ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

টাঙ্গাইলে কাউছির বাজার দোখলা সড়কের বেহাল দশা

প্রকাশিত: ২২:৪৭, ২৩ অক্টোবর ২০১৮

টাঙ্গাইলে কাউছির বাজার দোখলা সড়কের বেহাল দশা

নিজস্ব সংবাদদাতা, টাঙ্গাইল ॥ টাঙ্গাইলের মধুপুর গড় এলাকার বহু পুরানো কাউছির বাজার-ধরাটি-দোখলা সড়কটি যেন রোপা ধানের চারা লাগানোর কাঁদা মাটির ক্ষেত। সড়কটির একবারেই বেহাল অবস্থা। লালমাটি অধ্যূষিত পাহাড়ী এলাকার অধিকাংশ জনগণ, আদিবাসী গারো সম্প্রদায়ের লোকজনের চলাচলের একমাত্র সড়কটি বেহাল অবস্থায় থাকার কারণে চলাচল ও কৃষিপণ্য পরিবহনে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। জানা যায়, কৃষি হলো এ এলাকার অর্থনীতির চালিকা শক্তি। কৃষি নির্ভর কুড়াগাছা, অরনখোলা, শোলাকুড়ি, ফুলবাগচালাসহ ৪টি ইউনিয়নের অর্ধশতাধিক গ্রামের কৃষকরা তাদের কৃষি ফসল নিয়ে বিপাকে রয়েছে। কাঁচামাল পরিবহন করতে গুনতে হচ্ছে দিগুণ খরচ। এ এলাকার আদিবাসীদের দাবি সড়কটি পাকা করণের। সরজমিনে ধরাটি ও কোনাবাড়ী গ্রামের স্থানীয়বাসিন্দারা জানায়, কাউছির বাজার-ধরাটি-দোখলা হয়ে চাঁনপুর সড়কটি পাকিস্তান আমল থেকে ধনবাড়ী উপজেলার সাথে সংযোগ হয়েছে। এ সড়কটি শোলাকুড়ি, অরণখোলা, কুড়াগাছা ও ফুলবাগচালা ইউনিয়নের সীমান্ত সড়ক থাকার কারণে কোন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সড়কটির গুরুত্ব দিচ্ছেন না। ফলে যুগের পর যুগ ধরে অবহেলিত থাকার কারণে সড়কটি স্বাধীনতার দীর্ঘ ৪৭ বছর পরেও পাকার মুখ দেখেনি। এ সড়ক দিয়ে অত্র এলাকার কৃষকদের আনারস, কলা, আদা, হলুদ, পেঁপে, কচুসহ নানা কৃষি ফসল বাজারে নিয়ে যেতে হয়। বর্ষাকালে দুর্ভোগের মাত্রা আরোও বেড়ে যায়। কাঁদা জলে একাকার হয়ে সড়কটি রোপা ধানের ক্ষেতে পরিণত হয়। স্থানীয় কুড়াগাছা ইউপি সদস্য নাজিরুল ইসলাম রোমান ও মহিলা ইউপি সদস্য অর্চনা নকরেক, কৃষি ফসল ও আদিবাসী ছাত্র-ছাত্রীদের দুঃখের কথা চিন্তা করে দ্রুত সড়কটি পাকাকরণের দাবি জানান। কুড়াগাছা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুল হক সরকার জানান, পাকিস্তান আমল থেকেই সড়কটি অবহেলিত। কয়েক ইউনিয়নের সীমানা সড়ক হওয়ার কারণে কেউ গুরুত্ব দেয় না। কৃষি ফসলের জন্য সড়কটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন। স্থানীয় সংসদ সদস্য সাবেক খাদ্যমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক এমপির সাথে কথা বলে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
×