ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

শিশু সংশোধন বিলসহ সংসদে দুটি বিল পাস

প্রকাশিত: ০৪:১১, ২২ অক্টোবর ২০১৮

শিশু সংশোধন বিলসহ সংসদে দুটি বিল পাস

সংসদ রিপোর্টার ॥ শিশু অপরাধীদের শিশু হিসেবে আমলে নিয়ে বিচারের পৃথক ব্যবস্থা রেখে একটি আইনসহ সোমবার জাতীয় সংসদে দুটি পৃথক বিল পাস হয়েছে। পাসকৃত দুটি বিল হচ্ছে- শিশু (সংশোধন) বিল ২০১৮ এবং ‘হাউজ বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট বিল-২০১৮। সমাজকল্যাণ মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন পৃথকভাবে বিলটি পাসের জন্য উত্থাপন করলে কন্ঠভোটে বিল দুটি পাস হয়। তবে বিলটির ওপর আনীত জনমত যাচাই-বাছাই ও সংশোধনী প্রস্তাবগুলো কন্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়। পাসকৃত শিশু সংশোধন বিলে বলা হয়েছে, আইনে ফৌজদারি অপরাধ সংঘটনে একইসঙ্গে কোন শিশু জড়িত থাকলেও পুলিশী তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিদের সঙ্গে একসঙ্গে প্রতিবেদন না দিয়ে শিশুর জন্য পৃথক প্রতিবেদন তৈরী করার এবং অপরাধ আমলে নেওয়ার ক্ষেত্রে শিশু হিসেবে পৃথকভাবে আমলে নেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে। আইনের সঙ্গে সংঘাতে জড়িত শিশু কর্তৃক সংঘটিত যে কোন অপরাধের বিচার করার জন্য প্রতি জেলায় এক বা একাধিক শিশু আদালত থাকবে। যেসব জেলায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের অধীনে গঠিত নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল থাকলে তা শিশু আদালত হিসেবে গণ্য হবে। তবে সেই ট্রাইব্যুনাল না থাকলে জেলার জেলা ও দায়রা জজ শিশু আদালত হিসেবে গণ্য হবেন। শিশু আদলত দায়রা আদালতের সকল ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্যাবলি সম্পাদন করতে পারবে। আইনের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জাতিসংঘের শিশু অধিকার সনদ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে শিশু আইন, ১৯৭৪ যুগোপযোগী করে শিশু আইন, ২০১৩ প্রণয়ন করা হয়। এই আইন কার্যকর হওয়ার পর এর কিছু প্রয়োগিক সমস্যার সৃষ্টি হওয়ায় এর কতিপয় ধারা সংশোধনের নিমিত্তে শিশু (সংশোধন) আইন, ২০১৮ শীর্ষক বিলটি সংসদের বিবেচনার জন্য আনা হয়েছে। হাউজ বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট বিল ॥ ‘বর্তমানে হাউজ বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট অর্ডিন্যান্স-১৯৭৭’ অনুযায়ী হাউজ বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট পরিচালিত হচ্ছে। উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী সামরিক সরকারের অধ্যাদেশগুলো আইনে পরিণত ও বাংলা ভার্সনে প্রণয়ণের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সরকার ৩০ বছর আগের এই অধ্যাদেশটিকে আইনে পরিণত করা উদ্যোগ নিয়েছে। প্রস্তাবিত এই আইনের তিন ধারায় অর্ডিন্যান্সের অধীনে থাকা হাউজ বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ধারাবাহিকতা রাখা হয়েছে। ইনস্টিটিউটের পরিচালনা ও প্রশাসনের দায়িত্ব একটি পরিচালনা পর্ষদের উপর ন্যাস্ত থাকবে। ছয় নাম্বার ধারায় ‘ইনস্টিটিউটের কার্যাবলী ’ অংশে ইমারত নকশ প্রণয়ন ও নির্মাণ, নির্মাণ উপকরণ-শিল্প এবং মানব বসতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সমস্যার উপর কারিগরি ও বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান এবং গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করবে। সেই সঙ্গে দেশজ নির্মাণ উপকরণের প্রাপ্যতা, উন্নয়ন ও ব্যবহার এবং পরিবেশবান্ধব নির্মাণ উপকরণের উন্নয়নে গবেষণা পরিচালনা করবে ইনস্টিটিউট। আইনের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘হাউজ বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট আইন-২০১৮’ প্রণীত ও বাস্তবায়িত হলে পরিবেশবান্ধব, দুর্যোগ সহনীয়, ব্যয় সাশ্রয়ী ও ব্যাপক জনগোষ্ঠীর ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে সকলের জন্য আবাসন সহজলভ্য করার স্বার্থে সুপরিকল্পিত উন্নয়ন নিশ্চিত করা যাবে।
×