ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

ত্বকের যত্নে ॥ এ্যালোভেরার ফেসপ্যাক

প্রকাশিত: ০৫:৪৬, ২২ অক্টোবর ২০১৮

ত্বকের যত্নে ॥ এ্যালোভেরার ফেসপ্যাক

ত্বক ভাল রাখতে এ্যালোভেরার কোন বিকল্প আছে বলে তো মনে হয় না। তাই তো বলি, সৌন্দর্যের একেবারে চূড়ায় পৌঁছাতে চাইলে আপনার গাইড হতেই পারে প্রাকৃতিক এই উপাদানটি। কারণ এ্যালোভেরা শুধু ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে না, সেই সঙ্গে নানা ধরনের স্কিন প্রবলেমকেও দূরে রাখে। এক্ষেত্রে জেনে রাখা ভাল যে নানা ধরনের ত্বকের জন্য নানাভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে এ্যালোভেরাকে। প্রচুর মাত্রায় এ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকার কারণে বিউটি প্রোডাক্ট হিসাবে এ্যালোভেরার জনপ্রিয়তায় কোনদিন ভাটা পড়েনি। শুধু কি তাই! এতে রয়েছে ল্যাকটিন, মেনাস এবং পলিস্যাকারাইড। এই উপাদানগুলে নানাভাবে ত্বকের উপকার করে থাকে। তাহলে অপেক্ষা কিসের! ঝটপট আপনার ত্বকের জন্য জেনে নিন এ্যালোভেরার ফেসমাস্ক ও তাদের কার্যকারিতার কথা। এ্যালোভেরা ও নিমপাতা ত্বকের প্রদাহ কমানোর পাশাপাশি স্কিনের শুষ্কতা দূর করতে এবং ত্বককে প্রাণোচ্ছল বানাতে এ্যালোভেরা ও নিমপাতা- এই ২টি উপাদান মিলিয়ে বানিয়ে ফেলুন একটি পেস্ট। তরপর সেটি মুখে লাগিয়ে নিন। প্রসঙ্গত, ভাল করে মুখটা ধুয়ে নিয়ে ফেসমাস্কটি লাগাবেন। নচেৎ ভাল ফল পাবেন না। এ্যালোভেরা ও হলুদ দুধ, হলুদ এবং এ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে বানানো এই ফেসমাস্কটি উজ্জ্বল এবং নরম ত্বক পেতে আপনাকে সাহায্য করবে। প্রসঙ্গত, হলুদে এমন কিছু উপাদান থাকে, যা ব্রণের প্রকোপ কমায়। অপরদিকে, এ্যালোভেরা ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়। আর দুধ কী কাজে লাগে? কাঁচা দুধ ত্বকের পিএইচ লেভেল ঠিক রাখে। ফলে ত্বক নরম হয়। এ্যালোভেরা ও গোলাপ জল শুষ্ক ত্বককে স্বাভাবিক করতে এই ফেসমাস্কটি দারুণ কাজে আসে। সেই সঙ্গে বলি রেখা, ব্রণ এবং কালো ছোপ আটকাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। প্রসঙ্গত, এ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে কয়েক ড্রপ গোলাপ জল মিশিয়ে একটা পেস্ট বানিয়ে ফেলুন। তারপর সেটি মুখে লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন। তারপর ঠান্ডা জল দিয়ে ভাল করে ধুয়ে ফেলুন মুখটা। এ্যালোভেরা ও শসা যাদের ত্বক খুব স্পর্শকাতর, তারা এই ফেসমাস্কটি ব্যবহার করতে পারেন। এটি বানাতে একটা এ্যালোভেরা পাতা থেকে সংগৃহীত জেলের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা শসার রস মেশাতে হবে। যখন দেখবেন দুটি উপাদান ভাল মতন মিশে গেছে, তখন সেটি মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। প্রসঙ্গত, তৈলাক্ত ত্বক, ময়লা এবং ত্বকে জমতে থাকা নানা ক্ষতিকর উপাদানকে পরিষ্কার করে ফেলতে এই ফেসমাস্কটি দারুণ কাজে দেয়। এ্যালোভেরা ও লেবু আপনার কি ড্রাই স্কিন? তাহেল এই ফেসমাস্কটি আপনার জন্য একেবারে পারফেক্ট! কারণ এ্যালোভেরা এ্যান্টি-অক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ, যা ব্রণ এবং চুলকানি কমায়। এখানেই শেষ নয় এই প্রাকৃতিক উপাদানটি লাগালে স্কিন আর্দ্র হয়। ফলে ত্বকের শুষ্কতা দূর হয়। কীভাবে বানাতে হবে এই ফেসমাস্কটি? এটি বানানো খুব সহজ! পরিমাণমতো এ্যালোভেরা জেল নিয়ে তাতে এক ড্রপ লেবুর রস দিয়ে ভাল করে দুটি উপাদান মেশান। তারপর তা মুখে লাগিয়ে কম করে হলেও ২০ মিনিট রেখে দিন। সময় হয়ে গেলে ঠা-া জল দিয়ে মুখটা ধুয়ে ফেলুন। এ্যালোভেরা ও মুলতানি মাটি ১ চামচ মুলতানি মাটির সঙ্গে ১ চামচ এ্যালোভেরা জেল এবং পরিমাণমতো গোলাপ জল মিশিয়ে বানানো পেস্ট মুখে লাগাতে শুরু করলে উজ্জ্বল ত্বক পাওয়ার স্বপ্ন পূরণ হতে সময় লাগে না। কারণ মুলতানি মাটি এবং এ্যালোভেরা জেল, এই দুটিতেই এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা ত্বকে প্রবেশ করে বিষাক্ত উপাদানদের বের করে দেয় ফলে ফর্সা এবং উজ্জ্বল ত্বকের অধিকারী হয়ে ওঠার স্বপ্ন বাস্তবায়িত হতে সময় লাগে না। এ্যালোভেরা ও মধু যাদের তৈলাক্ত ত্বক তাদের জন্য এই ফেসমাস্কটি দারুণ কার্যকরী। কারণ মধু এবং এ্যালোভেরা, উভয়ই ত্বকের অতিরিক্ত তেলাভাব কমায়, শুধু তাই নয় স্কিনের বন্ধ হয়ে যাওয়া ছিদ্রগুলোকেও খুলে দেয়। ফলে ময়লা ধুয়ে গিয়ে ত্বক সুন্দর হতে শুরু করে। এক্ষেত্রে এক চামচ মধুর সঙ্গে পরিমাণমতো এ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে ফেলুন। তারপর সেই ফেসমাস্কটি ধীরে ধীরে ম্যাসাজ করুন ত্বকে। প্রসঙ্গত, প্রতিদিন যদি এই ফেসমাস্কটি মুখে লাগাতে পারেন তাহলে অল্পদিনেই দেখবেন ত্বক উজ্জ্বল হতে শুরু করেছে। এ্যালোভেরা ও ওটমিল ত্বকের উপরি অংশে জমতে থাকা মৃত কোষদের পরিষ্কার করে ফেলতে এই ফেসমাস্কটি কাজে লাগে। এ্যালোভেরা জেল, লেবুর রস এবং ওটমিল মিশিয়ে এই ফেসমাস্কটি বানিয়ে ফেলুন। তরপর সেটি ধীরে ধীরে মুখে লাগান। কিছুক্ষণ রেখে ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
×