ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

‘মাসুদা ভাট্টিকে চরিত্রহীন বলায় দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে’

প্রকাশিত: ০৬:০১, ২৩ অক্টোবর ২০১৮

‘মাসুদা ভাট্টিকে চরিত্রহীন বলায় দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে’

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বেসরকারী টেলিভিশন একাত্তর টিভির টকশোতে সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে ‘চরিত্রহীন’ বলে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন যে মন্তব্য করেছেন তাতে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে বলে জানিয়েছেন এ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। তিনি বলেছেন, এ ঘটনায় সারাদেশের নারী সমাজ বিক্ষুব্ধ এবং আহত হয়েছেন। এদিকে হলমার্ক কেলেঙ্কারির ঘটনায় দুদকের মামলার আসামি সোনালী ব্যাংকের এজিএম এজাজ আহমেদের ছয় মামলার জামিন বাতিল করেছে আপীল বিভাগ। একই সঙ্গে তাকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশও দেয়া হয়েছে। কুড়িগ্রামের মামলায় ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন আগাম জামিন পাওয়ার পর সোমবার এ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান। তিনি বলেন, ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে সোমবারও (কুড়িগ্রামের মামলা) একটি মামলায় আগাম জামিনের শুনানি হয়েছে। শুনানিকালে আমি আদালতকে স্পষ্টভাবে বলেছি, উনি একজন নারীকে উদ্দেশ করে যে উক্তি করেছেন তাতে সমগ্র নারী সমাজ আহত হয়েছে, বিক্ষুব্ধ হয়েছে এবং আমাদের দেশের ভাবমূর্তিও নষ্ট হয়েছে। কারণ, ওই অনুষ্ঠানটি সমগ্র বিশ্বের সকলেই দেখেছে। আদালতে মইনুলের জামিনের বিরোধিতা করে শুনানি প্রসঙ্গে এ্যাটর্নি জেনারেল আরও বলেন, শেষ কথা হলো, জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র সংগঠন ছাত্রশিবিরের সঙ্গেও তার (ব্যারিস্টার মইনুল) যোগাযোগ আছে বলে দম্ভোক্তি করে টেলিভিশনে বক্তব্য দিয়েছেন, মামলার এজাহারেও এই কথা উল্লেখ আছে। যেহেতু জামায়াতে ইসলামীর কোন রেজিস্ট্রেশন নেই তাই তার অঙ্গসংগঠন ছাত্রদেরও (ছাত্রশিবির) আইনগত বৈধতা নেই। তারপরও উনি (ব্যারিস্টার মইনুল) যদি এভাবে বলেন যে, তাদের (জামায়াতে ইসলামী) সঙ্গে যোগাযোগ থাকায় আমি গর্বিত। তাহলে দেশবাসী আহত হন। আমি কথাগুলো আদালতকে বলেছি। এছাড়া উনি যদি জামিন চান তবে তাকে নিম্ন আদালতে গিয়ে জামিন চাইতে হবে। এটা এমন কোন মামলা নয় যে, হাইকোর্ট থেকে জামিন নিতে হবে। বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ ॥ হলমার্ক কেলেঙ্কারির ঘটনায় দুদকের মামলার আসামি সোনালী ব্যাংকের এজিএম এজাজ আহমেদের ছয় মামলার জামিন বাতিল করেছে আপীল বিভাগ। একই সঙ্গে তাকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্úণ করার জন্যও নির্দেশ দেয়া হয়েছে। দুদকের পক্ষে করা আবেদনের শুনানি নিয়ে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেত্বত্বে সাত সদস্যের আপীল বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। আদালতে দুর্নীতি দমন কমিশনের পক্ষে শুনানি করেন খুরশিদ আলম খান এবং আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী তৌসিফ হোসেন।
×