ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

বিশ্বের ১০টি দেশের শান্তি মিশনে বিভিন্ন বাহিনীর ৭ হাজার সদস্য কর্মরত : আইনমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০০:৩৮, ২৩ অক্টোবর ২০১৮

বিশ্বের ১০টি দেশের শান্তি মিশনে বিভিন্ন বাহিনীর ৭ হাজার সদস্য কর্মরত : আইনমন্ত্রী

সংসদ রিপোর্টার ॥ বিশ্বের ১০টি দেশের শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের বিভিন্ন বাহিনীর ৭ হাজার ১৬০ জন সদস্য জাতিসংঘের শান্তি মিশনে কর্মরত রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংসদ কার্যে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, শান্তি রক্ষায় দায়িত্বপালন করা সদস্যদের মধ্যে সেনাবাহিনীর ৫ হাজার ৫০১ জন, নৌবাহিনীর ৩৪৬ জন, বিমানবাহিনীর ৪৯৯ এবং পুলিশ বাহিনীর ৮১৪ জন রয়েছেন। টেবিলে উত্থাপিত সরকার দলীয় এমপি নিজাম উদ্দিন হাজারীর এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক মঙ্গলবার সংসদকে এসব তথ্য জানান। স্পীকার ড. শিরিন শারমীন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিকালে দশম জাতীয় সংসদের সমাপনি এ অধিবেশন শুরু হয়। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, বর্তমানে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীতে ১০টি দেশের বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর এবং পুলিশ বাহিনীসহ মোট ৭ হাজার ১৬০ জন সদস্য কর্মরত রয়েছে। দেশগুলো হচ্ছে- ডিআর কঙ্গো, লেবানন, দক্ষিণ সুদান, সুদান (দারফুর), পশ্চিম সাহারা, মালি, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক, হাইতি, ইউএসএ (নিউইর্য়ক) ও সাইপ্রাস। শীতকালে ২৪৪ প্রজাতির পরিযায়ী পাখি দেশে আসে ॥ সরকার দলীয় সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের লিখিত জবাবে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ জানান, সাধারণ শীতকালে ২৪৪ প্রজাতির পরিযায়ী পাখি বাংলাদেশে আগমন করে। তন্মোধ্য ২১ প্রজাতির পাখি এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস বহন করে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। মন্ত্রী জানান, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয় এবং বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ওয়ান হেলথ বাংলাদেশ পরিযায়ী পাখির রক্ত এবং বিষ্ঠা সংগ্রহ করে এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের উপস্থিতি সনাক্ত করে থাকে। এছাড়া ওয়ান হেলথ বাংলাদেশ প্রতি বছর ১০ নবেম্বর এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা বিষয়ে জনসাধারণকে সচেতনতার জন্য ওয়ান হেলথ পালন করে থাকে। নামজারী মামলা নিষ্পত্তি ৬০ দিনে ॥ সরকারি দলের সংসদ সদস্য মো. মামুনুর রশীদ কিরণের লিখিত প্রশ্নের জবাবে ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ জানান, জমির নামজারি ও রেকর্ড সংশোধন সংক্রান্ত রাজস্ব মামলাগুলোর নিস্পত্তির জন্য মহানগরের ক্ষেত্রে ৬০ ও অন্যান্য ক্ষেত্রে ৪৫ দিন ধার্য করা রয়েছে। তাছাড়া প্রবাসীদের নামে জমির নামজারির জমাভাগ নিস্পত্তির জন্য মহানগরের ক্ষেত্রে ১২ কার্যদিবস এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে ৯ কার্যদিবসের মধ্যে নিস্পত্তির করার নিদের্শনা রয়েছে। ওই নিদের্শনার আলোকে মামলাগুলো যথাসময়ে নিস্পত্তির হয়েছে। মন্ত্রী আরও জানান, ভূমি অফিসের অন্যান্য রাজস্ব মামলা (সার্টিফিকেট মামলা, মিছ মামলা ইত্যাদি) পরিচালনার ও দ্রুত নিস্পত্তির লক্ষ্যে মামলা পরিচালনাকারী রাজস্ব আদালতের উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষ, ভূমি সংস্কার বোর্ড ও ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে সার্বক্ষণিক তদারকি, নিদের্শনা, পরিদর্শন ও তত্ত্বাবধানের উদ্যোগ অব্যাহত রয়েছে।
×