নিজস্ব সংবাদদাতা, পাবনা ॥ বেড়া উপজেলায় বাস্তবায়িত হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুত আশ্রয়ণ-২ প্রকল্প। প্রকল্পের মাধ্যমে “যার জমি আছে ঘর নেই তার নিজ জমিতে গৃহ নির্মাণ” উপ-খাতের আওতায় প্রায় দুই কোটি ৬ লাখ টাকা ব্যয়ে উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে নির্মাণ করে দেয়া হচ্ছে ২০৬টি বসত ঘর। প্রকল্পে কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। আগামি নবেম্বর মাসে ২০৬টি অসহায় পরিবারকে ঘরগুলো হস্তান্তর করা সম্ভব হবে বলে জানা গেছে।
প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা যায়, প্রকল্পের মাধ্যমে উপকারভোগীদের জন্য তৈরি করে দেয়া হচ্ছে ২৯৭ বর্গফুটের বারান্দাসহ করগেট টিনের একটি ঘর আর পাশেই টয়লেট। প্রতিটি ঘর ও টয়লেটের উপকরণসহ নির্মাণ খরচ ধরা হয়েছে এক লাখ টাকা। প্রকল্পের ঘর ও টয়লেট নির্মাণ কাজ শেষ পর্যায়ে । বেড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসিফ আনাম সিদ্দিকীর নেতৃত্বে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটিতে সদস্য সচিব হিসেবে আছেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এবং উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি), সহকারী কমিশনার ভূমি ও সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। যে ব্যক্তির এক থেকে ১০ শতাংশ জমি আছে, কিন্তু ঘর নেই অথবা থাকলেও জরাজীর্ণ বসবাসের অনুপযোগী এমন দুঃস্থ ব্যক্তি, অসহায় মুক্তিযোদ্ধা, বিধবা বা স্বামী পরিত্যক্তা, প্রতিবন্ধী, উপার্জন অক্ষম ব্যক্তি, ভিক্ষুক, অতিবার্ধক্য ব্যক্তি প্রকল্প সুবিধা পাচ্ছেন। বেড়া উপজেলার হাটুরিয়া-নাকালিয়া, চাকলা, কৈটোলা, নতুন ভারেঙ্গা, পুরান ভারেঙ্গা, জাতশাখিনী, মাসুমদিয়া, রুপপুর ও ঢালারচর ইউনিয়নে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের ২০৬টি ঘর নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। কৈটোলা ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডে বিজয়গঞ্জ গ্রামের দিনমজুর মোঃ সাইদুল ইসলাম আশ্রয়ণ প্রকল্প থেকে ঘর পাবেন বলে তিনি আনন্দে আত্মহারা। বেড়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের সদস্য সচিব মোঃ আরিফুল ইসলাম জানান, উপজেলায় ২০৬টি ঘর নির্মাণের জন্য দুই কোটি ৬ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। নির্মাণ কাজ প্রায় শেষের দিকে। সিডিউল অনুযায়ি কাজ করা হচ্ছে।
বেড়া উপজেলা নির্বাহী ও অফিসার আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের সভাপতি আসিফ আনাম সিদ্দিকী বলেন, এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নে সরকারি বিধি মেনে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রকল্পের নির্দেশিত ডিজাইন ও প্রাক্কলিত ব্যয়ে ঘরগুলো নির্মাণ করা হচ্ছে। সর্বোচ্চমান নিশ্চিত করে প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সকল সদস্য নিরলসভাবে পরিশ্রম করছেন।
