিবহন বিশেষজ্ঞ শামসুল হক প্রমুখ।
ঢাকা, বাংলাদেশ শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১
