স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএফডিসির জহির রায়হান কালারল্যাব ভিআইপি প্রজেকশন হলে সম্প্রতি প্রবীণ সিনেস্থির চিত্রগ্রাহক ফিরোজ এম হাসানের ৮২তম জন্মদিন উপলক্ষে সিনে ম্যাগাজিন ছায়ালোক এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। বিশেষ অতিথি ছিলেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সৈয়দ হাসান ইমাম, অভিনেত্রী, প্রযোজক ও পরিচালক কোহিনূর আখতার সুচন্দা, মুভি মোগলখ্যাত প্রযোজক এ কে এম জাহাঙ্গীর খান, চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার, চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর, চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতির (বাচসাস) সভাপতি আবদুর রহমান, নতুনধারা এস্টেস লিমিটেডের এমডি সাদি-উজ-জামান, বাংলাদেশ সিনেস্থির চিত্রগ্রাহক সমিতির সভাপতি জিডি পিন্টু এবং ছায়ালোক সম্পাদক আবদুল্লাহ জেয়াদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরু। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিএফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ আমির হোসেন, পরিচালক শেখ নজরুল ইসলাম, নায়ক ওমর সানী, নায়িকা পপি, ইলোরা, দিলারা, নতুনধারা এস্টেস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাদি উজ-জামান, সাংবাদিক মনিরুল ইসলাম ও মিজানুর রহমান হিরো। আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু প্রবীণ সিনেস্থির চিত্রগ্রাহক ফিরোজ এম হাসানের ৮২তম জন্মদিন উপলক্ষে কেক কেটে তার হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন। অনুষ্ঠানে ফিরোজ এম হাসানের তোলা সত্তর আশির দশকের বিভিন্ন ছবির স্টিল প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠানটির সহযোগিতায় ছিল বাংলাদেশ সিনেস্থির চিত্রগ্রাহক সমিতি। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, ছবি কথা বলে, লেখা মিথ্যা হতে পারে কিন্তু ছবি কখনও মিথ্যা হয় না। মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবিক হৃদয়বিদারক স্থিরচিত্রগুলো বিশ্ব বিবেককে নাড়া দিয়েছিল।
চলচ্চিত্রের অতীত ঐতিহ্যের সময় সিনে ম্যাগাজিন চিত্রালী, পূর্ণিমা, সিনেমা পত্রিকার খবর আমাদের বিনোদিত করত। আজ ছায়ালোক অনেকটা সেই আদলে চলচ্চিত্রের খুঁটিনাটি বিষয় তুলে আনছে। এই ছায়ালোক আজকের মতো একটি সম্মানজনক সুন্দর অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে তা প্রশংসার দাবি রাখে। তথ্যমন্ত্রী বলেন, আজকের অনুষ্ঠানের মধ্যমণি প্রবীণ সিনেস্থির চিত্রগ্রাহক ফিরোজ এম হাসানের ৮২তম জন্মদিনে বিশেষ সংবর্ধনা দেয়া হচ্ছে এটা একটা স্মরণীয় বিষয়। কেননা ফিরোজ এম হাসান একজন নেপথ্যের কুশলী। তার ক্যামেরায় তোলা সত্তর আশির দশকের সাদাকালো স্থির চিত্রগুলো আমাদের অতীতকে স্মরণ করিয়ে দেয়। এ কাজের বাইরেও ফিরোজ এম হাসানের প্রতি আমার একটা বিশেষ দুর্বলতা আছে। কারণ তিনি আমার বড় ভাইতুল্য। শৈশবে আমরা একসঙ্গে অনেকদিন কাটিয়েছি। বাবার চাকরির সুবাদে আমরা পাশাপাশি বাসায় থাকতাম। তার ছোট ভাই আমার বন্ধু ছিল। আমি জানতাম ফিরোজ ভাই ছবি তুলতেন। আজ ষাট বছর পর তাকে পেয়েছি। ফিরোজ ভাইয়ের হাতে সম্মাননা তুলে দিতে পেরে আমিও বিশেষভাবে আনন্দিত।
